Dr. Neem on Daraz
Victory Day

এমসিতে নববধূকে গণধর্ষণ: ৪ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল


আগামী নিউজ | জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২০, ০১:৩৮ পিএম
এমসিতে নববধূকে গণধর্ষণ: ৪ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল

সংগৃহীত ছবি

সিলেটঃ মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

গতকাল সোমবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১০তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে সভায় এই ন্যক্কারজনক ও বর্বরোচিত ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান সিন্ডিকেট সদস্যরা। 

একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অভিযুক্ত কলেজগুলোতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। 

আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফয়জুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া চার শিক্ষার্থী হলো ওই কলেজের বিএসএস ডিগ্রি পাস কোর্সের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত ছাত্র সাইফুর রহমান (২৮), ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), বিএসএস ডিগ্রি পাস কোর্সের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম (২৫) ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান (২৫)।

গেল ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তার সুন্দরী স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রাবাস থেকে ওই স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করেছে শাহপরান থানা পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যায় স্বামীকে নিয়ে এমসি কলেজে ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য কলেজের গেটের বাইরে বের হন। এসময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী তরুণীকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। তাতে বাধা দিলে তরুণীর স্বামীকে মারধর করা হয়। সেখানে একটি রুমে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। 

ওই রাতেই ভুক্তভোগী গৃহবধূকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। পরে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন এবং ঘটনার লোমহর্ষক বিবরণ আদালতের কাছে তুলে ধরেন। 

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ওই নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ ছাত্রলীগ নেতার নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করে ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত ওই নারীর স্বামী মাইদুল ইসলাম।

মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, মাহফুজুর রহমান, রবিউল ইসলাম ও তারেক আহমদ। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত। বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।  

ঘটনা তদন্তে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্তে ৪ শিক্ষার্থীর ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।

আগামীনিউজ/আশা

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে