ঢাকা : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার জন্য চারটি কোরবানির পশুর হাটের দরপত্র চূড়ান্ত করে মেয়রের দফতরে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে ‘হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি’। এছাড়া, বাকী ১০টি হাটের ট্রেন্ডার গ্রহণের প্রকৃয়া চলছে।
ডিএসসিসি প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন আগামীনিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বলেন, ৪টি হাটের দরপত্র চূড়ান্ত করে হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি মেয়রের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছেন। এছাড়া বাকি ১০টি হাটের জন্য ৯ জুলাই টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। পেয়ে গেলে আবার মেয়রের নিকট অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, নগরবাসী মনে করেন, এবারে করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সবার সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। ঈদের পর দেশে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চেষ্টার শেষ নেই। তবু সংক্রমণকে বসে আনা যাচ্ছে না, ক্রমেই বাড়ছে। ডিএনসিসি যে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরবানির পশুর হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা সাধুবাদ পাবার যোগ্য।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বর্জ্য অপসারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা শীর্ষক সমন্বয় সভায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের কোরবানির পশুর হাটে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে ষাটোর্ধ্ব যারা আছেন, তারা করোনাভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হন।
এছাড়া তিনি সঠিকভাবে পশুর হাট পরিচালনার জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে তাপস বলেন, করোনা মহামারিকে কোনভাবেই হালকা করে নেয়ার সুযোগ নাই। তাই, যারা কোরবানির পশুর হাটে যাবেন তারা যেন মাস্ক, হ্যান্ড-গ্লাভস পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশুর হাটে যান সেই অনুরোধ করছি।
রাসেল সাবরিন আগামীনিউজকে আরও বলেন, এবার করোনার কারণে স্বাস্থবিাধির ওপর কড়া নজর রাখা হবে। এজন্য আমাদের মেডিকেল টিম, মোবাইল কোর্ট ও লাইভস্টকের প্রতিনিধি থাকবে। এখানে কোন যদি স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে তবে, তাদের তাৎক্ষণিক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আগামীনিউজ/ইমরান/এমজামান