1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

শৌচাগারের দরজায় বঙ্গবন্ধুর ছবি, পোস্ট করে কারাগারে তরুণ

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২২, ০৭:১৩ পিএম শৌচাগারের দরজায় বঙ্গবন্ধুর ছবি, পোস্ট করে কারাগারে তরুণ

দিনাজপুরঃ দিনাজপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় মশিউর রহমান (২২) নামের এক তরুণ স্বেচ্ছাসেবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি শৌচাগারের দরজায় থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মশিউর নিজেই বঙ্গবন্ধুর ছবিটি শৌচাগারের দরজায় রেখে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছেন। যদিও মশিউরের পরিচিতরা বলছেন, শৌচাগারের দরজায় বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখে সচেতন করতেই মশিউর ওই ছবিটি ফেসবুকে দিয়েছিলেন। এখন তাকেই মামলায় জড়িয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।

মশিউর রহমান ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দোগাছি গ্রামের বাসিন্দা। পড়াশোনা করেন দিনাজপুর আদর্শ কলেজে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে। থাকেন শহরের লেবুরমোড় এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে। মশিউর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি। মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত জোগাড় করে দেওয়ার কাজে যুক্ত। করোনার সময় এবং দিনাজপুরের গোর এ শহীদ ঈদগাহের জামায়াতে দায়িত্ব পালনে জেলা প্রশাসনের করা স্বেচ্ছাসেবীর তালিকাতেও তার নাম রয়েছে।

মশিউর দিনাজপুর জেলা সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য। এই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে মশিয়র রহমান তার এক বন্ধুর আত্মীয়কে রক্তদানের জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। রক্তদান শেষে ফেরার পথে হাসপাতালের নিচতলায় পরিত্যক্ত টয়লেটের দরজায় জাতির জনকের ছবিটি দেখতে পেয়ে সেটির ছবি তুলে ফেসবুকে দেন। ক্যাপশনে তিনি ‘বিষয়টা খুব দুঃখজনক’ উল্লেখ করেছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের পক্ষে ওয়ার্ডমাস্টার ফারুক উল আলম বাদী হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। রাত দুইটায় পুলিশ মশিউরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি মশিউর রহমান উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিত্যক্ত টয়লেটের দরজায় জাতির জনকের ছবিটি রেখেছেন। বর্তমান সরকার ও জাতির পিতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর জন্যই তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিনাজপুর জেলা সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক সদস্য বলেন, ছবিটি পোস্ট করা নিয়ে মশিউরের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে প্রতিবাদ করার জন্য তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার লোকজন তাদের সেখানে প্রতিবাদ করতে দেয়নি।

জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক কাজী শামীম হোসাইন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করলে তো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই হবে। সে কোথা থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে এসে অসৎ উদ্দেশ্যে সেখানে ছবিটি রেখেছে এবং ফেসবুকে দিয়েছে আমরা জানি না।’ হাসপাতাল পরিচালকের দাবি, ছবিটি যে জায়গায়, সেখান দিয়ে সব সময় মানুষ যাতায়াত করে। ছবিটি ওই জায়গায় থাকলে কারও চোখে পড়ত। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। ওই তরুণ কেন সেখানে ছবিটি রেখেছে, তদন্তকারী সংস্থা তা বের করবে।

মা-বাবার দুই সন্তানের মধ্যে মশিউর দ্বিতীয়। বাবা পেশায় কৃষক। মুঠোফোনে তার মা নাসরিন বেগম বলেন, মশিউর কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগীকে রক্ত জোগাড় করে দেওয়ার কাজ করেন। কোনো দিন কারও সঙ্গে তার ঝগড়াবিবাদ পর্যন্ত হয়নি। রোগীর জন্য রক্ত দরকার জানিয়ে রাতে পুলিশ ফোন করে মশিউরকে। পরে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারেন তাকে পুলিশ আটক করেছে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে মামলার ভিত্তিতে আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের পরে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। পুলিশ কাজ করছে।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner