Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কোম্পানীগঞ্জে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের মৃত্যু


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১, ১২:১৫ এএম
কোম্পানীগঞ্জে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৫) চিকিৎসাধীন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
 
আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।
 
বোরহান উদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতালের আইসিইউতে রাত পৌনে ১১টার দিকে মারা যান বোরহান উদ্দিন।
 
বুকে ও গলায় গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর মুজাক্কিরকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালে, পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর জরুরিভাবে তাকে রক্ত দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই মুজাক্কিরকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
 
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দীন জানান, বোরহান উদ্দিনের গলায় ছররা গুলি লেগেছিল।
 
আহত মুজাক্কির উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বার্তা বাজার ডটকম ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কোম্পানিগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুযারি) রাত ৮টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা পাঠানো হয়।
 
কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান ইমাম রাসেল জানান, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন। এ অবস্থায় প্রথমে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
 
স্থানীয়রা জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর জেরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন।
 
পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশিরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আবদুল কাদের মির্জা এলে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
 
এতে সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আহত হন দু’পক্ষের অন্তত ৫০ জন।
 

আগামীনিউজ/এএইচ  

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে