1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র থেকে কবে মিলবে বিদ্যুৎ?

জেলা প্রতিনিধি,পাবনা প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ০৭:০৯ পিএম রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র থেকে কবে মিলবে বিদ্যুৎ?

পাবনাঃ পাবনার রূপপুরে দেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টদের আশা, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে দেশের প্রথম এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। সম্প্রতি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি (রিঅ্যাকটর প্রেশার ভেসেল) স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে এই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন। বাণিজ্যিকভাবে এই কেন্দ্রের আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ৬০ বছর। প্রকল্প অনুযায়ী, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করার কথা রয়েছে।

যদিও ইতোমধ্যেই প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর জানিয়েছেন, সামনের বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রথম ইউনিটের সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপরই প্রথম চুল্লি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে।

একই কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আগামী বছরের মধ্যেই প্রথম জ্বালানিও চলে আসবে। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা রেডি। আগামী বছরের ডিসেম্বর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করতে পারবে।’

বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর আরও বলেছেন, ‘প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা রেডি থাকব। আমাদের সমস্ত ইনফ্রাকচার যদি রেডি থাকে, তাহলে আমরা শুরু করতে পারব। আমরা আশা করছি, ২০২৩ সালের শেষ দিকে প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ হবে। এরপরে আমরা কমিশনিং শুরু করব। এরপর জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যাবে। এই কমিশনিংয়ের কাজ ২০২৩ সালের শেষ দিকে শুরু হওয়ার কথা।

এদিকে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- এখন পর্যন্ত প্রথম ইউনিটের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষ হয়েছে ৪৮ শতাংশ। আর পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৫৫ শতাংশ। ফলে সামনের বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রথম চুল্লির জন্য জ্বালানি পাওয়ার আশা করছেন কর্মকর্তারা। এতে সেই বছরের অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর কথা ভাবা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি সরবরাহ শুরু করতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি হয়ে যাবে বলে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।

কতটা নিরাপদ হচ্ছে রূপপুরের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র?

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর বা কমিশনিং প্রক্রিয়ায় চুল্লী স্থাপন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরমাণু বিজ্ঞানীরা রিঅ্যাকটর প্রেশার ভেসেলকে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ‘হার্ট বা হৃৎপিণ্ড’ বলে থাকেন। পাবনা জেলার রূপপুরের এই পারমাণবিক চুল্লি নির্মিত হয়েছে রাশিয়ায়।

রূপপুর কেন্দ্রে দুটি ইউনিটে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। যা বাংলাদেশে একক প্রকল্প হিসেবে সবচেয়ে বড় কোনো অবকাঠামো প্রকল্প।

সময়সীমার মধ্যে হবে বিদ্যুতের উৎপাদন?

কর্মকর্তারা ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সরবরাহ শুরুর আশাবাদের কথা বললেও সেটি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। এর আগে ২০২২ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং ২০২৩ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন প্রথম ইউনিটের জন্য ২০২৪ সালের মাঝামাঝি আর দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য ২০২৫ সাল লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এজাজ হোসাইন বলছেন, ‘কীভাবে কাজ হচ্ছে, সেটা তাদের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। এটা অসম্ভব না, আমরা আশা করতে পারি। তবে সেখানে বেশ ভালো রকম প্রোগ্রেস হচ্ছে। কিন্তু সঞ্চালন ব্যবস্থা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সেটা ঠিক সময়ে না হলে তো বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাবে না।’

সঞ্চালন লাইন নিয়ে জটিলতা

প্রকল্প কর্মকর্তারা ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার আশা দেখালেও তা জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, উৎপাদন করা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে নেওয়ার জন্য যে সঞ্চালন লাইন দরকার, সেটা এখনো পুরোপুরি তৈরি হয়নি।

এ বিষয়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াকুব ইলাহি চৌধুরী বলছেন, ‘পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো, এখানে আমাদের দুটা রিভার ক্রসিং আছে। যমুনা নদীতে দুটি আর পদ্মা নদীতে একটি। সেগুলোর ওপর দিয়ে সঞ্চালন লাইন নেওয়ার জন্য কিছুদিন আগে টেন্ডার করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এসব কাজ শেষ হতে ২০২৪ সালের অগাস্ট পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।’

এই সময়ের আগে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করা সম্ভব হবে না। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজের জন্য বাঘাবাড়ি থেকে রূপপুর ২৩০ কেভির লাইন গত জুন মাসে সম্পন্ন করেছে পিজিসিবি। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে এই সঞ্চালন লাইনের কাজ আরও পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। কারণ, ঠিকাদারের কাজ শুরুর জন্য যে প্রাথমিক টাকা দিতে হয়, ডলার সংকটের কারণে সেটাও এখনো দিতে পারেনি পিজিসিবি। ফলে কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner