Dr. Neem on Daraz
Victory Day

গাছে গাছে যেন পাখিফুল


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২০, ১১:২৭ এএম
গাছে গাছে যেন পাখিফুল

ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটঃ জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার কানাইপুকুর গ্রামে গাছে গাছে যেন ফুটে আছে থোকায় থোকায় পাখিফুল। তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত চারপাশ, মনের সুখে কেউ দিচ্ছেন ডানা ঝাপটা, কেউ বা আবার বাচ্চার মুখে তুলে দিচ্ছে খাবার। গ্রামবাসীও গভীর মমতা দিয়ে আগলে রেখেছে পাখিগুলোকে। নিরাপদ আশ্রয় আর মানুষের ভালোবাসায় এই কানাইপুকুর গ্রামে শামুক খৈল পাখির সংখ্যা এখন দশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে আলমপুর ইউনিয়নের কানাই পুকুর গ্রামের আব্দুস সামাদ মণ্ডল ও সোবহান মণ্ডলের পুকুরের শতাধিক গাছে শামুক খৈলসহ ছয় প্রজাতির হাজার হাজার পাখির স্থায়ী অভয়াশ্রম। প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেলে হাজারো শামুকখৈল পাখি এসে আশ্রয় নেয় মণ্ডল পুকুরের গাছগুলোতে।

প্রকৃতির অপরূপ খেয়ালে এখানে এক যুগ ধরে বাসা বেঁধে আছে হাজার হাজার শামুক খৈল পাখি। সন্ধ্যায় পুরো পুকুর মুখরিত হয়ে ওঠে পাখির কল-কাকলিতে। রাতভর চলে ওদের ডানা ঝাপটানো। নির্বিঘ্নে রাত কাটিয়ে ভোর হলেই উড়ে যায়। দিনশেষে নীড়ে আবারো ফিরে আসে। শামুক খৈল,শামুক ভাঙা, হাইতোলা মুখ এসব নামে পরিচিত পাখিগুলো। গ্রাম পার্শ্ববর্তী খাল বিল আর ফসলের মাঠ থেকে পোকা মাকড় ও শামুক ঝিনুক খেয়ে জীবন বাঁচে পাখিগুলোর। নিরাপদ আশ্রয় আর ভালোবাসায় বাসা বেঁধে প্রজনন থেকে শুরু করে ডিম, বাচ্চা, প্রাপ্ত বয়ষ্ককাল সব এখানেই তারা সম্পন্ন করে। ফলে দিন দিন  বৃদ্ধি পাচ্ছে এর সংখ্যাও।

শামুকখৈল পাখিগুলোর ছবি উঠাতে গিয়ে দর্শনার্থী বগুড়া শহরের কাপড় ব্যবসায়ী এরফান আলী বলেন, এমন সুন্দর দৃশ্য গ্রামে-গঞ্জে পাওয়া বড় কঠিন। সকাল ও সন্ধ্যায় হাজারো পাখির কল-কাকলিতে মুখরিত এই শব্দ খুবই আনন্দদায়ক।

পুকুরের মালিক আব্দুস সামাদ ও তার ছোট ভাই সোবহান বলেন, পাখিগুলোকে আমরা আগলে রেখেছি। গাছের ফলমূল আমাদের আর হয় না। পুকুরে মাছ ভালো হয় না কারণ পুকুরটি চারদিকে গাছ গাছড়ায় জঙ্গল হয়ে গেছে।

কানাই পুকুর গ্রামের কলেজ পড়ুয়া আল আমিন বলেন, পাখি সব করে রব- কবিতার এ লাইনের বাস্তব চিত্র দেখা যায় এখানে। প্রতিদিন বিকেল হলেই শামুকখৈল ছাড়াও নানা জাতের অসংখ্য পাখি এসে আশ্রয় নেয় ওই পুকুরের প্রায় শতাধিক গাছে।  

ক্ষেতলালের ইউএনও এ.এফ.এম আবু সুফিয়ান বলেন, আমরা এরই মধ্যে এলাকার সচেতন মহলকে অনুরোধ করেছি পাখিগুলোকে যাতে কেউ না মারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে। পাখিগুলো আমাদের দেশের সম্পদ।

আগামীনিউজ/এএইচ 

 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে