1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

পরিবারের অত্যাচারে পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ের আত্মহত্যার অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ০৮:৪০ পিএম পরিবারের অত্যাচারে পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ের আত্মহত্যার অভিযোগ
ছবিঃ আগামী নিউজ

ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠিতে পরিবারের অত্যাচারে ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআইর মেয়ে সাদিয়া জাহান রিদি (১৭) গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্টো রিদির স্বামী নাঈম হোসাইন ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে নাঈম হোসাইনের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাঈম হোসাইনের বড় ভাই নবীন হোসাইন। গত ১০ অক্টোবর শহরের কলেজ রোডের ভাড়া বাসায় রিদি আত্মহত্যা করে। 
নবীন হোসাইন লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, তার ছোট ভাই নাঈমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রিদির। এ ঘটনা জানতে পেরে ঝালকাঠি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত এটিএসআই মো. শাখাওয়াত হোসেন তা মেনে নিতে পারেননি। তিনি রিদির ওপর অত্যাচার শুরু করেন। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর রিদির বাবা নাঈমের মাকে ফোন করে তাদের বাসায় আসার জন্য চাপ দেয়। নাঈমকে নিয়ে তার মা রিদির বাসায় যায়। রিদির বাবা নাঈমকে জোরকরে বিয়ে পড়িয়ে দেন এবং ১৮ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত রিদির সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করার জন্য বলেন। এরপর রিদি তার স্বামী নাঈমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে বাবা মায়ের অত্যাচারে গত ১০ অক্টোবর রাতে শহরের কলেজ মোড়ের ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করে। রিদির মৃত্যুর পর তার বাবা  এটিএসআই মো. শাখাওয়াত হোসেন ঝালকাঠি থানায় নাঈমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেন। কয়েকদিন পর আদালতে নাঈম, তার মা-বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন শাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী নুরজাহান বেগম। 
সংবাদ সম্মেলনে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান নাঈমের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে নাঈমের মা লিপি বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিয়ের পর বিভিন্ন সময় নাঈম আমার মেয়ের সঙ্গে বাসায় এসে দেখা করতো। ঘটনার দিনও সে এসেছিল। আমার মেয়ে আত্নহত্যার আগেও নাঈমের ভাইকে ফোন দিয়েছিল। নাঈমের অত্যাচারেই আমার মেয়ে আত্নহত্যা করেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে নাঈমের পরিবার।

আগামী নিউজ/এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner