Dr. Neem on Daraz
Victory Day

৩০ টাকা ধার করে লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি দুই ভাই


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২২, ১২:৪১ পিএম
৩০ টাকা ধার করে লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি দুই ভাই

ঢাকাঃ নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা বাড়িতে। লটারির টিকিট কাটার মতোও টাকা ছিল না। তাই ৩০ টাকা ধার করে একটি লটারি কেটেছিলেন। এতেই যে ভাগ্য বদলে যাবে তা কল্পনাও করেননি দুই ভাই সানিবুল শেখ ও আমিরুল শেখ। রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন তারা।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণশাইল এলাকায়। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার বাংলা সংবাদমাধ্যম এই সময়।

কৃষ্ণশাইল গ্রামের বাসিন্দা দুই ভাই সানিবুল শেখ ও আমিরুল শেখ। পেশায় তারা নির্মাণ শ্রমিক। তাদের বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ। একটি ছোট বাড়ির মধ্যেই পরিবারের সবাই বাস করেন। ভাগ্য যাতে ফেরে সেই স্বপ্ন দেখছিলেন বহু দিন ধরেই। কিন্তু, বললেই কি আর ভাগ্য ফিরে যায়!

রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। কিন্তু, স্বপ্ন আর বাস্তবের মিল থাকে না অনেক সময়। কোটিপতি হতে কেউ বিনিয়োগ করেন শেয়ার মার্কেটে, কেউ টাকা রাখেন মিউচুয়াল ফান্ডে। যদিও এর কোনোটিই সম্ভব ছিল না সানিবুল ও আমিরুল শেখের কাছে। তাই ভেবেছিলেন লটারি কাটবেন। কিন্তু, লটারি কাটার টাকাও ছিল না তাদের কাছে। এরপর রোববার ঘুরতে যান বাড়ির কাছের মোড়ে। সেখানে এক বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার করে দুইভাই মিলে ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেনেন। আর সেই ধার করা টাকায় লটারি কেটেই এক কোটি টাকা জিতেছেন তারা।

যদিও তখনও তারা স্বপ্নেও ভাবেননি একটি টিকিটই বদলে দিতে চলেছে তার গোটা জীবন। যে দোকানে লটারির টিকিট কেটেছিলেন সেখানেই যেতেই দেখেন, যে টিকিটের নম্বরে এক কোটি টাকা পেয়েছে সেটিই রয়েছে তার পকেটে। খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন। গোটা ঘটনা খুলে বলেন বাড়ির সকলের কাছে। খুশির জোয়ারে ভেসে যায় গোটা পরিবার।

লটারি জেতার পর সানিবুল শেখ বলেন, ''স্ত্রীর কাছে ৩০ টাকা চেয়েছিলাম লটারি কাটার জন্য। কিন্তু, স্ত্রী দেয়নি। বলেছিল 'সংসার ঠিক করে চলছে টাকার অভাবে সেখানে লটারি কেনার জন্য কোথা থেকে ৩০ টাকা দেব?' এরপর রাগারাগি করে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর একজনের কাছ থেকে ৩০ টাকা ধার করে একটা টিকিট কাটি। তারপর জানতে পারি যে আমি এক কোটি টাকা জিতেছি।''

এতগুলো টাকা নিয়ে কী করবেন তিনি? এর উত্তরে বলেন, 'বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ। একটা ছোট বাড়ির মধ্যেই একসঙ্গে অনেক সদস্যের বাস। বাড়ির মধ্যে বাথরুমও নেই। তার জেরে খুবই সমস্যা হয়। তাই সবার আগে আমি বাড়ি তৈরি করব। সন্তানদের ভালো করে পড়াশোনা করাব। একটা দোকানঘর করব। আসলে বয়স হয়ে যাওয়ায় খুব বেশি কাজ করতে পারি না। তাই একটা দোকানঘর করব। চায়ের দোকান বা মুদিখানার দোকান করার ইচ্ছে আছে।'

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে