1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ওমিক্রন নিয়ে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই: স্বাস্থ্য অধিদফতর

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২১, ০৮:৩৫ এএম ওমিক্রন নিয়ে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই: স্বাস্থ্য অধিদফতর
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্ক বিশ্বজুড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পরে ইউরোপের বিভিন্ন হাসপাতালের প্রতিবেদন অনুযায়ী শিশু এবং কম বয়সীদের হাসপাতালের ভর্তির হার বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ওমিক্রন নিয়ে হেলাফেলা করার সুযোগ একেবারেই নেই।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে এক ভার্চুয়াল বুলেটিনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন।

অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, বিশ্বের প্রায় ১১০টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য ও গবেষণার ভিত্তিতে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত পাওয়া অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চাইতে ওমিক্রনের সংক্রমণের ক্ষমতা দুই-তিন গুণ বেশি।

তবে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা ৩০ ভাগ কম জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য একটা ভালো খবর। ডেল্টা বা আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা ২০ ভাগ কম থাকবে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে কাপড়ের মাস্কের চেয়ে মেডিক্যাল গ্রেডের মাস্ক ব্যবহার বেশি সুরক্ষা দেয়।

তিনি আরও বলেন, করোনা প্রতিরোধে আগে যেসব প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছিল সেগুলোই থাকবে। আর কাপড়ের মাস্কের চেয়ে মেডিক্যাল গ্রেডের মাস্ক ব্যবহার করলে ওমিক্রন থেকে বেশি সুরক্ষা পাওয়া যায়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে, খোলামেলা আবহাওয়ায় থাকলে এবং বারবার হাত ধুতে পারলে আমরা অনেক বেশি ট্রান্সমিশন রোধ করতে পারবো।

অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, আগের ভ্যারিয়েন্টগুলো থেকে ওমিক্রনে আক্রান্ত অনেক বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউরোপ এবং আমেরিকায় যেসব কেইস পাওয়া গেছে তাতে হাসপাতালে ভর্তি ও সংকটাপন্ন হয়ে আইসিইউতে থাকা—এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি।

যদি কেউ আগে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং পরবর্তী সময়ে ভ্যাকসিন নেন তাহলে তাদের সংক্রমণের শঙ্কা কম। তবে যেহেতু এটি দ্রুত ছাড়ায়—তাই আমরা যদি অসংখ্য রোগী পাই, সে ক্ষেত্রে অন্য রোগের কারণে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন লাখ ছাড়াচ্ছে সংক্রমণের হার। সে জন্য তারা বুস্টার ডোজের মাধ্যমে সংক্রমণের হার কমানো যায় কিনা সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন—বলেন ডা. রোবেদ আমিন।

আগামীনিউজ/বুরহান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner