Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সাতক্ষীরায় ছাগলের খামার, ৩ বছরে দ্বিগুণ


আগামী নিউজ | আগামীনিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২০, ০৯:৪৪ এএম
সাতক্ষীরায় ছাগলের খামার, ৩ বছরে দ্বিগুণ

মাংসের বাজার চাঙ্গা থাকায় ছাগল পালনে আগ্রহ বাড়ছে সাতক্ষীরায়। এতে জেলাটিতে ছাগলের খামারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, চার উন্নত প্রজাতির ছাগল পালন করে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় খামারিরা। তাদের দেখে আরো অনেকে উদ্যোগী হচ্ছেন এই গবাদি পশু পালনে।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে সাতক্ষীরায় ৫০০-এর মতো ছাগলের খামার ছিল। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে ৯৬৫-তে উন্নীত হয়েছে। এ জেলায় তোতাপুরী, যমুনাপাড়ি, হরিয়ানা, নেপালি, ব্ল্যাক বেঙ্গলসহ বিভিন্ন জাতের ছাগলের খামার আছে। তবে এখন তোতাপুরী, যমুনাপাড়ি, হরিয়ানা ও নেপালি জাতের ছাগলের খামার বেশি বাড়ছে।

খামারিরা জানান, বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি ছাগলের মাংস গড়ে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক থেকে দেড় বছর বয়সের একেকটি ছাগল প্রকারভেদে ৪০-৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। ভালো চাহিদা থাকায় আশপাশের জেলা থেকেও পাইকাররা এসে ছাগল কিনে নিয়ে যান। এতে অনেক সময় সাতক্ষীরাতেই ছাগলের সংকট দেখা দেয়।

সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া গ্রামের খামারি মো. মুজিবর রহমান জানান, কয়েক বছর ধরে তিনি উন্নত প্রজাতির ছাগল পালন খামার করে আসছেন। এখন তার খামারে ৬০টি ছাগল রয়েছে। এসব ছাগলের মধ্যে বেশির ভাগই তোতাপুরী, যমুনাপাড়ি ও হরিয়ানা জাতের।

তিনি জানান, বর্তমানে দুই মাস বয়সের এক জোড়া তোতাপুরী ছাগলের বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ হাজার টাকায়। একই বয়সের প্রতি জোড়া হরিয়ানা জাতের ছাগলের মূল্য ১৮-২০ হাজার টাকা। আর যমুনাপাড়ি ও নেপালি ছাগল বিক্রি হচ্ছে ১৬-২০ হাজার টাকায়। ছাগলের খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য পরিচর্যা খরচ উঠিয়ে মাসে ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি।

কলারোয়া উপজেলার পাটুলিয়া গ্রামের মো. জালাল উদ্দিন জানান, টানা ২০ বছর দুবাই থাকার পর ২০১৭ সালে দেশে ফিরে তিনি ছাগল পালন শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে দেশী-বিদেশী ৭০-৮০টি ছাগল রয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম বছর তেমন লাভ করতে না পারলেও এখন ছাগল বিক্রি করে মাসে ৫০-৫৫ হাজার টাকা আয় হয়।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, অন্যান্য গবাদি পশুর তুলনায় ছাগলের রোগবালাই কম হয়। এছাড়া একবার খামার গড়ে তুলতে পারলে দ্রুত বংশবিস্তারের কারণে ছাগলের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এ কারণে ছাগল পালন লাভজনক।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ছাগল পালন এখন খুব লাভজনক। স্বল্প পুঁজিতে খামার গড়ে তোলা যায়। এ কারণে সাতক্ষীরায় ছাগলের খামার বাড়ছে।

তিনি জানান, সরকারি হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে জেলায় ছোট-বড় ৯৬৫টি ছাগলের খামার আছে, যার বেশির ভাগই বাণিজ্যিক। দেশী প্রজাতির ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাড়াও ভারতীয় যমুনাপাড়ি, তোতাপুরী, হরিয়ানা ও নেপালি জাতের ছাগল পালনে খামারিদের মাঝে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ছাগলের রোগবালাই কম হয়। নিয়মিত পিপিআর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে ছাগল সুস্থ থাকে। শীতকালে ছাগলের নিউমোনিয়া বা পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। এসব রোগ সম্পর্কে খামারিরা একটু সতর্ক থাকলেই ছাগলের খামার গড়ে ভালো অর্থ আয় করতে পারেন।

আগামীনিউজ/মাসুম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে