আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে যেতে শুরু করেছেন পাবনার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। বাস-ট্রাক বন্ধ থাকায় ট্রেন, সিএনজি, অটোসহ নিজ নিজ ব্যবস্থায় রাজশাহী অভিমুখে ছুটছেন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতশত নেতাকর্মী।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে (হাজি মুহম্মদ মুহসীন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে) এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তবে সমাবেশের তিন দিন আগে থেকেই রাজশাহীমুখী রওনা হয়েছেন নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) গণপরিবহন ধর্মঘট শুরু আগেই বুধবার থেকেই নেতাকর্মীরা রাজশাহীতে রওনা হয়েছেন। নেতাকর্মীরা নগরের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান নিয়েছেন, অনেকেই সমাবেশস্থল ও আশপাশে টানানো তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন। বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে কম্বল মুড়ি দিয়ে খোলা আকাশের নিচেই কাটিয়ে দিচ্ছে। পথে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে তাদের বাধা দিচ্ছে। তবুও সব বাধা উপেক্ষা করেই তারা সমাবেশস্থলে পৌঁছে যাচ্ছেন।
এর আগে পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবুকে গ্রেফতার পুলিশ। পাবনা শহরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। তবে নেতাকর্মীরা বলছেন, সমাবেশে পাবনা থেকে যাতে নেতাকর্মীরা যেতে না পারে সেই জন্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সমাবশে যোগ দিতে নেতাকর্মীরা বুধবার রাতে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হোন। পাবনা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে যখন নেতাকর্মীরা গাড়িতে উঠতে ছিলেন তখন পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তাদের সঙ্গে থাকা খাবার ও রান্না করার জিনিসপত্রও পুলিশ নিয়ে যায়। এসময় কয়েকটি বাস থেকে নেতাকর্মীদের নামিয়ে দিয়ে বাস নিয়ে চলে যায়। পরে ওই নেতারা বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনযোগে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘সমাবেশে যাতে কোনো নেতাকর্মী যেতে না পারে সেজন্য সরকার বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে রাজশাহী অভিমুখে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। আশা করি সমাবেশ শুরু আগেই রাজশাহীতে জনসমুদ্র হবে। কোনো বাধাই আমাদের আটকাতে পারবে না।’
এসএস