Dr. Neem on Daraz
Victory Day

শখের বশে কাঠলিচুর বাগান করে স্বাবলম্বী আশরাফ


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২, ০৫:৪২ পিএম
শখের বশে কাঠলিচুর বাগান করে স্বাবলম্বী আশরাফ

মেহেরপুরঃ খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। মুখরোচক হওয়ায় শিশু-কিশোর এমনকি বয়স্করাও আকৃষ্ট হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ফল কাঠলিচুর আশানুরূপ ফলন ও দাম পাওয়ায় দিন দিন আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। তেমনই একজন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কৃষক আশরাফ মোল্লাহ।

জানা গেছে, কৃষক আশরাফ মোল্লাহর নতুন কিছু আবাদের প্রতি আগ্রহ বেশি। সবজি থেকে শুরু করে ফলের বাগানেও  রয়েছে নতুনত্ব। শখের বশে তিনি দুই বিঘা জমিতে কাঠলিচুর বাগান করেছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে প্রতিটি গাছে ফল এসেছে। থোকায় থোকায় ঝুলছে সেসব ফল। নুইয়ে পড়েছে প্রতিটি গাছ। ইতোমধ্যে বিক্রির জন্য  ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়েছেন। মেহেরপুরের বিভিন্ন ফল ব্যবসায়ীরাও পাইকারি কিনতে এসেছেন। প্রতি কেজি কাঠলিচু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। আর খুচরা বিক্রি করছেন ৯০-১০০ টাকায়। একটি গাছ থেকে ২-৩ মণ ফল সংগ্রহ করা যায়।  

বাগান মালিক আশরাফ মোল্লাহ জানান, ফরিদপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কাঠলিচুর বাগান দেখে আকৃষ্ট হন। সেখান থেকে চারা সংগ্রহ করে দুই বিঘা জমিতে কাঠলিচুর বাগান করেন। আবহাওয়া ও মাটির উর্বরতা ভেদে ভালো ফলন পেয়েছেন। তিনি ৫-৭ লাখ টাকার কাঠলিচু বিক্রি করেছেন। 

সাহারবাটি গ্রামের কৃষক পিয়ারুল ইসলাম জানান, কাঠলিচু বছরের সব সময় পাওয়া যায়। আগামী বছর কাঠলিচুর বাগান করব বলে ভাবছি। 

গাংনীর হাফিজুল ইসলাম জানান, কাঠলিচু বড়দের চেয়ে শিশু-কিশোরদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। পরিপক্বতার সময় বাগান থেকেই বিক্রি হয়ে যায়। এ বছর চারা সংগহ করে এক বিঘা জমিতে কাঠলিচুর বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পুষ্টিবিদ জান্নাতুন নেছা বলেন, কাঠলিচু বা আঁশ ফলে পযাপ্ত প্রোটিন ও চর্বি রয়েছে। এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। কাঠলিচুর ফল, পাতা ও ডগা বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে খুবই উপকারী। এ ফলের আঁশেও রয়েছে খনিজ ও ক্যালসিয়াম। সব বয়সের মানুষের শরীরে খুব দ্রত সময়ের মধ্যে পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে। মানবদেহে দুর্বলতা হলে কাঠলিচু খেলে স্বল্প সময়ের মধ্যে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন জানান, কাঠলিচুর আর একটি নাম আঁশ ফল। অঞ্চল ভেদে পৃথক নামে পরিচিত কাঠলিচু বা আশঁফল। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ফল। মেহেরপুরে তেমন কাঠলিচুর বাগান নেই। তবে এরই মধ্যে আশরাফ মোল্লাহ তার জমিতে একটি বাগান করেছেন। এপ্রিল মাসের প্রথম থেকে কাঠলিচু পরিপক্ব হয় জুন- জুলাই মাসে। বাজারেও এর চাহিদা রয়েছে। দামও ভালো। কাঠলিচুর বাগানে কৃষকরা লাভবান হবে। এক্ষেত্রে বাগান করতে আগ্রহীদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দেন তিনি।

এসএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে