Dr. Neem on Daraz
Victory Day

এই শিকল পরা ছল (শেষ পর্ব)


আগামী নিউজ | প্রনমি বোস প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২০, ১১:৩৯ এএম
এই শিকল পরা ছল (শেষ পর্ব)

প্রতিকী ছবি

সকাল ১০ টা
চেক আপের জন্য মুন কে নিয়ে যাওয়া হয় ডাক্তার নওশাদের কেবিনে। সাথে গেল নিরু।
কেবিনে গিয়ে দুইজন হতবাক।স্যারের মাথায় ব্যান্ডেজ।
"স্যার এ কি?? কিভাবে হলো??
" কাল বাসায় বাথরুমে পড়ে।
"সুস্থ আছেন?"
"হ্যাঁ নিরু,তুমি বাইরে গিয়ে বসো।"

প্রায় ১০ মিনিট পর মুন বেরিয়ে এলো।
নিরু বলে উঠলো, "চলো আজ বাগানে বসব,ভালো লাগবে তোমার।বিনিটা আজ এলো না....."
বাগানে দোলনায় গিয়ে বসলো দুজন।ফুলের সুবাস, পাখির কিচিরমিচির যেন বাগান নয়,নন্দনকানন।প্রকৃতি যেন শুভ বার্তার জানান দিচ্ছে.....

"তুমি ঠিক বলেছ নিরু,বাগানে এলে মন খারাপ থাকতেই পারে না....."
বলেই কেমন উদাস হয়ে গেল।
হঠাৎ বলে উঠলো, " নিরু আমি তোমায় কিছু বলতে চাই....."
"হ্যাঁ, বলো।"
"আমার কেমন যেন সব খটকা লাগছে।"
"কেমন?"
"কাল সকালে যখন গেইট দিয়ে ঢুকছিলাম মফিজ আমার হাত ধরে ছিল। "
" হা আমি দেখেছি "
"তুমি দেখেছ!অবাক হয়ে বললো মুন।কিন্তু সে আমার হাত ধরে আমাকে বারবার বলছিলো, " আমার কথাটা একবার শুনুন,আমি কিছু বলতে চাই দিদিমনি.....

কিন্তু আমি ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠি, সে হাত ছেড়ে দেয়! আমি ভয় পেয়ে নওশাদ স্যারের কাছে ছুটে যায়।এরপর আমার কিছুই মনে নেই....
কাল রাতে যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি মফিজ আমায় আগলে আছে।আমি চিৎকার করে উঠলে সে আমার মুখ চেপে রাখে, বলে "আপু চিৎকার করবেন না, আমার কথাটা একবার শুনুন।"

"আজ যখন স্যারের কেবিনে গেলাম, উনাকে দেখে আমার অন্য রকম মনে হলো,আমার হাতে হাত বুলিয়ে...
একটু থেমে
"আচ্ছা এখন যাই,খুব ঝিমুনি দিচ্ছে।
একটু ঘুমাব।"
মুনের কথাটা চিন্তায় ফেলে দেয় নিরুকে....
মফিজ কেন কিছু বলতে চাইবে??কি বলতে চাই??আর স্যার কেন গায়ে হাত দিবে?হয়ত মুনের বোঝার ভুল। হতেই পারে কাল যা গেল মেয়েটার উপর।
হঠাৎ মনে পড়লো, কাল যখন সে স্যারের কেবিনে গিয়েছিল দরজা অনেকক্ষন বন্ধ ছিল।
উহু! বৃষ্টির দিনে কাঠের দরজা এভাবে লক হয়। স্বাভাবিক ব্যাপার।এটাকে ঠিক সন্দেহের মাত্রায় ফেলা যায় না!
কিন্তু স্যার যদি মুনের ব্যাপার টা জানতো তাহলে তার সামনে না জানার ভান করলো কেন???মফিজ কে সতর্ক যদি তিনি করেই থাকেন, তাহলে রাতে এত বড় অঘটন ঘটলো কিভাবে??তাঁর মাথায় বা ফাটলো কিভাবে?
কিছুই বুঝে উঠতে পারে না নিরু!সব কেমন তালগোল পাকিয়ে গেল। আচ্ছা থানায় একটা ফোন করে দেখা যাক।

" না নিরু, মফিজ কে এত বার জিজ্ঞেস করার পর ও তার মুখে একটাই কথা, সে কিছু করে নি।"এত মার খেয়েও সে মুখ খুলছে না...." ওপাশ থেকে ইন্সপেক্টর বলে উঠলো
" স্যার আমি হয়ত বুঝে ফেলেছি আসল কালপ্রিট কে!!!আপনারা মফিজ কে নিয়ে জলদি আসুন।সে প্রধান সাক্ষী!
হলে ফিরে যায় নিরু।
ম্যাম কে খুঁজতে থাকে।কোথাও খুঁজে না পেয়ে মুনের রুমের দিকে এগোতে থাকে।একজন স্টাফ বললো, "বিনি এসেছিলো,তোমার খোঁজ করেছিল।"

"বিনি এসেছে?এখন কোথায় সে???"
"চা দিতে গেল"
শুনে নিরু ছুটতে থাকলো! ডাক্তারদের কেবিনে খুঁজতে থাকলো,কোথাও নেই বিনি!নওশাদ স্যারের কাছে যায় নিতো???দৌড়াতে থাকে নিরু।
কেবিনের দরজা বন্ধ।পাগলের মত ধাক্কা দিতে থাকে নিরু। দরজা খুলে যায়। ভিতরে ঢুকে দেখে সেখানে কেউ নেই!"
"একি বিনি কই গেল!স্যার ই বা কোথায়!!!!
কেবিন থেকে বের হয়ে সব খানে খুঁজতে থাকে।খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে নাতো।ভয় হয় নিরুর।পাগলের মত খুঁজতে থাকে।
হঠাৎ স্টোর রুমের সামনে এসে থমকে দাঁড়ায়....মনে হচ্ছে ভেতরে কেউ আছে!
উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করলো।
" কে?কে ওখানে?
ভয়ার্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো নিরু!কোন সাড়া না পেয়ে দরজা ঠেলে সতর্ক পায়ে সে রুমে ঢুকে..
কেমন যেন খটকা লাগে!কেউ কি আছে ভেতরে??থাকলেও কয়জন?একজন না কয়েকজন??

হঠাৎ মাথায় একটা আঘাত, মাটিতে পড়ে যায় নিরু........মাথা ফেটে যায়!মেঝে রক্তে লাল হতে থাকে.. ব্যাথায় কাতরাতে থাকে সে।চোখ খুলে সামনে তাকিয়ে দেখে কে যেন দাঁড়িয়ে।

"কি খবর নিরু?কেমন আছো?আমাকে খুঁজছিলে বুঝি?"
কন্ঠটা খুব চেনা!
"কে?কে আপনি???
" আমাকে চিনতে পারছ না???মাথা তুলে ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করে নিরু। একি ডাক্তার রবিন আপনি???

ডাক্তার রবিন।পেশায় শুধু একজন ডাক্তার ই নন,তিনি হেলদ কেয়ারের মালিকের একমাত্র ছেলে।দেখতে সুদর্শন, মার্জিত ব্যবহারের ব্যক্তিত্বের এই রূপ দেখে বড় রকমের ধাক্কা খেল নিরু...
"হ্যাঁ আমি। " আমিই সেদিন অন্ধকারে বিনির সাথে ছিলাম।কিন্তু তুই চলে এসে সব শেষ করে দিলি। তুই সেদিন পড়ে গেলি বলেই আমি বেঁচে গেলাম।মুনকেও তুই বাঁচিয়ে দিলি। আজ কেউ বাঁচবে না।আজ তোর চোখের সামনেই............

"আপনিই এসব করেছেন???অথচ আপনাকে সবাই কত সম্মান করে,বিশ্বাস করে।
ডাক্তার নওশাদ? ডাক্তার নওশাদ কই??"
"এই যে নওশাদ সাহেব!"ডান পাশে হাত দেখিয়ে বললো ডাক্তার রবিন
একটা চেয়ারে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।নিথর দেহে কেমন অসহায়ত্বের ছায়া!!!!
" ডাক্তার নওশাদ সব জেনে গিয়েছিল। তাই তার ব্যবস্থা ও করতে হয়েছে আমার।
"আপনিই এসব করেছেন, অথচ ভুল বুঝলো সবাই মফিজকে.... ডাক্তার নওশাদকে কেন মারলেন?"
"হ্যাঁ মজিদ তোর মত সব জেনে গিয়েছিল,সে মেয়েদের সতর্ক করতো কিন্তু কেউ তাকে বিশ্বাস করতো না। আর এই সুযোগ কাজে লাগালাম আমি"

"আপনাকে আমি ছাড়ব না, ছাড়ব না" তেড়ে আসতে চাইলো নিরু।কিন্তু মাথার যন্ত্রণায় আবার পড়ে যায়।
"উহু, সে চেষ্টা করিও না!এই যে তোমার ম্যাম শিরিন ও আজ তেড়ে এসেছিলো, তার ফলস্বরূপ......"
"ম্যাম!!!ম্যাম কোথায়??বলে মাথায় হাত রাখে নিরু!যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে।রক্তে তার মুখ লাল হয়ে উঠলো....
" দেখবে তোমার ম্যাম কে????"

টেনেহিঁচড়ে নিরুকে এক পাশে নিয়ে যায় ডাক্তার রবিন।
নিরু দেখে ম্যাম একপাশে বেঁহুশ হয়ে পড়ে আছে!
"কি করেছেন ম্যামের???তাকেও খুন????আপনাকে আমি শেষ করে দিব! আপনার মুখোশ সবার সামনে নিয়ে আসব আমি.....
হেল্প, হেল্প চিৎকার করতে থাকে নিরু.....
অট্টহাসি হাসতে থাকে ডাক্তার রবিন।

"এখান থেকে কেউ তোর শব্দ শুনতে পাবে না... তুই সেদিন আমার কিছু করতে পারিস নি আজ ও পারবি না.. হাহাহা.....
খেয়াল করে দেখ সেদিন মফিজ আর নওশাদ দুইজনের কেউই ছিলেন না।মফিজকে আমিই বাইরে পাঠিয়েছিলাম।যাতে সন্দেহ তার দিকেই যায়... মুনকে আমি টার্গেট করেছিলাম সেটাও সে বুঝে ফেলে তাই সতর্ক করার চেষ্টা করে। মুনকে মফিজ কিছু বলেছে কিনা তা ভেবে ভয় পেয়ে যায় আমি।মুন যখন আজ নওশাদের কেবিন থেকে বের হয়ে তার রুমে গেল, আমি তার খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিলাম!

মুনের আলঝেইমার আছে।
তাই সে সহজেই সব ভুলে যায়...
আর যেহেতু নওশাদের রুম থেকে বের হয়েই সে বেঁহুশ হলো, সন্দেহ টা মফিজের পর নওশাদের দিকেই যাবে।

" এতটা দূরদর্শী চিন্তা!এত ক্রিমিনাল মাইন্ড আপনার!"""ছি!!

"কাল সন্ধ্যায় মুনকে একা পেয়ে আমি তাকে ইঞ্জেকশন পুশ করে অবশ করি,ছাদে নিয়ে যায় আমি, হঠাৎ মফিজ চলে আসে আমাকে আঘাত করে, চিৎকার করতে থাকে সে, আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে আসি, সুইচ অফ করে দি। নওশাদ কে এগিয়ে আসতে দেখলে আমি ভয় পেয়ে যায়,তাকে মাথায় আঘাত করে পালায়।

"কিন্তু নওশাদ স্যার বললো উনি বাথরুমে পড়ে গিয়েছিল।

"হয়ত সে নিজেও বুঝতে পারে নি কি হচ্ছিলো! জিজ্ঞাসাবাদ করতে কেবিনে এসেছিলো।
বেচারা বন্ধু!!বিদায় "
বলেই নওশাদের লাশের পাশে এসে দাঁড়ালো রবিন।

"আজ বিনি আমার হাতের রিং দেখে বুঝে যায় সেদিন রাতে আমি ছিলাম।তাকে মলেস্ট করার সময় শিরিন আমার রুমে আসে তাই অগত্যা আমার তাকেও ইঞ্জেকশন দিতে হলো।তাকেও উপরে পাঠানো দরকার...তার আগে নিজের ইচ্ছে পূরন করে নি..
বলেই অট্টহাসি হাসতে থাকে...

হাসি দেখে ঘৃণায় গা জ্বলে যায় নিরুর...

" বিনি কোথায়??কোথায় রেখেছেন তাকে????

"বিনি!অই বস্তির মেয়েটা???ঐ পাশে চেয়ে দেখ....
" একপাশে বিনি পড়ে আছে,নিরু রাগে টগবগ করতে থাকলো...

" তোর সামনেই আজ তোর ম্যাডাম আর বিনিকে শেষ করব!চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবি না.... হাহাহা......

বিনির কাছে গিয়ে তার জামা টেনে ছিড়ে ফেলে! অসহায় নিরু লজ্জায় কাঁদতে থাকে, কিছুই করতে পারছে না মাটিতে হাত দিয়ে আঘাত করতে থাকে!! শয়তানটা বিনিকে নোংরাভাবে স্পর্শ করে যায়....
এবার শিরিন ম্যামের দিকে এগিয়ে যায় ডাক্তার রবিন।
"না স্যার, প্লিজ এমন করবেন না, আমি কাউকে কিছু বলব না, প্লিজ ম্যামের সাথে এসব করবেন না প্লিজ।

হাত জোড় করে আকুতি করে নিরু!কি করবে সে!!!ম্যামের শরীরে হাত দেয় রবিন!কাপড়ে টান দেয়!রাগে ঘৃণায় কাঁদতে থাকে নিরু.....

" ম্যাম উঠুন, ম্যাম প্লিজ।কাঁদতে থাকে নিরু...

রবিন অট্টহাসি হেসে চলে।

সহজ সরল,স্বল্পভাষী ডাক্তার, যে সকলের পছন্দের,তার এমন রূপ, কেউ কি কখনো কল্পনা করেছিলো?অথচ আজ এত বছর ধরে মেয়েদের মলেস্ট করে সব দোষ মফিজের ঘাড়ে চাপাতো!মালিকের ছেলে হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে থানা পুলিশকে হাতের মুঠোয় রাখে।এরকম হাজারো রবিনের লালসার শিকার আজকের বিনি-মুনের মত বাচ্চারা.....

হঠাৎ মাথায় আঘাত।কিছু বোঝার আগেই রবিন আঘাতে আঘাতে মাটিতে পড়ে যায়।
তাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে নিরু।সারা মুখে রক্তের দাগ, মুখে ফেনা!খোলা চুলে নিরুকে খুব ভয়ংকর দেখাচ্ছে!ভয় পেয়ে যায় রবিন

সর্বস্ব শক্তি দিয়ে মারতে থাকে রবিনকে। রবিন কিছুতেই তাকে থামাতে পারে না।যেন কোন এক অদৃশ্য শক্তি চেপে বসেছে তার মধ্যে।

কলার ধরে টানতে টানতে তাকে হলের দিকে নিয়ে যায় নিরু।নিরুকে দেখে ভয় পেয়ে যায় সবাই।এ যেন নিরু নয়,অন্য কেউ!!!

পুলিশ আসে, এর মধ্য জ্ঞান ফিরে বিনি ও রেজিস্ট্রার ম্যাম শিরিনের।মফিজের জবানবন্দি নেয়া হয়,এরেস্ট করা হয় রবিন কে!
ডাক্তার নওশাদের মৃতদেহ পোস্টমর্টেম এর জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

নিরু সেন্স লেস হয়ে যায়।মাথায় ব্যান্ডেজ করে তার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়।
জ্ঞান ফিরলে ইন্সপেক্টর স্যারকে নিরু বলে, "স্যার আজ আমি কিছু বলতে চাই!"

বালিশে হেলান দিয়ে বসানো হয় নিরুকে।ইন্সপেক্টর স্যার তার দিকে পানির গ্লাস এগিয়ে দেয়।
সবাই নিরুর বয়ানের জন্য অপেক্ষা করে।

কি হয়েছিল এক বছর আগে........
(সমাপ্ত)

https://www.agaminews.com/literature/24891/%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%9B%E0%A6%B2-(%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC)

https://www.agaminews.com/literature/24954/%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%9B%E0%A6%B2-(%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC)

https://www.agaminews.com/literature/25096/%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%9B%E0%A6%B2-(%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC)

আগামীনিউজ/জেএস
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে