Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বিচ্ছিন্ন লকডাউন কাজে আসছে না


আগামী নিউজ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২০, ০৯:৪৩ এএম
বিচ্ছিন্ন লকডাউন কাজে আসছে না

ঢাকা: করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের সর্বোচ্চ সংক্রমিত এলাকাগুলোকে এখনো ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। মাত্র ১৯ জেলার ১১৮টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫ এলাকা, চট্টগ্রামের ১১ এলাকা এবং বাকিগুলো অন্যান্য জেলায়। কিন্তু লকডাউনের সিদ্ধান্তের এক মাস চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো হাতে গোনা অধিকাংশ এলাকায় লকডাউন শুরু হয়নি। বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে পূর্বরাজাবাজারে লকডাউন শেষ হয়েছে ও গতকাল শনিবার থেকে ওয়ারীতে শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রামের একটি এলাকায় লকডাউন হয়েছে। প্রথম দফায় ঘোষণা দেওয়া তিন জেলার মধ্যে গাজীপুরের ১৯ রেড জোনের তিনটি, নরসিংদীর ১৪ রেড জোন এলাকার মধ্যে মাত্র চারটি এবং নারায়ণগঞ্জের ২৭টি ওয়ার্ড এবং আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ উপজেলার মধ্যে মাত্র একটি ইউনিয়নে লকডাউন হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ঘোষণা দেওয়া ১৫ জেলার ৩৮টি রেড জোন এলাকার মধ্যে অল্প সংখ্যক এলাকায় লকডাউন হয়েছে।

এমনকি এসব এলাকার মধ্যে পূর্বরাজাবাজার, মৌলবীবাজার, মানিকগঞ্জসহ হাতে গোনা কয়েকটি এলাকা ছাড়া বাকিগুলোতে লকডাউন অতটা কার্যকর করা যায়নি বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, বিচ্ছিন্নভাবে লকডাউন দেওয়ায় এবং ঠিকমতো স্বাস্থ্যগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাগুলোতে সংক্রমণের হার আগের মতোই রয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের একসঙ্গে সব জায়গায় লকডাউন করার পরিকল্পনা আপাতত নেই। বিশেষ করে ঢাকা শহরে এক এক এলাকা ধরে ধারাবাহিকভাবে লকডাউন দেওয়া হবে। তবে ঢাকার বাইরের কিছু এলাকায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায়  সেখানকার জন্য নতুন করে ম্যাপিং করা হচ্ছে। ঢাকা শহরের বাইরে অন্য জেলাগুলোতে অবশ্য একসঙ্গেই কিছু এলাকা মিলে লকডাউন দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) কয়েক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ঢাকা শহরে শতাধিক এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেড জোনের নতুন ম্যাপিংও সম্পন্ন হয়েছে। এক কিলোমিটারেরও কম জায়গা নিয়ে একেকটি স্পট করা হয়েছে। এতগুলো এলাকায় একসঙ্গে লকডাউনে যাওয়া বিরাট প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্যগত প্রস্তুতি দরকার। সেটা সংকুলান করা যাচ্ছে না। ফলে একসঙ্গে লকডাউন হবে না এখানে। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে একটার পর একটা করা হবে। কারণ একবারে শুরু করার জন্য যে প্রস্তুতি, যে রিসোর্স দরকার, সেটা জোগাড় করা কঠিন। প্রত্যেকটা এলাকার জন্য একটা করে ডেডিকেটেড অ্যাম্বুলেন্স, যেসব এরিয়ায় হাসপাতাল নেই, সেখান থেকে রোগী নেওয়া, এই ব্যবস্থাপনাটা খুব কঠিন। সেটা ভেবেই প্রশাসন একসঙ্গে লকডাউন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য এগোচ্ছে না।

এসব বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা আরও বলেন, সরকার মনে করছে করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এক মাস ধরে শনাক্ত তিন-চার হাজার ও মৃত্যু ৪০-৫০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। এমন অবস্থায় সরকার এত তাড়াতাড়ি এভাবে লকডাউনে যেতে চায় না। ঢাকার বাইরে যেহেতু ছোট ছোট এলাকায় হচ্ছে, মানুষ কম, সেটা স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা করতে পারছে। ১৯ জেলায় হচ্ছে। জনপ্রশাসন ছুটি দিয়েছে। কক্সবাজারের রিপোর্ট পেয়েছি। তিন সপ্তাহ ধরে যেটা হচ্ছে, উল্লম্ফন হয়নি। জনসংখ্যা অনুপাতে সেখানে কিছু সংক্রমণ রয়েছে।

তবে সরকারের এমন বিচ্ছিন্ন ও ধীরে ধীরে লকডাউনে ‘কোনো কাজ হবে না’ বলে মত দিয়েছেন দেশের বিশেষজ্ঞরা। তারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, একসঙ্গে সারা দেশের সব রেড জোনে লকডাউন শুরু করা না গেলে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না। এভাবে একসঙ্গে সব জায়গায় লকডাউন করা গেলে তিন-চার মাসের মধ্যে বাংলাদেশে সংক্রমণটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসত বলেও মনে করছেন তারা।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, এভাবে বিচ্ছিন্ন বা দেরিতে লকডাউন ঠিক না। ঠিক হচ্ছে না। একযোগে সকল জায়গায় দ্রুত লকডাউন করতে হবে। তাহলে যেটা হবে যেসব হটস্পট আছে, সব জায়গায় যদি একসঙ্গে ‘জোনভিত্তিক করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কার্যক্রম’ চালাতে পারতাম এবং সংক্রমণ রোধ করতে পারতাম, তাহলে বাকি যে জায়গাগুলো (যেখানে কমসংখ্যক এলাকায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ) তখন সেখানে মনোযোগ দিতে পারতাম।

এই বিশেষজ্ঞ উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধরেন দেশে ৫০০ উপজেলা। এর মধ্যে ১০০টা উপজেলায় কোনো গ্রামে পাঁচ-ছয়টা করে স্পট আছে। একসঙ্গে যদি আমরা ৫০০ উপজেলার ৫০০টা জায়গায় করি, ঢাকা শহরে তিন-চারশ চট্টগ্রামে দুইশ, খুলনায় ৫০এভাবে যদি করতাম, তাহলে সারা দেশে একযোগে সংক্রমণ থেমে যেত। তা হলে এখন যে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার শনাক্ত হচ্ছে, তখন এই সংখ্যাটা কমে আসতে শুরু করত। তখন এই জায়গাগুলোতে আর নতুন করে সংক্রমণ ছড়াত না। তখন এখানে সেখানে যে দুই-চারটা এলাকায় শনাক্ত হতো, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। এভাবে আমরা যদি সব সময় তৎপর থাকতাম, তা হলে এসব জায়গায় ১৪, ২৮ ও ৪২ দিনের মধ্যে সংক্রমণটা থেমে যেত। তারপর তিন-চার মাস হাতে নিয়ে যেসব জায়গায় দুই-চারটি করে সংক্রমণ পাওয়া যেত, সেখানে নিয়ন্ত্রণ করা যেত। ওখান থেকে আর নতুন করে সংক্রমণ ছড়াত না।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এভাবে একসঙ্গে সব জায়গায় লকডাউন করা গেলে তিন-চার মাসের মধ্যে বাংলাদেশে সংক্রমণটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসত। অন্য দেশ এভাবেই করেছে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ যেসব দেশ নিয়ন্ত্রণে এনেছে, তারা এভাবেই এনেছে। তারা এভাবে সাধারণ যুক্তি, বুদ্ধি, কৌশল দিয়েই করেছে।

একযোগে সব জায়গায় লকডাউনের কৌশল হিসেবে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এতে বেশি খরচ হবে না। ১২শ-১৫শ টিম করতে হবে। প্রত্যেক টিমে ৩০-৫০ জন করে সদস্য থাকবে। মাসে এদের শুধু পারিশ্রমিক বা বেতন লাগবে। আমাদের লোকবল আছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, জুনিয়র মেডিকেল অফিসার, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, নার্স, প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার, স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউট, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ক্যাডেট এদের সমন্বয়ে টিম গঠন করতে হবে। এমনকি সেনাবাহিনীকেও কাজে লাগাতে পারি।

বাংলাদেশে লকডাউন শুরু করা যাচ্ছে না কেন জানতে চাইলে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, শুরু না করতে পারার কারণ আমরা সংক্রমণের বিস্তার ও প্রেক্ষাপট বুঝতে পারছি না। এটা যে একটা বিশাল ক্যানভাস, সেটা না বুঝে আমরা শুধু এক কোনায় ঘোরাঘুরি করছি। তা হলে তো সংক্রমণের সব জায়গায় কাজ হবে না। সুতরাং শুধু পূর্বরাজাবাজার বা ওয়ারী, বাইরে আর ১০-১৫টা জায়গায় কাজ করলে হবে না। পুরো দেশকে একসঙ্গে দেখতে হবে। আমাদের যারা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত, তারা এভাবে বড় ক্যানভাসে দেখতে অভ্যস্ত না। এরা ছোট ছোট করে দেখে। করোনার সংক্রমণের শুরু থেকে তা-ই হয়েছে। এরা দূরে দেখতে পারেন না। তাদের প্ল্যানিংও ক্ষুদ্র পরিসরের। যে কারণে আমরা সংক্রমণ ঠেকাতে পারছি না।

লকডাউনের দেরির কারণে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে সতর্ক করে দিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এখনো বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যা আক্রান্ত হননি। কমিউনিটির ৮০ শতাংশ এখনো অনাক্রান্ত। আমরা যদি এখন সংক্রমণ না থামাই, তাহলে ধীরে ধীরে ‘দীর্ঘমেয়াদি বৃহত্তর সংক্রমণ চক্রের’ মধ্যে ঢুকে যাব। এ-পাড়া থেকে সে-পাড়া, এ-বাড়ি থেকে সে-বাড়ি, এভাবে অন্যান্য অনাক্রান্ত এলাকাগুলোও আক্রান্ত হবে। এখনো নতুন নতুন বাড়ি ভবন আক্রান্ত হচ্ছে। তার মানে এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সরকার যদি দেশের সংক্রমণ রক্ষা করতে পারত, তাহলে নতুন করে সংক্রমণ হতো না। আমরা বেঁচে যেতাম। একইভাবে ধীরে ধীরে অনাক্রান্ত পরিবার, পাড়া, মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করবে। আমরা একটা সংক্রমণ চক্রের মধ্যে ঢুকব।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রথম ১৪ দিনের হিসাবে রোগীর যে সংখ্যা, সেটা ২১ দিন পর কমেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা ‘হলুদ এলাকা’ বলা যাবে না, তিন সপ্তাহ দেখা হবে যে এই কমের হারটা বজায় থাকে কি না। তবে পূর্বরাজাবাজারের প্রথম যে সাফল্য সেটা আক্রান্তের সংখ্যা দিয়ে নয়, সেখানে কমিউনিটির অংশগ্রহণ। প্রচুর সংখ্যক ভলান্টিয়ার কাজ করেছে। জনপ্রতিনিধিরা কাজ করেছে। তারা এটাকে নিজেদের সমস্যা হিসেবে নিয়েছে। এই অংশগ্রহণ বড় সাফল্য। যেটা টোলারবাগে শুরু হয়েছিল, মাঝখানে মে মাস থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। সেটা আবার পুনরুদ্ধার হচ্ছে।

‘পূর্বরাজাবাজার লকডাউনের আরেকটা সাফল্য হলো, প্রত্যেক ঘরে ঘরে গিয়ে রোগী শনাক্ত করে বের করা হয়েছে।’ এভাবে তারা যদি রোগী বের না করত, তা হলে তাদের থেকে আরও একশ জনে ছড়াত। এর আগে এভাবে ঘরে ঘরে যাওয়া হয়নি। তারা ভয় পেয়েছে। কোথায় যাবে টেস্ট  করতে, টেস্টের রেজাল্ট জানলে বাড়িওয়ালা বের করে দেবে। লকডাউনটা একটা ভয়ের জিনিস ছিল। কিন্তু জনসম্পৃক্ততার কারণে লকডাউনটা স্বাস্থ্যসম্মত ও স্বাস্থ্যগত বেষ্টনী হয়েছে। এটাকে সবাই স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় মনে করেছে। এ কারণে শেষ হওয়ার পরও তারা বলেছে বেষ্টনী তুলে নেবে না। একটাই গেট থাকবে। যারা চাকরি কাজ করে তারা যেতে আসতে পারবে। এর বাইরে কেউ ঢুকতে পারবে না। কাজেই এটাই তো অনেক বড় পাওয়া।’ বলেন এই বিশেষজ্ঞ।

তাহলে দেশের অন্যান্য জায়গা কীভাবে লকডাউন করতে পারি জানতে চাইলে এই রোগতত্ত্ববিদ বলেন, ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে একই সময়ে লাল, হলুদ ও সবুজ জোন ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বেষ্টনী পালন করতে হবে। বেষ্টনীতে রোগী শনাক্ত করতে হবে। একেকটা একেক সময়ে করলে কিন্তু সাফল্য ধরে রাখা যাবে না। রাজাবাজারে সাফল্য ধরে রাখা গেছে বলেই করা গেছে। এটা কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরে রাখা যাবে না। কাজেই শুধু ঢাকা শহর না, সারা দেশে যদি একই সঙ্গে ও কাছাকাছি সময়ে করি, তাহলে আমরা তিন সপ্তাহের মধ্যেই সুফল পাব। তা না হলে সুফলটা হারিয়ে যাবে। আমাদের আবার করতে হবে।

একসঙ্গে করলে কীভাবে সুফল আসবে জানতে চাইলে ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, অতিরিক্ত সংক্রমিত এলাকায় সংক্রমণ কমে আসবে। এক জেলার সাফল্য দেখে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হবে। আর বিচ্ছিন্নভাবে করলে অধিক সংক্রমিত এলাকা থেকে যাতায়াতের মাধ্যমে কম সংক্রমিত এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। কম সংক্রমিত এলাকাতে আবার সংক্রমণ বাড়বে। এভাবে সার্বিক সংক্রমণ বেড়ে যাবে।

এই মুহূর্তে সংক্রমণের গতি অনুযায়ী স্বাস্থ্য বেষ্টনী কতটা জরুরি জানতে চাইলে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, স্বাস্থ্যগত বেষ্টনী করার উদ্দেশ্য দুটিএকটি হচ্ছে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ ছড়ানো দমন করে, এই দমনটা দরকার। আর দ্বিতীয় হচ্ছে, স্বাস্থ্য বেষ্টনীর সময় ঘরে ঘরে গিয়ে রোগী শনাক্ত করে তাকে আইসোলেট করতে পারি, যারা তাদের সংস্পর্শে আছে তাদেরও শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে নিতে পারি। এই দুটো পদ্ধতি সংমিশ্রণ করে রোগীর সংখ্যা কমে আসে। এটা জনস্বাস্থ্যের ব্যবস্থা। আর লাল হলুদ এগুলো জনস্বাস্থ্য বেষ্টনী।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বেষ্টনী করা যাচ্ছে না কেন প্রশ্নের উত্তরে এই রোগতত্ত্ববিদ বলেন, এখনো করা যাচ্ছে না, তার প্রধান কারণ হলো জনগণকে সম্পৃক্ত করার কৌশলটা এতদিন আমরা অত গুরুত্ব দেইনি। যদিও টোলারবাগ, শিবচর উদাহরণ ছিল। কিন্তু কাজে লাগাইনি। স্বাস্থ্য বেষ্টনীর মূল কাজই হচ্ছে জনগণকে সম্পৃক্ত করা। অবশ্যই সফলতা আসবে জনগণ যদি নিজেরাই মনে করে এটা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য দরকার। সংক্রামক ব্যাধি হলে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে মানুষ এসব যখন নিজেদের মতো করে গ্রহণ করবে, তখন এভাবে জোরাজুরি করার প্রয়োজন হবে না। আইনের প্রয়োজন হবে না। এখন এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দরকার দেরি না করে দ্রুত বাস্তবায়ন। এখন জনগণ নিজেরাই আগ্রহী। (খবর: দৈনিক দেশ রূপান্তর, ০৫ জুলাই ২০২০) 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে