1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

আজও অপেক্ষার প্রহর গুনছে নিখোঁজ আরিফের স্বজন

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২, ০৮:০৯ পিএম আজও অপেক্ষার প্রহর গুনছে নিখোঁজ আরিফের স্বজন
ছবিঃ আগামী নিউজ

বরগুনাঃ ঢাকা-বরগুনা-বেতাগী রুটের ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ অগ্নিকান্ডের এখনো সন্ধান মেলেনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আরিফুর রহমান (৩৯)  ও তাঁর চার বছরের মেয়ে কুলসুমের। ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও আরিফের স্ত্রী ও স্বজনেরা অপেক্ষার প্রহার আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনগুনছে। 

জানা গেছে, নিখোঁজ আরিফুর রহমান চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। দুর্ঘটনার পর তাঁর স্ত্রী এবং স্বজনেরা এমভি অভিযান-১০ লঞ্চসহ ঝালকাঠি ও বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে এবং বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেও এখনো কোন সন্ধান মেলাতে পারেননি। তাদের কপালে জোটেনি কোনো সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা।

গত ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে মেয়ে কুলসুমকে নিয়ে অভিযান-১০ লঞ্চে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন আরিফ। স্ত্রী খাদিজা বেগম ও ছোট দুই সন্তানকে রেখে ঢাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। বরগুনা জেলা প্রশাসকের হাবিুর রহমানের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি ২৫ হাজার টাকা সহায়তা হিসেবে দেওয়া হলেও আহত, চিকিৎসাধীন ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারকে কোনো সহায়তা দেওয়া হয়নি।  

নিখোঁজ আরিফের মা আলেয়া জাহান জানান, আজও ছেলের খোঁজ পাওয়ার আশায় রয়েছেন। ইতোমধ্যে  ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া হয়েছে। 
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে আরিফের সঙ্গে সবশেষ কথা হয় স্ত্রী খাদিজা বেগমের। স্ত্রী  মোসা: খাদিজা জানান, ঘটনার পর থেকে আত্মীয়স্বজনেরা ঝালকাঠির ঘটনাস্থলসহ বরগুনা, বরিশালের বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেছেন। এখন বাড়িতে বসে তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন। 

মোসা: খাদিজা বলেন, একমাত্র স্বামীই সংসারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। দুই সন্তান ও তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় কাটাচ্ছি। আরিফের এক মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী। আরেক ছেলের বয়স দুই বছর। খাদিজা আরও বলেন, তাদের নিয়ে সামনের দিনগুলো কীভাবে চলবে, তা ভেবেই ব্যকুল ও  দিশেহারা।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, লঞ্চে অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের মাঝে সরকারিভাবে ইতোমধ্যে ২৫ হাজার করে বিতরণ করা  হয়েছে। তবে নিখোঁজ যাত্রীর স্বজনদের জন্য অধ্যাবধি সরকারি কোন সহায়তা পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেলে যতদ্রুত সম্ভব  তাদের হাতে পৌছে দেওয়া হবে।

আগামী নিউজ/এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner