1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

১২ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও হয়নি চাকরি, স্ট্রোকে মৃত বাবাকে নিয়ে অনশন

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড় প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২২, ০৮:২৫ পিএম ১২ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও হয়নি চাকরি, স্ট্রোকে মৃত বাবাকে নিয়ে অনশন

পঞ্চগড়ঃ চাকরি দেয়ার নামে ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চগড়ের প্রধানপাড়া দারুলফালাহ দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি জুলফিকার আলী প্রধানের বিরুদ্ধে। এদিকে ছেলের চাকরি না হওয়ায় স্ট্রোক করে দবিরুল ইসলাম (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পরে টাকা ফেরত চেয়ে তার মরদেহ নিয়ে সেই জুলফিকার আলীর বাড়িতে অনশনে বসে নিহতের পরিবারসহ স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে গভীর রাতে বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবার আলোচনায় বসেন। 

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) গভীর রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দবিরুল ইসলাম (৬০) ওই গ্রামের শনিবুল্লাহর ছেলে।

স্থানীয় ও মৃতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে জানান, ২ বছর আগে জুলফিকার প্রধানপাড়া দারুলফালাহ দাখিল মাদ্রাসায় সভাপতি থাকা অবস্থায় দবিরুলের ছেলে আব্দুস সবুরকে মাদ্রাসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১২ লক্ষ টাকা দাবি করেন। দবিরুল জমি, গরু-ছাগল বিক্রি করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অংকের টাকা মিলিয়ে তাকে ১২ লক্ষ টাকা দেন। কিন্তু এর মাঝে তার সভাপতির মেয়াদ অতিক্রম হয়ে যায়। অন্যদিকে সব কিছু বিক্রির পরেও ছেলের চাকরি না হওয়ায় শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন দবিরুল। অসুস্থতার মাঝে পরিবারের চাহিদা মেটাতে না পেরে এবং চাকরির জন্য দেয়া ১২ লাখ টাকা ফেরত না পেয়ে বিভিন্ন চিন্তায় গত মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) স্ট্রোক করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে রংপুরে নিলে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন দবিরুল। সেখান থেকে সন্ধ্যায় ছাড়পত্র নিয়ে গ্রামে নিয়ে আসলে চাকরির জন্য দেয়া ১২ লাখ টাকা ফেরতের দাবি তুলে স্থানীয়দের সহায়তায় সাবেক সভাপতির বাড়িতে মরদেহ রেখে দেওয়া হয়।

এক পর্যায়ে গভীর রাতে বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবার আলোচনায় বসেন। পরে জুলফিকার আলী ৬ লাখ টাকা দিতে চাইলে উভয় পরিবার সমঝোতায় আসে। রাতেই এক লাখ টাকা পেয়ে স্টাম্পের উপর একমাস সময় চেয়ে বাকি ৫ লাখ টাকা দিতে চাইলে মরদেহ সরিয়ে নেয় নিহতের পরিবারের সদস্যরা। 

সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উভয় পক্ষ গভীর রাতে সমঝোতায় এসে মৃতের মরদেহ সরিয়ে নেয়।  সকালে লাশ দাফন করে।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner