Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ যে তথ্য দেয়, তা সঠিক নয়: ইলিয়াস কাঞ্চন


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২২, ০৩:৪৭ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ যে তথ্য দেয়, তা সঠিক নয়: ইলিয়াস কাঞ্চন

ঢাকাঃ ‘নিরাপদ সড়ক চাই’- এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে পুলিশ যে তথ্য দেয় তা সঠিক নয়। তাদের তথ্য হলো এফআইআর রোড ক্রাশের তথ্য। এ ধরনের তথ্যের কারণে সরকার যেভাবে চায় সড়ক নিরাপত্তা তেমনটা হয় না। ফলে সঠিক পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব হয় না।

তিনি বলেন, পুলিশের তথ্য অনুযায়ী আমাদের রোড সেফটির দরকারই হয় না। সারা পৃথিবীর মধ্যে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাই। অথচ বাস্তবতা ভিন্ন। জাতিসংঘ যে তথ্যটি দিচ্ছে সেটিই সঠিক তথ্য। সেই তথ্য ধরেই আমরা কাজ করছি।

শনিবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, চার বছরেও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়িত হয়নি। এটি বাস্তবায়নে একটি গোষ্ঠীর বাধা আছে, তা আমরা জানি। আমরা আইনটিকে শক্তিশালী করতে চাচ্ছি, অন্যদিকে আরেকটি গোষ্ঠী চাচ্ছে এটিকে দুর্বল করতে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতি বছরই সরকারকে অনুরোধ করছি তারা যেন সঠিক একটি তথ্য দেয়। কিন্তু সেটি করা হচ্ছে না। তথ্য একটি বড় ব্যাপার। কেনো দুর্ঘটনা হচ্ছে, কি কারণে হচ্ছে, কত লোক মারা যাচ্ছে, কত আহত হচ্ছে তার সঠিক তথ্য না থাকলে আমরা সঠিক পরিকল্পনা করতে পারব না।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রাম (প্রজেক্ট) ম্যানেজার এম. খালিদ মামুন। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। কিন্তু চার বছরেও তা বাস্তব রূপ পায়নি। তাই রোড সেফটি কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে সড়ক পরিবহন বিধিমালা দ্রুত জারি ও বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।

এম. খালিদ মামুন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বব্যাপী মানুষের নিহত ও আহত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জাতিসংঘের উদ্যোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ কমানোর জন্য টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) ৩.৬ অর্জনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করা এবং ‘গ্লোবাল প্ল্যান ফর সেকেন্ড ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০২১-২০৩০’ নিশ্চিত করতে কার্যকর কর্মপন্থা নির্ধারণ করে সেগুলো বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা।

ইলিয়াস কাঞ্চনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- গ্লোবাল হোম অ্যাডভোকেসি ইনকিবিউটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম, ব্র্যাকের রোড সেইফটি প্রোগ্রামের পরিচালক আহমেদ নাজমুল কারদন, বুয়েটেরি অ্যাক্সিডেন্ট রিচার্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. হাদিউজ্জামান, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুল নেওয়াজ।

আরও উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) পরিচালক ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও আকাশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মিডিয়া কো-অডিনেটর রেজওয়ান নধীন, ইমপ্রেসিভ কমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিবুজ্জামান প্রমুখ।

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে