1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ঈদের বেচাকেনায় করোনার ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা

উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২২, ১২:২৫ পিএম ঈদের বেচাকেনায় করোনার ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের বেচাকেনায় করোনার ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। গত দুই বছরে সরকারের কড়াকড়ি স্বাস্থ্যবিধি বজায় থাকায় বস্ত্র ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির শিকার হয়। এ বছর অতিমারী করোনার ছোবল তেমন না থাকায় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিধিবিধান নেই। ফলে বাজারে ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। কাপড় দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভীড়। থান কাপড়সহ গার্মেন্টসের কাপড়ের দোকানগুলো ক্রেতাদের জটে ঠাসা থাকছে। সকাল ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জমকালো কেনাবেচা চলছে। বিশেষ করে ইফতারের পরেই মানুষের স্রোত নামছে কাপড় বাজারের সড়কগুলোতে। রমজানের তৃতীয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ক্রেতাদের ভীড় সমানতালে দেখা যাচ্ছে। রোজার শেষ সপ্তাহে ভীড় বাড়ছে লুঙ্গি, শাড়ী, গেঞ্জি, কসমেটিক্সের খুচরা বিক্রির দোকানে। অন্যান্য বছরের তুলনায় সকল পণ্যের দাম দ্বিগুণ থেকে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেলেও ক্রেতার কমতি নেই ঈদ বাজারে। ঈদকে ঘিরে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে আসা মহচেনা ও সাগর দম্পতির সঙ্গে কথা হয়। তারা স্বামী স্ত্রী মিলে উত্তরা ইপিজেডে চাকরি করে। বেতন বোনাস পেয়েছে। যদিও বাজারে পণ্যের চড়ামূল্য তারপরও তারা খুশি। 

জানতে চাইলে তারা জানান, করোনাকালে বিধি নিষেধ থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্বেও ঈদের কেনাকাটা করা গত দুই বছরে সম্ভব হয়নি। এজন্য বাচ্চাদের মনে ঈদ আনন্দ ছিল না। এ বছর পণ্যের দাম তিনগুণ-চারগুণ বাড়লেও নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারছে। আর্থিক টানাপোড়েন বেশ আছে। তারপরেও আনন্দ আছে কেনাকটা করতে পারায়।  তাদের মতে জামা কাপড়ের মূল্য গত দুই বছরের তুলনায় তিন গুণ, চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য বাজেটে বেশ কড়া টান পড়েছে। কথা হয় মেসার্স থ্যাংকস ক্লথ স্টোরের মালিক এনামুল হক, মেসার্স জাহিদ ক্লথ স্টোরের প্রোপ্রাইটার জাহিদ হোসেন ও ইতি গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী নুর আলমের সঙ্গে। তারা জানান, করোনাকালে কোন ব্যবসা হয়নি তাদের। গত দুই বছর তারা কোনরকমে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছে। এ বছর আল্লাহ মুখ ফিরে চেয়েছে। তাদের মতে কাপড়ের দাম অন্যান্য বারের তুলনায় দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়লেও আশানুরুপ ক্রেতা মিলছে। বেচাকেনাও বেশ জমে উঠেছে। তবে দাম বাড়ার কারণে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায় সময় বাগবিতন্ডা বাধছে। অবশ্য খরিদদারদের বুঝিয়ে বলা হলে তারা সন্তুষ্টচিত্তে বাড়তি দামেও কেনাকটা করছে। ফলে এবারের বেচাকেনার মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাড়ানোর সুযোগ পাবে। কথা হয় পাইকারী কসমেটিক্স ব্যবসায়ী আবু নাসিম মিঠুর সঙ্গে। তিনি  বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে এবারের ঈদের বাজারে ব্যবসা বেশ জমে উঠেছে। আয়ও ভালই হচ্ছে। জুতার দোকানগুলোতেও তরুণ তরুণীদের ভীড় লেগেই আছে। 

জুতা ব্যবসায়ী আরশাদ হোসেন বলেন, এবারে যে হারে বেচাবিক্রি হচ্ছে তাতে করে গত দুই বছরের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এবারে অর্ধেক হলেও পূরণ হবে।

জিকরুল হক/এমএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner