1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আশীষের জামিন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২২, ১১:২৫ এএম নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আশীষের জামিন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ঢাকাঃ নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে জামিন কেন দেওয়া হবে না এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

বিচারিক আদালতের খারিজের পর উচ্চ আদালতে করা জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।

এ বিষয়ে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানান, সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় গ্রেফতার আশীষ রায় চৌধুরীর জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে এক মাস পর শুনানির জন্য ঠিক করেছেন আদালত।

এর আগে আসামি আশীষ রায় চৌধুরীর আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে গত ১৭ এপ্রিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার জামিন নামঞ্জুর করে রুল জারি করেন সর্বোচ্চ আদালত।

গত ৫ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে আশীষ রায়কে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বাসা থেকে ২২ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ বোতল সোডা ওয়াটার, একটি আইপ্যাড, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, দুটি আইফোন ও নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল রাতে আশীষ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১০ এর ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম।

পরে ৭ এপ্রিল তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মাদকদ্রব্য আইনে করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক শামীম হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর তাঁর বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। শুরুতে ক্লাবের ১১ সদস্য-কর্মচারীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় আদনান সিদ্দিকি নামের এক ব্যক্তিকে।

ডিবি পুলিশ তদন্তে নেমে ১৯৯৯ সালের ৩ জানুয়ারি গুলশান থেকে ক্লাব ট্রামসের মালিক বান্টি ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এর তিন দিন পর ৬ জানুয়ারি গুলশান লেডিস পার্কের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আলোচিত শিল্পপতি আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আদনান সিদ্দিকি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, হত্যাকাণ্ডের আগে এক শিল্পপতির ফোন পেয়ে তিনি ঢাকা ক্লাব থেকে ঘটনাস্থলে যান।

এক বছর তদন্তের পর ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এতে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ছাড়াও তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner