অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে ইউপি সদস্যের লাথি

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২২, ০৯:৫২ এএম

গাইবান্ধাঃ জেলার সাদুল্লাপুরে নমিতা রানী (২০) নামের ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর পেটে লাথি মেরে গর্ভপাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য রওজা প্রামানিকের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করেছে ওই নারীর মা। বর্তমানে অসুস্থ নমিতা রানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের টিয়াগাছা (চালনদহ) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত অন্তঃসত্ত্বা নমিতা রানী ওই গ্রামের কান্তি চন্দ্রের মেয়ে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, টিয়াগাছা (চালনদহ) গ্রামের কান্তি চন্দ্রের স্ত্রী সবিতা রানীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে একই গ্রামের পতিরাম চন্দ্রের স্ত্রী সজনি রানী ও তার মেয়ে কাকুলি রানী ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এসময় সবিতা রানী ও তার স্বামী কান্তি চন্দ্রকে মারপিট করতে থাকে। এতে নমিতা রানী বাধা দিতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা মৃত বাবু প্রামানিকের ছেলে ও ভাতগ্রাম ইউপি সদস্য রওজা প্রামানিক উত্তেজিত হয়ে কিল-ঘুষিসহ অন্তঃসত্ত্বা নমিতা রানীর পেটে লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় স্বজনরা। সেখানে আঘাতের যন্ত্রণায় বিছানায় কাতরাচ্ছে নমিতা রানী।

সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাবিবা বলেন, 'নমিতা রানীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।'

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রওজা প্রামানিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'দু'পক্ষের মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করি। আমি নমিতা রানীকে কোনো ধরনের লাথি কিংবা মারপিট করিনি।'

সাদুল্লাপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মোস্তাফিজার রহমান বলেন, 'মারামারি বিষয় সংক্রান্ত একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ অভিযোগে বাদী হয়েছেন নমিতা রানীর মা সবিতা রানী।'

সুদীপ্ত শামীম/এমবুইউ

• বিষয়:
• গাইবান্ধা