Dr. Neem on Daraz
Victory Day

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২০, ০৭:৪২ পিএম
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে

ফাইল ছবি

রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এনডব্লিউপিজিসিএল ও চীনা কোম্পানি সিএমসির যৌথ মালিকানায় বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (রিনিউয়েবল) গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) কোম্পানি গঠনের চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। বলা হয়, পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে।

ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছি। আমাদের অকৃষি জমির সংকট রয়েছে। পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড জেনারেশনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। টিআর ও কাবিখার মাধ্যমে সোলার হোম সিস্টেম প্রসার করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, বাংলাদেশে সরকারি কোম্পানি সম্পর্কে একটি নেগেটিভ ধারণা রয়েছে। সিএমসি প্রমাণ করেছে সরকারি কোম্পানি মানেই অসফল নয়। আমরা জানি নবায়নযোগ্য জ্বালানি অনেকটা ব্যয়বহুল। আমার বিশ্বাস সিএমসি উৎপাদন খরচ হ্রাস করতে সক্ষম হবে। কারণ আল্টিমেটলি বাড়তি খরচের চাপটি গ্রাহকের উপরেই পড়ে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমদ বলেন, আমাদের যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে মিনি অর মাইক্রো জলবিদ্যুৎ হতে পারে কিনা সমীক্ষা করে দেখা উচিত।

ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, এনডব্লিউপিজিসিএল’র সিইও প্রকৌশলী এএম খোরশেদুল আলম, পাওয়ার সেল’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন প্রমুখ।

নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডব্লিউপিজিসিএল) শেয়ার ৫০ শতাংশ এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) শেয়ার থাকছে ৫০ শতাংশ। প্রাথমিকভাবে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে এগুলো হচ্ছে পাবনা ৬০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প। প্রকল্পটির জন্য ২০৫ একর ৬৮ শতাংশ অকৃষি খাস জমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণের কাজ চলমান। ডিসেম্বর ২০২১ উৎপাদনে আসবে। সিরাজগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প। প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন শেষ হয়েছে। ২১৪ একর ভূমি লিজ গ্রহণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। উক্ত প্রকল্পস্থানে বিদ্যমান ভূমি ও জীব-বৈচিত্রের কোনো ক্ষতি না করে পানির উপর পাইলের মাধ্যমে প্যানেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

যমুনা ১২৫ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পাবনা বেড়া উপজালায় বাস্তবায়ন হবে। এই প্রকল্পের জন্য ৪৪৩ একর ৩০ শতাংশ অকৃষি খাস জমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান। এই প্রকল্পটির কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। পায়রা ৫০ মেগাওয়াট উইন্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প প্রকল্পের উইন্ড ম্যাপিং সম্পন্ন করে এর ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য স্থানে মোট ১৬৫ মেগাওয়াট সৌর ও বায়ুশক্তি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প সমূহের স্থান বাছাইয়ের কাজ চলমান।

কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৬ কোটি টাকা। কোম্পানির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি (সৌর ওবায়ুশক্তি) ব্যবহার করে ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

রাষ্ট্রীয় কোম্পানি নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) ও চীনা কোম্পানি সিএমসির যৌথ মালিকানায় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদনে এসেছে। কোম্পানি দু’টির উদ্যোগ নতুন করে নবায়নযোগ জ্বালানি ভিত্তিক ৫’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ (সৌর অথবা বায়ু বিদ্যুৎ) উৎপাদনের লক্ষ্যে চুক্তি করা হয়।

আগামীনিউজ/এসএআই /জেএফএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে