Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সার্বিক উন্নয়নে আজকের বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২, ০১:০৭ পিএম
সার্বিক উন্নয়নে আজকের বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকাঃ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে সেই পরিকল্পনা আমি করে দিয়েছি। সার্বিক উন্নয়নে আজকের বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) নবনির্মিত ‘রংপুর বিভাগীয় সদরদপ্তর কমপ্লেক্স ভবন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

রংপুর বিভাগীয় সদরদপ্তর কমপ্লেক্সের মাল্টিপারপাস হলের এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ এ সরকারে এসে আমরা ২০১০ থেকে ২০২০ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সেটা আমরা বাস্তবায়ন করেছি খুব সফলভাবে। যার ফলে আজকে ২০২১ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি সেই সময়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। জাতিসংঘ সেটা একেবারে সবাই মিলে প্রত্যেকটা দেশই আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে চাই এটা আমাদের লক্ষ্য। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যে ঘোষণাগুলো দিয়েছিলাম আল্লাহর রহমতে একে একে আমরা সবগুলো বাস্তবায়ন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, মানুষ অনেক স্বচ্ছল হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের আরও অনেকদূর যেতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশকে নিয়ে, এদেশের মানুষকে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন— ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়বেন, আমাদেরও লক্ষ্য- আমরা সেটাই করতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রংপুর অঞ্চলে প্রতিবছর মঙ্গা হতো। বিশেষ করে চৈত্র মাসে এবং কার্তিক মাসে, বছরে দুই বার এই মঙ্গা লেগেই থাকতো। আমরা এই কারণটা খোঁজার চেষ্টা করেছি। আমরা দেখেছি মানুষের কোনও কাজ থাকতো না, কোনও উৎপাদন থাকতো না, মানুষের খাবার ব্যবস্থা থাকতো না।  আমরা শুরু থেকেই পরিকল্পনা নেই, কীভাবে এটা দূর করা যায়। ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন কিন্তু মঙ্গা ছিল না। রংপুরবাসী মনে করতে পারবেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৮ সালেই মঙ্গা দূর করে দিয়েছিলাম।’

এসব অঞ্চলে গবেষণা চালিয়ে অভাবের সময়টাতে ফসল উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয় এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এর ফলে আমরা সরকারে থাকাকালে কোনও মঙ্গা ছিল না। দুর্ভাগ্যবশত পরে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আবারও মঙ্গা শুরু হয়।’ পরে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার রংপুর বিভাগ করা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিভাগ করার পর এই অঞ্চলে সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই অঞ্চলে আর মঙ্গা দেখা দেয়নি, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়নি। মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের অঞ্চল হয়ে গেছে রংপুর। যেটা একসময় খাবার অভাবে মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মারা যেতো।’

তিনি নিজের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমার মনে পড়ে যে, আমি যে মানুষগুলোকে দেখেছি; তারা যখন দাঁড়াতো, মনে হতো তাদের হাড় আর চামড়া ছাড়া আর কিছু নেই। জীবন্ত কঙ্কাল যেন ঘুরে বেড়াচ্ছে- এ অবস্থা আমার নিজের চোখে দেখা। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এখন সেই অবস্থা আর নেই, সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।’

সরকার প্রধান বলেন, আমি জানি এবার শীত পড়েছে। সবাই শীতে একটু কষ্ট পাচ্ছেন। আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছি। যারা বিত্তশালী আছেন তাদেরকে আমরা অনুরোধ করছি যে আপনারাও শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পারেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েই কিন্তু রংপুরবাসী এই সব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন সেটা বোধহয় ভুললে চলবে না। আমরা যখন যমুনা সেতু করে দেই সেই সেতুর সঙ্গে রেললাইন করে দিয়েছিলাম। তখন যারা আপত্তি করেছিল রেললাইন নিয়ে তারাই আবার প্রস্তাব দিলো নতুন রেললাইন। সেই নতুন রেললাইনও নির্মাণ হচ্ছে যমুনার ওপর। আপনারা এখন দ্রুত আসা যাওয়া করতে পারবেন। রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন।

আগামীনিউজ/বুরহান 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে