1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

৬৮ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে ৫৮ বছরের নারীর বিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২২, ০৮:৩৪ এএম ৬৮ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে ৫৮ বছরের নারীর বিয়ে

সাতক্ষীরাঃ অভাবের সংসারে জন্ম হয়েছিল হামিদা বেগমের। তার বয়স এখন ৫৮ বছর। বাবা-মাকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। দুই বোনের মধ্যে বড় তিনি। ছোট বোনের বিয়ে হয়ে গেলে একা হয়ে যান হামিদা। তবে নিজে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। অবেশেষে হামিদা বেগম বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন। গ্রামবাসীর আয়োজনে ৬৮ বছর বয়সী মোকছেদ আলী গাজীর সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

হামিদা বেগম সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত শহর আলী গাজীর মেয়ে। দিনমজুরের কাজ করে কোনো মতে চলতেন তিনি। বর মোকছেদ আলী গাজী একই উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের মৃত ছবেদ আলী গাজীর ছেলে। তিনি নিজের জমিজমা দেখাশোনা করেন।

তারালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক ছোট বলেন, হামিদা আপার বয়স ভোটার আইডি কার্ডে ৫০ হলেও বাস্তাবে ৫৭-৫৮ বছর হবে। তিনি খুব গরিব, তবে ধর্মভীরু ও চরিত্রবান। এলাকার মানুষ কেউ কোনোদিন তার নামে কোনো বদনাম দিতে পারেনি। কেউ কখনো কোনো অভিযোগও দেয়নি তার বিরুদ্ধে। তবে আপা বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। আসলে কী কারণে তিনি বিয়ে করতে চাইতেন না সেটি কেউ কখনো জানতেও পারেননি।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি হামিদা আপাকে কে যেন বলেছেন বিয়ে না করলে বেহেশতে যেতে পারবে না। তখন আপা বিয়ে করতে রাজি হন। এই খবর মুহূর্তের মধ্যেই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসী সবাই মিলে পাত্র খুঁজতে শুরু করে। দেখাশুনার একপর্যায়ে মোকছেদ আলী গাজী মিলে যায়। পাত্র-পাত্রী দুইজন দুইজনকে পছন্দ করলে বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে গ্রামবাসীর আয়োজনে বিয়ে দেওয়া হয় তাদের। 

ইনামুল হক ছোট বলেন, বিয়েতে গ্রামবাসী সবাই টাকা খরচ করেছেন। গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ উপস্থিত হয় বিয়ের আয়োজনে। খাওয়া দাওয়া হয়। আমিও ছিলাম বিয়ের আয়োজকদের একজন। বরযাত্রী এসেছিল ২০ জন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে নতুন বর-কনেকে বিদায় দিয়ে গ্রামবাসী বাড়িতে ফিরে যায়।

জানা গেছে, হামিদা বেগমের এটি প্রথম বিবাহ। অন্যদিকে পাত্র মোকছেদ আলী গাজীর দ্বিতীয় বিবাহ। মোকছেদ আলী গাজীর প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন অনেক আগে। প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে রয়েছে। তারা বিবাহিত, নিজেদের আলাদা সংসার। ২০ জন আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আসরে হাজির হন মোকছেদ আলী গাজী। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নতুন বউকে নিয়ে ঘরে ফেরেন তিনি।

কালিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনাটি শুনেছি। ওই নারী বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। এখন শেষ বয়সে তারা সুখে শান্তিতে থাকলেই সবাই খুশি।

আগামীনিউজ/এমবুইউ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner