কবিতা: পরমাত্মার বানী
অসম্পূর্নে পূর্নতা দিয়ে করিব চির শান্ত।
অপূন্যকে গভীরে ফেলিয়া পূততাকে করিব দৃশ্যিত।
উদ্যম প্রয়াসে চলতে গিয়ে থেমে যাওয়া পথিকেরে দেই আমি নব উন্নত প্রেরনার উৎস।
আমি মক্কা ও মদীনার ফুলের সৌরভ,
আমি ইরাক,বাগদাদ,আজমীর ও সর্ব দিলকাবার গৌরভ।
আমি মুমীন,মুত্তাকী,ফরহেজগারের দৃঢ় প্রত্যয়ের বাঁধ,
আমি ধোকা দিতে গিয়ে নিজের অনিষ্টতা ডেকে আনা স্ব-সত্ত্বার বিস্বাদ।
আমি শরীরে অশরীরে পূন্য হাতে নিয়ে আহাব্বান করা দূত,
আমি বারেবারে ভুল করেও অশান্ত হৃদয়ে বয়ে যাওয়া সূখ।
আমি সর্বহারা করে সর্বত্র দেই কাউকে মর্যাদা,
আমি রাজগৃহে বেড়ে উঠা মনিমুক্তা আর আদর সোহাগে মোড়া শাহাজাদা।
আমি জনতার ভিঁড়ে আপনকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নিরাশ হয়ে গিয়েও ফের পুরো খুশিতে ভরে উঠা অসম্ভব সুন্দর মূখটা।
আমি সর্ব অনিষ্ট চিত্ত্বধারী মানব দানবের হৃদয়ে ভেসে উঠা চেহারার অসহনীয় রুপটা।
আমি সুরহারা গীতিকারের পুর্নলয়ে জেগে উঠা হৃদয়ের সুর,
আমি বেতাল হওয়া কবির মনে কল্পলোকে ডুব দিয়ে তোলা ছন্দে ভরপুর।
আমি চিত্রকরের রঙ্গতুলি হাতে বেখেয়ালী হয়ে যাওয়া আনমনা কেহ,
ফের প্রিয়রুপ ভাসিয়ে চিত্ত্বে শ্রেষ্ঠ চিত্র অঙ্কনকারীর প্রশান্তিতে ভরা স্নেহ।
আমি পাপীর হৃদাত্মাতে জেগে উঠা অনুতপ্ত,-আমি পূন্যময়ীর পূর্ন প্রেমে আকৃষ্ট হয়ে তার-ই হয়ে যাওয়া মন ও দেহ।
আমি সর্ব নেশাখোর ও স্বার্থবাদীদের কলা-কৌশল ছিহ্নকারী,
আমি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পূন্য প্রেমে গড়ে তোলা ব্যাক্তি,পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্র ও বিশ্বের কল্যানকামীদের হৃদয়ে প্রেরনার শক্তিতে নির্ভরতা দানকারী।
আমি মেঘাড়ালে উঁকি দেয়া রাঙ্গারবি,
আমি শৈত্যপ্রবাহে থরথর কাঁপুনীতে কম্বলের উষ্ণতা পেয়ে প্রিয়কে কাছে পেতে চাওয়া গ্রাম ও নগরের বধূর হৃদয়ে জড়িয়ে থাকা প্রেমময় ছবি।
আমি মায়ের বকুনীর পরেও সমভূল করে যাওয়া অবুঝ বালক,
আমি বাবা,ভাই ও বোনদের আদর পেয়ে আবার আদর্শময় হয়ে যাওয়া এক মহাজীবন পরিচালক।
আমি প্রেমহারা হয়ে- বিষাক্ত মন নিয়ে চলতে থাকা যুবক-যুবতীর শ্বাস-প্রশ্বাস,
আমি ঝোপে জঙ্গলে সিংহভাগের অগোচরে অবহেলায় অনাকাঙ্কিত ফোটে থাকা যৌবন ও সৌরভে ভরা অনাদরের ফুলের সুবাস।
আমি সত্যবাদীদের বিপদমূখী হয়েও ভূল না করার কারনখানি মূল।
আমি গুরুচরনে হাত বুলিয়ে মুখ ও মাথায় মোছা শিষ্যের হাতের সম্মান ও আদবে ভরা ধুল।
আমি গোরস্থানে রেখে যাওয়া স্বজনদের আপনজনের আপন,
আমি স্বামী ও সন্তানহারা মায়ের পূন্যময় ব্যাথাভরা অশ্রুসিক্ত নয়ন।
আমি দেশ মাতৃকার তরে লড়াই করে যাওয়া বীর যোদ্ধাদের বন্দুকের পিতলের ক্যাপসুল,
আমি শত্রু বিনাশ করে বিজয় পতাকা উত্তোলন করে জয় জয় বলে উল্লাস করা মিছিলের আনন্দের ডাকঢোল।
আমি বেআইনী পথে বেঁধে দেয়া আইন,
আমি সর্বো দেশ রক্ষাকর্মীদের শপথ পড়া বাক্য,
আমি প্রকাশ ও গোপনে জাহির করা ইচ্ছা অনিচ্ছার হার কর্মাদির সাক্ষ্য।
আমি ফাঁসির আসামীর শেষবারের মতো কোন এক শ্রেষ্ঠ চাওয়া,
আমি উকিলের হাতের রেকর্ড ফাইলে বাদী বিবাদীর বক্তব্য,
আমি জজের হাতের কলমে লেখা রায়- শেষ বারের মতো ক্ষমা।
আগামীনিউজ/প্রআ