Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ইউরোপের কয়েকটি দেশ ঘড়ির সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে আনলো


আগামী নিউজ | ডেইলি মেইল প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২০, ০৪:৫৩ এএম
ইউরোপের কয়েকটি দেশ ঘড়ির সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে আনলো

ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়া ও সেন্ট্রাল ইউরোপীয় টাইম জোনে থাকা প্রায় সকল দেশ তাদের ঘড়ির কাঁটাকে এভাবে এক ঘণ্টা এগিয়ে এনেছে। সেন্ট্রাল ইউরোপীয় টাইম জোনে থাকা দেশগুলো হলো, স্পেন, ইতালি, বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, অস্ট্রিয়া।

গত রোববার ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়াতে স্থানীয় সময় এক ঘণ্টা কাঁটা এগিয়ে আনা হয়েছে। রাত দুইটার সময় ঘড়ির কাঁটার পরিবর্তন করে এক ঘণ্টা এগিয়ে তিনটা করা হয়েছে। এতে করে গতকাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে স্লোভেনিয়ার সময়ের ব্যবধান হয়েছে চার ঘণ্টা এবং গ্রীনিচ মান সময় বা জিএমটির সঙ্গে স্লোভেনিয়ার সময়ের ব্যবধান হলো দুই ঘণ্টা। তাই এ টাইম জোনের অধীনে থাকা সকল দেশের সঙ্গেও আজকের থেকে সময়ের পার্থক্য এর সমান হবে।

অপরদিকে রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, বেলারুশ, ইউক্রেন, গ্রীস অর্থাৎ পূর্ব ইউরোপিয়ান টাইম জোনে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে আজ থেকে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য তিন ঘণ্টা এবং গ্রীনিচ মান সময় বা জিএমটির সঙ্গে এখন থেকে পূর্ব ইউরোপিয়ান টাইম জোনে থাকা দেশগুলোর সময়ের পার্থক্য তিন ঘণ্টা।

তবে গত বছরের ২৬ মার্চ কমিশনের পক্ষ থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্টে অফিসিয়ালি এক প্রস্তাবনা দেওয়া হয় যে আগামী বছর থেকে এরকমভাবে আর সময়ের পরিবর্তন আনা হবে না। অর্থাৎ ‘সামার টাইম’ এবং ‘উইন্টার টাইম’ এ দুটি ধারণা আর থাকবে না আগামী ২০২১ সাল থেকে।  আশা করা যাচ্ছে যে যদি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তাদের এ প্রস্তাবনা গ্রহণ করে তবে আগামী বছর থেকে এরকমভাবে আর সময়ের পরিবর্তন হবে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাতে সামার টাইমকে ‘ডে-লাইট সেভিং টাইম’ নামেও উল্লেখ করা হয়। ১৯১৬ সালের ১০ এপ্রিল জার্মান ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যে সর্বপ্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ডে-লাইট সেভিং টাইমের প্রবর্তন করা শুরু হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াতেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ ডেলাইট সেভিং টাইমের ব্যবহার শুরু করা হয়।

গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে বিশ্বব্যাপী যখন শক্তির ঘাটতি দেখা যায় তখন পৃথিবীর অনেক জায়গায় এ ধারণাটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। এতে করে গ্রীষ্মকালে যখন দিনের দৈর্ঘ্য বেশি থাকে তখন ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে আনলে অধিক পরিমাণে সূর্যালোকে কাজে লাগানো যায়, যার ফলে শক্তির অপচয় অনেকটা কমে আসে। তবে এশিয়া এবং আফ্ৰিকার দেশগুলোতে এখনো ঘড়ির কাঁটার পরিবর্তনের এ ধারণাটি এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেনি।

উল্লেখ্য, প্রতি বছরের মার্চ মাসের শেষ রোববার এবং অক্টোবর মাসের শেষ রোববার ইউরোপের দেশগুলো তাদের সময়ের পরিবর্তন ঘটায়। ২০০১ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক অধিবেশনে সদস্য দেশগুলো সম্মিলিতভাবে ঘড়ির কাঁটার পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করে। এরপর থেকে প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসের শেষ রোববার ঘড়ির কাঁটাকে এক ঘণ্টা এগিয়ে নিয়ে আনা ‘সামার টাইম’ হিসেবে পরিচিত। আবার অক্টোবর মাসের শেষ রোববারে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে আবার মূল সময় ধারায় ফিরিয়ে আনা ‘উইন্টার টাইম’ হিসেবে পরিচিত। সূত্র: ডেইলি মেইল


আগামী নিউজ/নাঈম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে