1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

রাজশাহী ছাত্রলীগের সেই দুই নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ

জেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০৫:১৮ পিএম রাজশাহী ছাত্রলীগের সেই দুই নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ

রাজশাহীঃ নানা অপকর্মে সমালোচিত রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানা ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ গঠিত তদন্ত কমিটি ওই প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

ইতোমধ্যে দাখিলকৃত প্রতিবেদনের একটি কপি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আসে। যেখানে তদন্ত কমিটির সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শেখ শামীম তূর্য, উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস ও সহ-সম্পাদক তানভীর আব্দুল্লাহর স্বাক্ষর রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত সমস্ত তথ্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ১নং সহ-সভাপতি, ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক যে সকল কর্মকাণ্ডে জড়িত তা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ও আদর্শের সাথে চরম মাত্রায় সাংঘর্ষিক।

এমতাবস্থায় রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট এদের দ্বারা পরিচালিত হলে সংগটনের ভাব-মূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট হবে যা আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে। সুতরাং তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জোর সুপারিশ করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ও তদন্ত কমিটির সদস্য আপন দাস বলেন, আমরা সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এটি নিয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে কী সুপারিশ করেছেন সেটি তিনি এখনই জানাতে চাননি।

তবে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানাকে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আর সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমির দাবি এসব কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না তিনি।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। যা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় রাজশাহীসহ জাতীয় রাজনীতিতে। ভাইরাল চার মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই অডিওতে এক নারী ছাত্রলীগ নেত্রীকে বিছানায় আসার প্রস্তাব দেন বলে শোনা যায়। এছাড়াও আরেক নারীকে পাঠাতে বলেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।

ফাঁস হওয়া ওই রেকর্ডে আরও বলতে শোনা যায় (পুরুষকণ্ঠ), 'তুমি আমার সাথে নাটক করিচ্ছো তাই না?' মেয়েটি বলেন, 'কীসের নাটক ভাইয়া?' রানা বলেন, 'তোমার কথা-কাজে মিল পাচ্ছি না। চিটারি করতে পারবা না। বহুত বড় চিটারি-বাটপারি কইরি আমি প্রেসিডেন্ট হইছি। সব চিটারের দলের সর্দার আমি। তুমি না হয়, আসতে চায়া আসলে না, কাকে যে পাঠাতে চাইলে সে কই? একজনের সাথে কইরি তুমি যদি বড় নেত্রী হও, সেটা মানুষ মাইনি লিতে পারে না, তুমি বুঝো না?'

অপর পাশ থেকে মেয়েটি বলেন, 'এগুলো তো ভাইয়া অবান্তর কথা, আর আমার ফাইন্যান্সিয়াল সাপোর্ট দরকার নাই। আমি যথেষ্ট ভালো আছি। সংগঠনটাকে ভালোবেসেই আসছিলাম।' রানা বলেন, 'তাহলে শোন ঠিক আছে আর শান্ত-মান্তর কোনো বেল নাই।' মেয়েটি বলেন, 'তো ভাইয়া আপনি মেয়ের কথা কালকে বলছিলেন, তো আমি ছবি পাঠাইছিলাম।' রানা উত্তরে বলেন, 'দেখ দেখ পাঠাতে পারো নাকি?' মেয়েটি জানান, 'উনিও তো ফ্যামিলির সঙ্গে থাকে।' রানা বলেন, 'এখন আটটা বাজে। কী এমন রাত? দেখ দেখ ফোন দাও। পাঠাও। কেউ যেন না জানে।' মেয়েটি বলেন, 'কে জানবে, আপনি আমাকে ভরসা করতে পারেন।' যদিও অশ্লীল ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে রানা বলেন, 'সেটা আমি না। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।’

এই নেতাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, মাদকসেবন করে মাতলামি করা, এক সময়ের ছাত্রদল নেতাকে ছাত্রলীগের পদে বসানো, নিজ দলের কর্মীকে মারধর করার অভিযোগও উঠতে থাকে একের পর এক। এছাড়া প্রথমে শিবির, পরে ছাত্রদল হয়ে ছাত্রলীগে আসার অভিযোগও আসে রানার বিরুদ্ধে। 

এর মাঝেই সাকিবুল ইসলাম রানার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী। রাবির এডহক শাখায় চাকরি দিতে তিনি এক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা যায়।

অন্যদিকে মাদক সেবন ও নির্যাতনের অভিযোগ থেকে বাদ যান নি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিও। গত ২৬ জুলাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুন্নবী হোস্টেলে মিলন হোসেন নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগ নেতা অমির বিরুদ্ধে। মাদক সেবনসহ খারাপ পরিবেশ দেখে অমির ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে এ নির্যাতন করা হয়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিমানবন্দরে প্রকাশ্যে আমিনুল ইসলাম সবুজ নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পেটান অমি। ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাকে মারধর করেন তিনি।

এসবের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শেখ শামীম তুর্য, উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস, সহ-সম্পাদক তানভীর আব্দুল্লাহকে রাখা হয়। তারা রাজশাহী এসে সরেজমিন ঘুরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner