Dr. Neem on Daraz
Victory Day

এ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১, ০৫:৪৪ পিএম
এ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক ঘটনা। আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের এই মাইলফলক অর্জন সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায এই অর্জন ১২ বছরের নিরলস পরিশ্রমের ফসল। এই অর্জনের কৃতিত্ব দেশের মানুষের। এই অর্জন পুরো জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের।

আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে বিকেল ৪টায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে সূচনামূলক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় এক বছর পর তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসেন। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের এই অর্জন তিনি বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুরুর আগ মুহূর্তে তার হাতে হস্তান্তর করা হয় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ব বঙ্গ শুধু অবহেলিত ছিলো না। এই পূর্ব বঙের যত সম্পদ তার সবি নিয়ে যাওয়া হতো পশ্চিম পাকিস্তানে। অথচ সংখ্যা গরিষ্ট প্রায় ৫৬ ভাগ মানুষের জন্য ব্যায় করা হতো মাত্র ২৫/৩০ ভাগ সম্পদ। বাকি সব তারা ব্যবহার করতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম সোচ্চার হোন এবং তার প্রতিবাদ করেন। তিনিই সর্বপ্রথম অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন শুরু করেন। দেশ স্বাধীনতার পর এই দেশে নেমে আসে ভয়ংকর পরিস্থিতি, এই ধ্বংসপূর্ণ দেশটিকে বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় জিডিপির প্রবিদ্ধির হার ছিলো ৭ শতাংশে পৌঁছে। এবং বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করে। কিন্তু উন্নয়নের যে রূপরেখে করেছিলেন সেটি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। ৭৫ এর ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গন্ধুসহ স্বপরিবারে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে নেমে আসে ভয়ংকর পরিস্থিতি। প্রতিটা মুহুর্ত আতংক বিরাজ করতো। রাত ও দিনের অধিকাংশ সময় কারফিউ থাকতো। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বাঙলী জাতীকে মুক্তি দিতে এবং বঙ্গবন্ধুর সপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমি দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং জনগণের পূর্ণ সমর্থণ নিয়ে আমি দেশে আসি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য গ্রামের দুঃখ দুর্দশা মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে আমি গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে দুঃখ দুর্দশা আর অভাব অনটন দেখে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলমা আল্লাহ যাদি আমাকে কখনো দেশ পরিচালনার ক্ষমতা দেয় তাহলে সর্বপ্রথম গ্রামকে অগ্রাধিকার দিবো। এবং গ্রামের মানুষের উন্নয়নে কাজ করবো। তখন প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করতো।

৯৬ সালে জনেগণের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সর্বপ্রথম সরকার গঠন করে। সেই থেকে আমরা দেশেকে উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা করতে থাকি। আজকের যে অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ তা আমাদের বিগত ১২ বছরের নিরলস পরিশ্রম ও পরিকল্পনার সফল।

প্রিয় সাংবাদিকগণ, মাথাপিছু আয় মানব সম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত এই তিনটি বিষয়ে জাতিসংঘ পর্যালোচনা করে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথশ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের তিনটি মানদণ্ডই খুব ভালোভাবে পূরণ করতে সক্ষম হয়। তার ধারাবাহিকতায় এবার ত্রি-বার্ষিক সভায় অত্যন্ত সফলভাবে সকল মানদন্ডে সম্পন্ন করে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করলো।

আগামীনিউজ/এএইচ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে