Dr. Neem on Daraz
Victory Day

৪৬ বছর ভাত খান না ফজলুল


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২১, ০১:৪২ পিএম
৪৬ বছর ভাত খান না ফজলুল

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ গুরুর প্রতি অনুপম শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে ৪৬ বছর ধরে ভাত খান না নওগাঁর সাধক ফজলুল হক। দীর্ঘদিন ভাত না খেয়েও তিনি বেশ সুস্থ আছেন। সাধক ফজুললের দাবি সাধনা করার জন্য গুরু ভাত না খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তাই তিনি ভাত পরিহার করেছেন। 

বয়স ৮০ ছুঁইছুঁই। পাতলা ও লিকলিকে গড়নের শরীর। মুখভর্তি সাদা দাড়ি ও গোঁফ, রয়েছে মাথায় লম্বা চুল। চাদর দিয়ে শরীর সবসময় ঢেকে রাখেন। সাধনার কারণে গত ৪৬ বছর তিনি ভাত খান না। ঘুরে বেড়ান দেশের বিভিন্ন স্থানে। সাধকের বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের ভীমপুর গ্রামে ছোটবেলা থেকেই তার চালচলন ছিল ভিন্নরকম। ঘুরে বেড়াতেন বিভিন্ন জায়গায়। পড়াশোনা ঠিকমতো করতেন না। ক্লাস টপকে নবম শ্রেণিতে, এরপর দশম শ্রেণিতে পড়েন। দেশে শুরু হয় যুদ্ধ। তখন বয়স প্রায় ২৫ বছর। যুদ্ধের সময় ৭ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিলেন। যুদ্ধ করলেন দেশের জন্য। এরপর ১৯৭২ সালে মেট্রিক অটোপাস করেন।

১৯৭৪ সালে বিয়ে করেন চুয়াডাঙ্গা জেলায়। সাধনার কাজে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ানোর সময় ওই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ে। দাম্পত্য জীবনে পাঁচ ছেলেমেয়ে। বয়স যখন ৩৪ বছর তখন গুরুজির নির্দেশে ভাত খাওয়া ছেড়ে দেন।

এরপর থেকে ৪৬ বছর তিনি ভাত খান না। ধান, গম, যব ও ভুট্টা থেকে উৎপাদিত কোনো কিছুই খান না। কারণ এতে গুরুর নিষেধ রয়েছে। এরপর আর কখনো খাওয়ার চেষ্টাও করেননি। ভাত খেতে গেলে নাকি তার নাকে পচা একটা গন্ধ লাগে। যা সহ্য করতে পারেন না। এখন পর্যন্ত সুস্থ ও সবল রয়েছেন। ভাতের পরিবর্তে শাকসবজি ও ফল খেয়ে থাকেন।

সাধক ও মুক্তিযোদ্ধা একেএম ফজলুল হক বলেন, ‘আমার বয়স যখন ১০ বছর তখন থেকেই সাধনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। আমাকে সাধনার কাজে উৎসাহ জুগিয়েছেন গুরু শাহ মছির উদ্দিন চিশতি। সাধনাক্ষেত্র ভারতের আজমির শরীফ খাজা মঈন উদ্দিন চিশতি তরিকা। সেখানে চার বছর ছিলাম। সাধনার ফলে অনেক দূর এগিয়েছি। আল্লাহ আমাকে অনেক কাছে টেনে নিয়েছে। আমার তিনটা ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। আমার ভবিষ্যতে আর কোনো ইচ্ছা নেই। বিভিন্ন মাজারে ঘুরে বেড়াই মানুষকে সুন্দর ও সত্য বলার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘সাধনা নিয়ে সবসময় থাকি। কেউ যদি কখনো আমাকে স্মরণ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার সঙে আমার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।’ সাধকের নাতি ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘সারাদেশ তিনি হন্যি হয়ে ঘুরে বেড়ান। কোথাও স্থির থাকেন না। তিনি ভাত না খেলেও শাকসবজি ও ফল খেয়ে থাকেন। তাকে ভাত খাওয়ার জন্য আমরা অনেক জোরাজুরি করেছি। কিন্তু তার এককথা- না।

আগামীনিউজ/প্রভাত

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে