Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বিলুপ্তির উপক্রম খাদ্য-ওষুধ যোগানের ৪০ শতাংশ উদ্ভিদ


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২০, ১১:২৯ পিএম
বিলুপ্তির উপক্রম খাদ্য-ওষুধ যোগানের ৪০ শতাংশ উদ্ভিদ

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ জলবায়ু পরিবর্তন আর মানুষের নিধনের কারণে উজার হচ্ছে একরের পর একর বন। যা ডেকে আনছে পরিবেশ বিপর্যয়। এবার রয়াল বোটানিক গার্ডেনস কেউ বলছে, পৃথিবীর ৪০ শতাংশ উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে আছে। বিশ্বের উদ্ভিদ প্রজাতিকে নিয়ে করা গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। এই গবেষণায় অংশ নিয়েছে ৪২ টি দেশের ২১০ জন সাংবাদিক।

গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মানুষের খাবারের সংস্থানের জন্য শস্যের প্রয়োজন পড়ছে, গাছ কেটে কৃষিকাজ করা হচ্ছে। যা জলবায়ু পরিবর্তন বাড়াচ্ছে আর নতুন প্রাণঘাতি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। গবেষকরা বলছেন, উদ্ভিদ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান না থাকায় এ প্রজাতি সংরক্ষণে প্রচুর গবেষণা প্রয়োজন।

আরবিজি'র প্রধান বৈজ্ঞানিক আলেক্সান্দ্রে বলেন, আমরা সময়ের বিপরীতে দৌড়াচ্ছি, উদ্ভিত প্রজাতি এমনভাবে হারাচ্ছে যে নামকরণের সময় দিচ্ছে না। তিনি বলেন, ৪০ শতাংশ উদ্ভিদ হারিয়ে পৃথিবীর জলবায়ুর কি অবস্থা হবে, তা ভাবাও কঠিন। সব উদ্ভিদই বাস্তুসংস্থানের সাথে কোন না কোনভাবে সম্পৃক্ত।

বিশ্বব্যাপী রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় বেড়েছে ওষুধের ব্যবহার। তাই সবচেয়ে বেশি হুমকিতে পড়েছে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত গাছগুলো। ৫ হাজার ৪শ' ১১ টি উদ্ভিদের মধ্যে ৭শ' ২৩ টিই হুমকির মুখে। কিছু উদ্ভিদ আবার প্রয়োজনের অতিরিক্ত উৎপাদন করা হচ্ছে। রিপোর্ট বলছে, গাছগুলো বিলুপ্ত হওয়ার আগেই নামকরন করে সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা খুব প্রয়োজন, আর এজন্য দরকার বরাদ্দ। তাহলে যদি মানব সভ্যতার বড় সমস্যা খাদ্য উৎপাদনে অনিশ্চয়তা আর জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে পারা যায়।

মানুষ ৯০ ভাগ খাদ্যের জন্য মাত্র ১৫ টি উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৭ হাজার ৩৯ টি উদ্ভিদ মানুষ খাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য হলেও এখন থেকেই এই সম্পদ রক্ষায় কাজ শুরু করা উচিত বলে জানান গবেষকরা।

তারা বলেন, ৮০ শতাংশ জ্বালানি উৎপাদনেও আমরা ৬ টি শস্য ব্যবহার করছি। সেগুলো হলো, ভুট্টা, পাল্ম অয়েল, সয়াবিন, গেন্ডারি, গম আর রাইসরিষা। গবেষকরা বলছেন, জ্বালানি উৎপাদনে আড়াই হাজার উদ্ভিদ ব্যবহার করা যায়। যা কাজে লাগতে পারে ওই ৪৮ কোটি মানুষের, যাদের কাছে এখনো বিদ্যুত পৌঁছায়নি। এখান থেকে তৈরি হতে পারে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি।

রিপোর্ট বলছে, ব্রাজিলে নতুন দুটি উদ্ভিদের প্রজাতি পাওয়া গেছে, যেগুলো পোকামাকড়মুক্ত আর রোগমুক্তভাবে উৎপাদন করা যাবে। তবে উদ্ভিদ রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে এতো প্রজাতির উপকারি উদ্ভিদ।

আগামীনিউজ/এএইচ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে