Dr. Neem on Daraz
Victory Day

চীনে উইঘুর নির্যাতন অব্যাহত


আগামী নিউজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২০, ০৫:৩৪ পিএম
চীনে উইঘুর নির্যাতন অব্যাহত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ চীনে উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা অব্যাহত রয়েছে। আটকে রাখা হয়েছে শতশত ধর্মীয় নেতাকেও। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, সাধারণ উইঘুর মুসলমানরা এখন মারা গেলে তাদের দাফন-কাফন তদারকি করার মতো ইমাম বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বও পাওয়া যাবে না বলে আতঙ্কে ভুগছে। রেডিও ফ্রি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র। খবর এনডিটিভির।

নরওয়েভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল সিটিস অব রিফিউজ নেটওয়ার্কের একজন কর্মী আবদুওলি আইয়ুপ জিনজিয়াং অঞ্চলের উইঘুরদের সঙ্গে আলাপ করে জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৬১৩ জন ইমামকে আটকে রাখা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এই আটক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে অনুসন্ধানটি শুরু করেছিলাম। সে বছরের নভেম্বরে সাক্ষাৎকার শেষ করার পর জানতে পারি, যাদের সবচেয়ে বেশি আটক করা হয়েছে, তারা হলেন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব।

আবদুওলি আইয়ুপের কথার সত্যতা মেলে বৃহস্পতিবার আয়োজিত ওয়াশিংটনভিত্তিক উইঘুর মানবাধিকার প্রকল্পের ‘ইমামরা কোথায়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান থেকে।

উইঘুর-ভাষা শিক্ষার প্রচারের মাধ্যমে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের জন্য লড়াইয়ের কারণে ২০১৩-২০১৪ সালে আইউপ নিজেও কারাবাস করেছিলেন। কয়েক মাসের বন্দিদশায় নিজেও চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। সে সময় বন্দিদের সঙ্গে আলাপকালে অনেক ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের কারান্তরালে দিন কাটানোর খবর শুনেছিলেন।

রেডিও ফ্রি এশিয়া জানায়, নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত কয়েকজন সাবেক উইঘুর বন্দির সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তারা তাকে বলেছেন, জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকিতে লোকজনদের নিবন্ধন করা যেতে পারে। কেউ মারা গেলে তার মরদেহ দাফনের জন্যে অপেক্ষা করতে হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিনজিয়াংয়ে উইঘুররা মৃত্যুর পর তাদের সৎকার নিয়ে ভয় পান। কারণ মসজিদগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ইমামদের আটক করা হয়েছে। তাদের জানাজা ও কবর দেওয়ার লোক কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এবং আফ্রিকান স্টাডিজের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রেচেল হ্যারিস বলেছেন, শুধু যে পুরুষ ইমামদেরই আটক করা হচ্ছে, তা কিন্তু নয়, ধর্মকর্ম সম্পর্কে জ্ঞান থাকা নারী ব্যক্তিত্বদেরও রাখা হয়েছে আটকের লক্ষ্য হিসেবে।

উইঘুর সমাজে শুধু পুরুষই নয়, নারীরাও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

আগামীনিউজ/এএইচ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে