1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

টংকাবতীতে ঘূর্ণিঝড়ে ১২২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত

বান্দরবান প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২২, ০৮:৫১ পিএম টংকাবতীতে ঘূর্ণিঝড়ে ১২২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত

বান্দরবানঃ সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঘূর্ণি ঝড়ের কবলে ১২২টি ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গৃহহীণ হয়ে পড়েছে পরিবার গুলো।

গত বুধবার(২০ এপ্রিল)সকালে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের ম্রো পল্লীগুলোর শতাধিক ঘর ভেঙে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১২২টি পরিবার।

সরেজমিনে, টংকাবতী ইউনিয়নের রামজু পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ৬টি ঘর কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙে গিয়েছে। ওখানকার গৃহহীণ পরিবার গুলো বর্তমানে প্রতিবেশি বা আত্মীয়ের ঘরে আশ্রয় নিয়েছে।

রামজু পাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রেনপং ম্রো, সাইদাও ম্রো, মেনলে ম্রো, পাসিং ম্রো বলেন, গত ২০এপ্রিল হঠাৎ করে কার বৈশাখী ঝড় হলে বাতাসে আমাদের ঘরের চালসহ সব উড়িয়ে নিয়ে গেছে।আমরা এখন গৃহহীণ অবস্থায় জীবকা নির্বাহ করছি। আজ ৪দিন হয়ে গেলো এখনো কেউ আমাদের সাহায্য সহযোগীতা করতে আসেনি।

একই পাড়ার য়ংরাও ম্রো আক্ষেপ নিয়ে বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র কিছুই রক্ষা করতে পারিনি।এমনকি কষ্ট করে কেনা সোলার প্লেটটাও বাতাসে উড়ে গিয়ে খুঁজে পাচ্ছিনা এখন। এলাকার মেম্বারও এ বিষয়ে কোন খোঁজ নিচ্ছেনা। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালেও কোন সহযোগীতার লক্ষণ নেই।আমি আর এখানে থাকবো না। অন্যত্র স্থানে গিয়ে কোন মতে নতুন ঘর তুলে থাকবো।

রামজু পাড়ার কারবারী(গ্রাম প্রধান) মেনপা ম্রো(৬০) বলেন, ঝড়ের বাতাসে আমার পাড়ার কিছু ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। যা থাকার মতো মোটেই উপযোগী নয়। এখনো সাহায্য সহযোগীতার জন্য কেউই আসেনি। তবে এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য  সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সমাজের জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য য়ংওয়াই ম্রোকে এ বিষয়ে জানার জন্য বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করার পরও কোন সাড়া মেলেনি।

বিষয়টি নিয়ে টংকাবতী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাংয়ং ম্রো জানান, গত ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়া বিষয়টি আমি জানার পরে এলাকা গুলো ঘুরে দেখেছি। আর শুধু রামজু পাড়াতে নয়। আমার পুরো ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ১২২টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।আমরা তাদের তালিকা তৈরি করেছি।আজকে(২৪এপ্রিল)তালিকাগুলো সদর ইউ এন ও স্যারের কাছে জমা দিবো।কারণ অফিসিয়ালভাবে এক সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহযোগীতা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।এ মুহুর্তে ইউনিয়নে কোন ফান্ড নেই। তারপরও আমার ইউনিয়নের কয়েকজনকে নিয়ে আলাপ করে ব্যক্তিগত থেকে যতটুকু পারি সাহায্য করবো।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর তালিকা সদর উপজেলা ইউএনও নিকট আসলে সরকারী ভাবে অতিসত্বর সহযোগিতার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উথোায়াইচিং মারমা/এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner