1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

বৃষ্টিতে ভিজে শোলাকিয়ায় লাখ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ৩, ২০২২, ১১:৪৪ এএম বৃষ্টিতে ভিজে শোলাকিয়ায় লাখ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়

কিশোরগঞ্জঃ দু’বছর পর আবারও দেশের ‘সবচেয়ে বড়’ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে শোলাকিয়া মাঠে ছিল মুসল্লিদের ঢল। এবারের জামাতে প্রায় চার লাখ মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজের অংশ নিয়েছেন বলে ধারণা করছেন আয়োজকরা।

মঙ্গলবার (৩) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ঈদুল ফিতরের ১৯৫তম জামাতে ইমামতি করেন বড়বাজার মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুল রব। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

রাত থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসল্লিরা শহরে প্রবেশ করতে থাকেন। ভোরে হাজার হাজার মুসল্লির পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে কিশোরগঞ্জের রাস্তাঘাট। কেউ গাড়িতে চড়ে কেউবা পায়ে হেঁটে জামাতে অংশ নিতে আসেন। সকাল ৯টার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় শোলাকিয়া মাঠ। কড়া নিরাপত্তার মধ‌্যে মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ করে জামাতে অংশ নেন। দুই বছর পর শোলাকিয়ায় জামাত হওয়ায় বহু মুসল্লি মাঠের আশপাশের রাস্তাগুলোতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মুসল্লি শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করতে আসেন।

রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে বন্দুকের গুলির শব্দে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার সংকেত দেওয়া হয়। এরপর নামাজ শুরু হয়। নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি-শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

মুসল্লিদের যাতায়াতে এবার শোলাকিয়ায় স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয় স্বেচ্ছাসেবক দল।

২০১৬ সালে জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মুসল্লিদের কয়েকবার তল্লাশির মুখোমুখি হতে হয়।

বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সদস্যরা ছাড়াও মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। তাছাড়া মাঠ ও প্রবেশ পথগুলোতে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়।

পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, ‘সকাল থেকেই পুরো মাঠ আবার তল্লাশি করা হয়। শহরের যত অলিগলি আছে, সবখানে আমাদের নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ছিল শোলাকিয়ায়। পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সদস্যের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। আমরা খুব সন্তুষ্ট এত বড় একটি জামাত নির্বিঘ্নে শেষ করতে পেরে।’

ঈদের জামাতকে ঘিরে শহরের মোড়ে মোড়ে নির্মাণ করা হয় শুভেচ্ছা তোরণ। রাস্তার দু পাশে টাঙানো হয় রঙবেরঙের পতাকা ও ব্যানার। মুসল্লিদের সুবিধায় পুরো মাঠ ও আশপাশে খাবার পানির ব্যবস্থা রাখে পৌর কর্তৃপক্ষ। মাঠে তৎপর ছিল স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল টিম। স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করে স্কাউট সদস্যরা। সব মিলিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় মুখর ছিল গোটা শোলাকিয়া মাঠ। সকালে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি বিশেষ ট্রেন ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে কিশোরগঞ্জে আসে।

জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, গত দু বছর করোনা মহামারির কারণে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত হয়নি। এ জন্য মুসল্লিদের মনে একটি আক্ষেপ ছিল। আজ লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে শোলাকিয়া মাঠ আবারও নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সবার সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উপমহাদেশের একটি বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জনশ্রতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।

এমএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner