Dr. Neem on Daraz
Victory Day

পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২, ০৯:০২ এএম
পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী

ঢাকাঃ জল্পনায় ইতি টেনে পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার ফেসবুক লাইভে পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই শিব সেনা ‘প্রধান’। শুধু তাই নয়, এদিন বিধান পরিষদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। নিজের ভাষণে ‘বিদ্রোহী’দের বার্তা দেওয়ার সময় স্পষ্টতই আবেগী হতে দেখা যায় উদ্ধবকে।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, বৃহস্পতিবারই (৩০ জুন) বিধানসভায় আস্থাভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে ‘মহা বিকাশ আগাড়ি’ সরকারকে। বেলা ১১টার সময় বিধানসভায় আস্থাভোট প্রক্রিয়া শুরু হবে। আস্থাভোট শেষ করতে হবে বিকেল ৫টার মধ্যে বলে নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি ফেসবুক পেইজে লাইভ বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন উদ্ধব ঠাকরে। মূলত মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা, কংগ্রেস আর জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির জোট সরকার পতনের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া এই ঘোষণার সঙ্গেই শিবসেনার অভ্যন্তরে যে সংকট তৈরি হয়েছিল, তার একটা অধ্যায় শেষ হল বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য উদ্ধব ঠাকরে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে ভারতীয় সময় রাত ৯টায় সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দেয়, বৃহস্পতিবার ঠাকরেকে বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। আদালত এই প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না।

শাসক দলের একটা বড় সংখ্যক বিধায়ক উদ্ধব ঠাকরের বিরোধিতা করায় রাজ্যটির গভর্নর মুখ্যমন্ত্রীকে শক্তি পরীক্ষা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধেই শিবসেনা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। তবে সেখানে আদেশ তার বিরুদ্ধে যাওয়ার পরেই পদত্যাগ করেন শিবসেনা প্রধান।

বিবিসি বলছে, শিবসেনা কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল হওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস আর জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে জোট সরকার চালাচ্ছিল। তবে শিবসেনারই এক নেতা একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে দলের কিছু বিধায়ক চলতি মাসের ২১ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন।

প্রথমে কয়েকদিন গুজরাটে, তারপর বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আসামের গুয়াহাটিতে কাটিয়ে বুধবার রাতেই একটি ভাড়া করা বিমানে গোয়ায় পৌঁছিয়েছেন শিন্ডে ও তার সঙ্গী বিধায়করা। প্রথমে বিদ্রোহীদের সংখ্যা ছিল ১১, তবে শেষমেশ শিন্ডের দাবি অনুযায়ী তার সঙ্গে ৫০ জন বিধায়ক রয়েছেন।

তবে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের কাছে একটি চিঠি দিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দেভেন্দ্র ফাডনবীশ দাবি করেছেন, ৩৬ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে আর সমর্থন করছেন না। সেই চিঠির ভিত্তিতেই রাজ্যপাল বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষার নির্দেশ দেন।

বিদ্রোহী বিধায়ক ও তাদের নেতা একনাথ শিন্ডের বক্তব্য হচ্ছে, শিবসেনার স্বাভাবিক জোট সঙ্গী ছিল বিজেপি। দু’টি দলের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনাও হিন্দুত্বকে কেন্দ্র করে। আবার তারা সর্বশেষ নির্বাচনেও লড়েছিল জোট বেঁধে।

কিন্তু ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে একমত না হওয়ায় মতাদর্শগতভাবে সম্পূর্ণ বিরোধী মেরুতে থাকা কংগ্রেস আর জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধেন উদ্ধব ঠাকরে। দলকে বিজেপির সঙ্গে ফের জোট বাধার দাবি করছিলেন শিন্ডে। তার গোষ্ঠীকেই আসল শিবসেনা বলেও দাবি করেন তিনি।

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে