Dr. Neem on Daraz
Victory Day

টিকা প্রদানের রোডম্যাপ


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২১, ১১:৩৯ এএম
টিকা প্রদানের রোডম্যাপ

ছবি: সংগৃহীত


১৮ বছরের নিচে ও অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষকে এই কর্মসূচীর বাইরে রাখা হচ্ছে। 

ঢাকাঃ প্রথম চালানে দেশে আসা ৫০ লাখ করোনার টিকা দেয়া হবে ৫০ লাখ মানুষকে। তবে ১৮ বছরের নিচে এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়া হবে না। বাকিদের চলতি বছরেই টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রথম দফায় দেশের ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী টিকা পাবে। এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে সরকারী-বেসরকারী স্বাস্থ্যকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সামরিক বাহিনীর সদস্য, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যম কর্মী এবং জনপ্রতিনিধি।

জানা যায়, ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ টিকা বেক্সিমকোর মাধ্যমে দেশে আসবে। ২৬ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে নিবন্ধন।


দেশে টিকা আসার পর বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউসে থাকবে দুদিন। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকা অনুযায়ী ২৭ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকা পাঠিয়ে দেয়া হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয়ভাবে টিকাদান শুরু হবে।

যারা আগে টিকা পাবেনঃ স্বাস্থ্য অধিদফতরের তৈরি করা তালিকায় ফেজ-১ এ টিকার আওতায় থাকছেন ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী। অর্থাৎ ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে কোডিভ-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সরকারী ৪ লাখ ৫২ হাজার ২৭ স্বাস্থ্যকর্মী প্রথম মাসেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসেই টিকা পাবেন। একই সঙ্গে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সব অনুমোদিত বেসরকারী ও প্রাইভেট হাসপাতালের ৬ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী। বীর মুক্তিযোদ্ধা ২ লাখ ১০ হাজার। করোনাকালে সম্মুখ সারিতে থেকে সেবাদানকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৯ জনের মধ্যে প্রথম মাসে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩১০ জন এবং দ্বিতীয় মাসে বাকিরা টিকা পাবেন। সামরিক ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯১৩ জনের মধ্যে প্রথম মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৫৭ জন এবং দ্বিতীয় মাসে সমান সংখ্যক সদস্য টিকা পাবেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য কার্যালয়গুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৫০ হাজার। প্রথম মাসে তাদের ২৫ হাজার এবং দ্বিতীয় মাসে বাকিরা টিকা পাবেন। সম্মুখ সারিতে থেকে তথ্যসেবা দিচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তাই দেশের ৫০ হাজার গণমাধ্যমকর্মীর ২৫ হাজার প্রথম মাসে এবং বাকি ২৫ হাজার দ্বিতীয় মাসে টিকা পাবেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৯৮ জন। প্রথম মাসে ৮৯ হাজার ১৪৯ জন এবং দ্বিতীয় মাসে সমান সংখ্যক জনপ্রতিনিধি টিকা পাবেন।

তাছাড়া সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখ সারির ১ লাখ ৫০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে অর্ধেক প্রথম মাসে এবং বাকি অর্ধেক দ্বিতীয় মাসে টিকা পাবেন। ধর্মীয় প্রতিনিধি রয়েছেন ৫ লাখ ৪১ হাজার। তাদের মধ্যে দ্বিতীয় মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ জন এবং পঞ্চম মাসে সমান সংখ্যক ধর্মীয় প্রতিনিধি টিকা পাবেন। এছাড়া মরদেহ সৎকারে (দাফন/শবদাহ) নিয়োজিত ব্যক্তি ৭৫ হাজারের মধ্যে প্রথম মাসে ৩৭ হাজার ৫০০ জন এবং দ্বিতীয় মাসে বাকি অর্ধেক টিকা পাবেন।

জরুরী পানি, গ্যাস, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুত, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবহন কর্মচারী রয়েছেন ৪ লাখ। এর মধ্যে প্রথম মাসে ২ লাখ এবং দ্বিতীয় মাসে বাকি অর্ধেক টিকা পাবেন। স্থল, নৌ ও বিমানবন্দর কর্মী ১ লাখ ৫০ হাজারের মধ্যে প্রথম মাসে ৭৫ হাজার এবং দ্বিতীয় মাসে ৭৫ হাজার টিকা পাবেন। প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক ১ লাখ ২০ হাজার। তাদের মধ্যে প্রথম মাসে ৬০ হাজার এবং দ্বিতীয় মাসে সমান সংখ্যক টিকা পাবেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জরুরী জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারী ৪ লাখ কর্মচারীর মধ্যে প্রথম মাসে ২ লাখ এবং দ্বিতীয় মাসে ২ লাখ কর্মচারী টিকা পাবেন। ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬২১ জন। দ্বিতীয় মাসে তাদের টিকা দেয়া হবে। স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জনগোষ্ঠী (যক্ষ্মা, এইডস রোগী, ক্যান্সার রোগী) রয়েছেন ৬ লাখ ২৫ হাজার। তাদেরও প্রথম ধাপে টিকা দেয়া হবে।

এদিকে ৭৭ থেকে ৭৯ বছরের ১১ লাখ ৩ হাজার ৬৫৩ জন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী ১৩ লাখ ১২ হাজার ৯৭৩ জনের সবাই প্রথম মাসে টিকা পাবেন। ৭৪ থেকে ৭৬ বছরের জনসংখ্যা ৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৩ জন। তারা টিকা পাবেন দ্বিতীয় মাসে। ৭০ থেকে ৭৩ বছরের জনসংখ্যা ধরা হয়েছে ২০ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। তাদেরও দ্বিতীয় মাসে টিকা দেয়া হবে। ৬৭ থেকে ৬৯ বছরের মোট ২৪ লাখ ৭৫ হাজার জনের মধ্যে পঞ্চম মাসে ২২ লাখ ৪ হাজার ৫০০ জনকে টিকা দেয়া হবে।

৬৪ থেকে ৬৬ বছরের মোট ২৪ লাখ ৭৫ হাজার জন পঞ্চম মাসে টিকা পাবেন। জাতীয় দলের খেলোয়াড় (ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ইত্যাদি) ২১ হাজার ৮৬৩ জনের মধ্যে প্রথম মাসে ১০ হাজার ৯৩২ জন এবং দ্বিতীয় মাসে বাকিরা টিকা (ভ্যাকসিন) পাবেন।

বাফার, ইমার্জেন্সি ও আউটব্রেক প্রথম মাসে ৭০ হাজার, দ্বিতীয় মাসে ৫০ হাজার এবং পঞ্চম মাসে ৫০ হাজার জন টিকা পাবেন। মোট দেড় কোটি লোকের মধ্যে প্রথম মাসে ৫০ লাখ, দ্বিতীয় মাসে ৫০ লাখ এবং পঞ্চম মাসে ৫০ লাখ মানুষ টিকা পাচ্ছেন।

কিভাবে টিকা বিতরণ হবেঃ তালিকাভুক্ত জনগোষ্ঠীকে ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে (প্রথম ডোজের ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ) টিকা দেয়া হবে। প্রবাসী শ্রমিকদের টিকা দেয়া হবে। কেউ যদি ২ ডোজ টিকা নিতে চান, তবে তাকে অবশ্যই ২ ডোজের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান নির্ধারিত ৮ সপ্তাহ দেশে অবস্থান করতে হবে। এক্ষেত্রে তাকে বৈধ কাগজপত্র (পাসপোর্ট, ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি) দাখিল করতে হবে। ভ্যাকসিন পরিবহন, সংরক্ষণ ও দেয়ার সময় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দেশের পুলিশ বাহিনী সর্বাত্মক সহায়তা দেবে। ভ্যাকসিন বিষয়ক সরকারী প্রচার নিশ্চিত করতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন নিবন্ধন, ভ্যাকসিন কার্ড, সম্মতিপত্র, ভ্যাকসিন সনদ দিতে ‘সুরক্ষা ওয়েবসাইট’ নামে সেবা প্রস্তুত করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের আইসিটি বিভাগ।

ভ্যাকসিনেশনের (টিকাদান) সেন্টারঃ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা সদর হাসপাতাল, সরকারী-বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, পুলিশ ও বিজিবি হাসপাতাল ও সিএমএইচ, বক্ষব্যাধি হাসপাতালে টিকা দেয়া হবে। টিকা দেয়ার জন্য ৭ হাজার ৩৪৪টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে ছয়জন সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে দুজন টিকাদানকারী (নার্স, স্যাকমো, পরিবার কল্যাণ সহকারী) ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।

কোল্ড চেন ধারণক্ষমতাঃ ৬৪ জেলার ইপিআই স্টোর (ডব্লিউআইসি/আইএলআর), ৪৮৩ উপজেলার ইপিআই স্টোর (আইএলআর)। একেকটি ডব্লিউআইসি কোল্ড স্টোরে ১ লাখ থেকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডোজ টিকা রাখা যাবে। আইএলআর স্টোরে রাখা যাবে ৭ হাজার ১০০ ডোজ টিকা। কোল্ড বক্সে ৯০০ ডোজ টিকা পরিবহন করে নেয়া যাবে। তাছাড়া কোভিড-১৯ টিকা সংরক্ষণের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ করা হবে। তা যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য দেশের সব জেলা ও সিটি কর্পোরেশনের ইপিআই সেন্টারে ইতোমধ্যে চিঠি দেয়ার মাধ্যমে যথাযথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে জাতীয় পর্যায়ে কোল্ড চেন ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে বিএডিসি ও অন্যান্য জায়গা থেকে কোন রুম ভাড়া নেয়া হবে।

টিকাদান প্রক্রিয়া ৬ ধাপে সম্পন্ন হবেঃ 

  • এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে নিবন্ধন।
  • অনলাইন পোর্টাল থেকে টিকা কার্ড সংগ্রহ।
  • টিকা দেয়ার তারিখ ও তথ্য পাঠানো হবে।
  • নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হবে।
  • প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার ২ মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট তারিখে পরবর্তী ডোজ টিকা দেয়া হবে।
  • ২ ডোজ টিকা নেয়ার পর পোর্টাল থেকে ভ্যাকসিন (টিকা) সনদ দেয়া হবে।

টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কীঃ টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য ডাঃ শামসুল হক বলেন, অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার খুবই কম। এর হার দুই থেকে তিন শতাংশের মতো। তবে যে কোন টিকার ক্ষেত্রেই মাইল্ড থেকে মডারেট বা সিভিয়ার সাইড ইফেক্ট হতে পারে। তবে বাংলাদেশে শিশু এবং বড়দেরও যে টিকা দেয়া হয়, সেখানে এনাফাইলেক্সিস বলে একটা কথা রয়েছে। এনাফাইলেক্সিস হচ্ছে একটি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া যেটা হতেই পারে। এর আবার বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। তবে একটা জিনিস আমরা বলব, যারা আমাদের টিকা দেবে, টিকাদান কেন্দ্রে যারা থাকবেন, তাদের এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানাতে হবে। তিনি জানান, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে আমাদের উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কেন্দ্রভিত্তিক মেডিক্যাল টিম থাকবে এবং কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত ওষুধ এনাফাইলেক্সিসের জন্য মজুদ রাখা হবে। যাতে চিকিৎসক দল সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হতে পারে অথবা উপজেলা হাসপাতালে চলে আসে। উপজেলা হাসপাতালেও যদি এমন দুর্ঘটনা ঘটে সে বিষয়টি ভেবে সেখানে প্রস্তুতি নেয়া থাকবে।

সম্মতিপত্রে যা লেখাঃ করোনার টিকা সম্পর্কে আমাকে অনলাইনে এবং সামনাসামনি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এ টিকা নেয়ার সময় অথবা পরে যে কোন অসুস্থতা, আঘাত বা ক্ষতি হলে, তার দায়ভার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা সরকারের নয়।

‘আমি সম্মতি দিচ্ছি যে, টিকা গ্রহণ ও এর প্রভাব সম্পর্কিত তথ্যের প্রয়োজন হলে, আমি তা দেব। জানা মতে, আমার ওষুধজনিত কোন এ্যালার্জি নেই।’

এসব বিষয় সম্মতিপত্রে উল্লেখ করতে হবে জানিয়ে ডাঃ শামসুল হক বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ বিষয়টি যদি তিনি না জানান, তাহলে কোন দুর্ঘটনা ঘটে গেলে, তখন আমরাও বুঝতে পারব না।’ টিকাদান পরবর্তী প্রতিবেদন অথবা গবেষণাপত্র তৈরির বিষয়ে অনুমতি দিলাম। আমি স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে এই টিকার উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হয়ে টিকা নিতে সম্মত আছি- এ সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেই টিকা নিতে হবে বলে জানান তিনি।

বিশেজ্ঞরা যা বললেনঃ বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, দেশে প্রথম টিকা কে পাবেন, সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ঠিক করতে হবে। সাধারণ মানুষকে কিভাবে টিকা দেয়া হবে, এ টিকা কারা ফ্রি পাবেন, সেটাও স্পষ্ট করতে হবে। টিকা পাওয়ার জন্য অনলাইনে নিবন্ধনের যে এ্যাপস বানানো হয়েছে, তা কতটুকু কার্যকর হবে, এ বিষয়গুলো যদি সমাধান করা যায়, তাহলে কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ কোন বিষয় না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ সায়েদুর রহমান বলেন, টিকা কারা পাবেন, এ প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে নির্ণয় করেত হবে। না হলে সমাজে একটি অস্থিরতা, বঞ্চনার অনুভূতি তৈরি হবে। টিকা কারা পাবেন, সেটা যদি যৌক্তিকভাবে বা বিজ্ঞানসম্মতভাবে নির্ধারণ করা না হয়, তাহলে সে সিদ্ধান্ত দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। টিকা কার্যক্রমের সফলতা নির্ভর করে স্বচ্ছতার ওপর। যত স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রক্রিয়াটি হবে, তাতে তত গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

আগামীনিউজ/এএইচ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে