Dr. Neem on Daraz
Victory Day

কবিগুরুর ১৫৯তম জন্মজয়ন্তী আজ


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ৮, ২০২০, ০৮:২৮ এএম
কবিগুরুর ১৫৯তম জন্মজয়ন্তী আজ

ঢাকা: আজ পঁচিশে বৈশাখ, বাংলা সাহিত্যের অনন্যপ্রতিভা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। আজ থেকে ১৫৮ বছর আগে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে (৭ মে, ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ) কলকাতায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে ক্ষণজন্মা এই মানুষটির জন্ম হয়। তার লেখনীতে বাংলা সাহিত্যের সব কটি ধারা পরিপুষ্ট হয়েছে।

কলকাতার জোড়াসাঁকোর ৬ নং দ্বারকানাথ ঠাকুর লেনের জমিদার পরিবারে ১৮৬১ সালে জন্ম কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। পিতামাতার চোদ্দো সন্তানের মধ্যে কণিষ্ঠতম রবীন্দ্রনাথের বিদ্যাশিক্ষা শুরু হয় দাদা হেমেন্দ্রনাথের হাতে। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-য় প্রকাশিত হয় তার লেখা প্রথম কবিতা "অভিলাষ"। ১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা এবং পরবর্তীতে সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি।

বাংলা সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে রবীন্দ্রনাথের পদচারণা ছিল না। দুই বাংলার জাতীয় সংগীতের স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৩৮টি নাটিকা, ৩৬টি প্রবন্ধ, ৯৫টি ছোটগল্প ও প্রায় দুই হাজারের মতো গান। তার সৃষ্টিকর্মের গুনগত মান নিয়ে তাই কখনো প্রশ্ন ওঠেনি।

কবি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য চর্চায় ছিলো বিচিত্র কাটাকুটি, এই কাটাকুটি থেকে বেরিয়ে আসতো নানা রকমের মুখ, প্রাগৈতিহাসিক দানব, সরীসৃপ ।১৯২৩ সালে রক্তকরবীর পাণ্ডুলিপির খসড়ায় কাটাকুটি থেকে ছবি একেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৮৭৮-৮২, এ চার বছরে তিনি ‘মালতী’ পুঁথির পাতায় ছবি আঁকতেন। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরাদস্তুর ছবি আঁকা শুরু করেন ১৯২৮ সাল থেকে। তার আঁকা আড়াই হাজারের ওপর ছবি যুক্ত হয়েছে সাহিত্য কর্মে। 

রবীন্দ্রনাথ দেশভাগ কিংবা জাতিগত বিভেদ কখনই চাননি, তাই তো ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে ঘিরে তিনি লেখেন- বাঙলার মাটি বাঙলার জল, বাঙলার বায়ু বাঙলার ফল পূন্য হউক হে ভগবান.... ১৯৩৯ সালে নেতাজি সুভাষ বোষের উপস্থিতিতে মহাজাতি সদনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তার কিয়দংশ উপস্থাপন্ও করেন কবিগুরু। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান। কিন্তু তার অমর সৃষ্টি সোনার তরীর মতো সৃষ্টিকর্ম রেখে ধরণী থেকে বিদায় নেন ১৯৪১ সালে। বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত রূপকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আপন সৃষ্টির আলোয় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন বাংলা সাহিত্যে । তাইতো সংকটময় সময়গুলোতেও কবি গুরুর সৃষ্টিই বাঙালিকে অনুপ্রেরণা যোগায়।, জ্ঞান বিদ্যায় এগিয়ে নিয়ে যায় মুক্তির পথে। 

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
 
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে জাতীয়ভাবে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন এবার হচ্ছে না। তবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বেশ কিছু সংগঠন ভার্চুয়ালি রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করবে।
 
আগামীনিউজ/মিজান 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে