1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

বেতাগীতে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ১০ গ্রামে ঈদ আজাহা উদযাপন

উপজেলা প্রতিনিধি, বেতাগী (বরগুনা) প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২২, ০৬:০৯ পিএম বেতাগীতে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ১০ গ্রামে ঈদ আজাহা উদযাপন

বরগুনাঃ উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই  ১০টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজাহা উদযাপিত হচ্ছে।

শনিবার (০৯ জুলাই মে) সকাল ৮টায় উপজেলার বকুলতলী গ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইমামতি করেন হাফেজ মো. রমজান আলী।

এলাকাবাসী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিল রেখে বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা, খোন্তাকাটা, গ্রেদ লক্ষ্ীপুরা, হোসনাবাদ ইউনিয়নের আনোর জলিশা, কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী এলাকার প্রায় ১০ গ্রামে চিশতিয়া কাদেরীয়া সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার অনুসারীরা প্রতিবছরই সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আগাম রোজা ও আগাম ঈদ পালন করে আসছেন। 

উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোন্তকাটা গ্রামের বাসিন্দা মো: শহাজাহান বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা  এবং দুই ঈদ পালন করে আসছি। তাই এখনও সেই নিয়মই পালন করছি। 

উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. গোলাম সরোয়ার সহ একাধিক প্রবীন ব্যাক্তিরা  জানান, প্রায় ১০০ বছর ধরে তার গ্রামের মানুষ  সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগে রোজা ও দুই  ঈদ উদযাপন করে আসছেন। কাদেরিয়া চিশতিয়া তরিকাপন্থী বাংলাদেশের সাতকানিয়া থানার মির্জাখিল দরবার শরীফের হজুর কেবলার  নির্দেশে এইভাবে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। 

বেতাগী কেন্দ্রীয়  জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব বলেন, বেতাগীতে কিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। এটি তাদের দীর্ঘদিনের রীতি। তবে এটা শরিয়ত সম্মত নয়। কারণ সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সময় ব্যবধান ৩ ঘন্টা। যদি সৌদির সাথে মিল রেখে রোজা এবং ঈদের নামাজ আদায় করতে হয় তাহলে তারা কেন অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৌদির সাথে মিল রেখে করেন না। 

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা আগাম রোজা পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলার কিছু গ্রামের মানুষ এভাবেই রোজা ও দুই ঈদ পালন করেন।’

সাইদুল ইসলাম মন্টু/এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner