Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ফাঁকা বেডগুলো কোথায়


আগামী নিউজ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২০, ০৮:৪২ এএম
ফাঁকা বেডগুলো কোথায়

দেশে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও পরীক্ষা অনুপাতে সর্বোচ্চ ২৩ শতাংশের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন। প্রতিদিনই গড়ে সাড়ে তিন হাজারের মতো নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে, গড়ে সুস্থ হচ্ছেন ১৫শ’ করে। সে হিসাবে প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত রোগী থাকছেন আড়াই হাজার করে। গত এক সপ্তাহের হিসাব ধরলে বর্তমানে রোগী থাকার কথা সাড়ে ১৭ হাজার। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কভিড হাসপাতালে মোট রোগী ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৩২ জন। তাহলে বাকি ১৪ হাজার রোগী কোথায় এমন কোনো তথ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই।

একইভাবে অধিদপ্তর বলছে, ৬ হাজার ৯৮৩টি ও আইসিইউ বেড ২৫৪টি। বর্তমানে সাধারণ বেডে রোগী ভর্তি রয়েছেন ৩ হাজার ৩২জন। সে হিসাবে বেড ফাঁকা ৩ হাজার ৯৫১টি। একইভাবে বর্তমানে আইসিইউ বেডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৩৩ জন। অর্থাৎ আইসিইউ বেড ফাঁকা ১২১টি।

এর বাইরে গত শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা অনলাইন বুলেটিনে বলেছেন, করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে এখনো ১৯৬টি আইসিইউ বেড ফাঁকা পড়ে আছে। আর হাসপাতালগুলোতে সাধারণ শয্যা ফাঁকা রয়েছে ৯ হাজার ৯১৯টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন তথ্যের প্রেক্ষাপটে করোনা রোগীর প্রকৃত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের বিশেষজ্ঞরা। তাদের হিসাবে, প্রতিদিন যেখানে অসংখ্য করোনা রোগী বেডের অভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন না, সেখানে বেড ফাঁকা থাকার বিষয়টি তাদের কাছে বোধগম্য নয়। বিশেষ করে তারা আইসিইউ বেডের ব্যাপারে বলেছেন, দেশে যে পরিমাণ আইসিইউ বেড, তা করোনা রোগীর চাহিদা অনুপাতে ১০ শতাংশেরও কম। অর্থাৎ ১০০ জন রোগীর মধ্যে ১০ জনের জন্যও আইসিইউ দিতে পারছি না। তাহলে এত বেড ফাঁকা থাকে কী করে? বিশেষজ্ঞরা এমনও প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি হাসপাতালগুলো রোগী ভর্তি করছে না? নাকি অব্যবস্থাপনা ও দুর্ভোগের কথা ভেবে রোগীরাই হাসপাতালে যাচ্ছেন না।

বিশেষজ্ঞরা রোগীদের দুর্ভোগ কমাতে স্বাস্থ্য বিভাগকে ডাটাবেইজ সিস্টেম চালু করার পরামর্শ দেন। তারা বলেন, প্রতিদিন তাদের জানানো উচিত কোন হাসপাতালে কতটি বেড ফাঁকা আছে। তাহলে মানুষ সেখানেই যাবেন। ভর্তির জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরতে হবে না। 

 এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শারমিন ইয়াসমিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমার জানা মতে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছু বেড ফাঁকা আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে সাধারণ বেড ও আইসিইউ বেড ফাঁকা থাকার সংখ্যাটা বলল, সেটা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। ঢাকায় যে উপচেপড়া রোগী, সেখানে কিন্তু এতগুলো বেড খালি থাকার কথা না।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রথম থেকেই হাসপাতালে বেড খালি নেই। এখনো থাকার কথা না। হাসপাতালের অবস্থার কথা সবাই জানেন। অক্সিজেন পাওয়া যায় না। হাই ফ্লো ন্যাজেল ক্যানোলা সবখানে নেই। সিএমএইচে আছে। কুর্মিটোলা বা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে এখনো অব্যবস্থাপনা চলছে। অথচ এগুলোই তো প্রথম থেকে ডেডিকেটেড হাসপাতাল। ঢাকা মেডিকেলেও যে অক্সিজেন ব্যবস্থা, সেটাও সবাই পায় না। সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা কোনো কোনো হাসপাতালে করেছে। একজন সাধারণ অ্যাজমা রোগীর অক্সিজেন লাগে। সেখানে  কভিড রোগীদের জন্য চাহিদা অনেক বেশি। এক মিনিটে যে পরিমাণ অক্সিজেন দরকার, তাতে মজুদ থাকার কথা। সেটা না থাকায় রোগীর লোকজন অক্সিজেন সিলিন্ডার আনছেন। এগুলোর কবে সুরাহা হবে, জানি না।

একইভাবে বেসরকারি হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী প্রশ্ন তুলে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাধারণ বেড ফাঁকা থাকার যে তথ্য দিচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে আমরা বেশ ভালো আছি। আমাদের চিকিৎসার কোনো সংকট নেই। প্রতিদিন তাহলে এত রোগী এত মৃত্যু কেন হচ্ছে? তার মানে হাসপাতালগুলো রোগী ভর্তি নিচ্ছে না। জোর করে তারা রোগী তাড়িয়ে দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এক ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল শনিবার অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আমিনুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে ‘সাধারণ বেড’ প্রসঙ্গে বলেন, প্রত্যেক হাসপাতালেই বেড ফাঁকা আছে। বসুন্ধরা হাসপাতালে প্রায় ১৮শ’ বেডই ফাঁকা। ঢাকা মেডিকেলেও বেড ফাঁকা আছে। সব হাসপাতালেই কিছু না কিছু বেড ফাঁকা আছে। কেন গণমাধ্যম বলে বেড নেই, বুঝি না।

তাহলে এত রোগী প্রতিদিন শনাক্ত হচ্ছে তারা হাসপাতালে যাচ্ছে না কেন জানতে চাইলে এই পরিচালক বলেন, সেটা রোগীদের থেকে শুনতে হবে, কেন তারা হাসপাতালে যাচ্ছেন না।

আইসিইউ প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, আইসিইউ বেড ঠিক ফাঁকা না। যে সব আইসিইউ বেড ফাঁকা দেখাচ্ছে, সেটা আমাদের অফিশিয়াল সংখ্যা। এর মধ্যে কিছু কিছু আইসিইউ এখন কাজ করছে না। এখানে তথ্যের একটা গ্যাপ হয়েছে। তবে সাধারণ বেড ফাঁকা আছে। রোগীদের হাসপাতালে যেতে বলেন।

অবশ্য গত দু-তিনদিন ধরেই ঢাকা মহানগরী ও সারা দেশে কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে কী পরিমাণে সাধারণ বেড ও আইসিইউ বেড রয়েছে তা নিয়ে অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত শুক্রবারের বুলেটিনে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীতে সাধারণ বেড সংখ্যা ৬ হাজার ৭৭৩টি এবং আইসিইউ বেড সংখ্যা ১৮০টি। আর সারা দেশে সাধারণ বেড ১৪ হাজার ৬১০টি এবং আইসিইউ বেড ৩৭৯টি। পরে ওইদিন সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য সংশোধন করে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরীতে সাধারণ বেড আছে ৫ হাজার ৭০৯টি এবং আইসিইউ বেড আছে ২৭৪টি। আর সারা দেশে সাধারণ বেড ১৩ হাজার ৫৮৬টি এবং আইসিইউ বেড ৪৭৩টি।  সংশোধিত এই সংখ্যাও গতকালের বুলেটিনে আবার পাল্টে গেল। এদিন বলা হয়, ঢাকা মহানগরীতে সাধারণ বেড সংখ্যা ৪ হাজার ২৯৩টি এবং আইসিইউ বেড সংখ্যা ৭৯টি। আর সারা দেশে সাধারণ বেডের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৩টি এবং আইসিইউ বেড সংখ্যা ২৭৫টি। এছাড়া গত শুক্রবার সারা দেশে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা বলা হয়েছিল ১০ হাজার ৫২৫টি। গতকাল সেই সংখ্যা বলা হয়েছে ১১ হাজার ৪৪৫টি। একইভাবে গতকাল শনিবারের দেওয়া তথ্যের সঙ্গেও আগের দুদিনের কোনো মিল পাওয়া যায়নি।

রোগীর অনুপাতে এত বেড ফাঁকা থাকার তথ্য কতটুকু বাস্তব জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. শারমিন ইয়াসমিন বলেন, কভিড রোগীদের ৮০ শতাংশ রোগী সাধারণ চিকিৎসা পেলেই ভালো হয়ে যাচ্ছেন। বাকি ২০ শতাংশ ক্রিটিক্যাল রোগী। এদের আইসিইউ লাগে। সে হিসাবে বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত থেকে সুস্থদের বাদ দিলে বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস ৭০ হাজারের বেশি। এর ৫ শতাংশ অর্থাৎ সাড়ে তিন হাজার রোগীর আইসিইউ লাগে। আর আমাদের আইসিইউ বেড আছে সাড়ে তিনশর মতো। এই সংখ্যা রোগীর চাহিদা অনুপাতে ১০ শতাংশেরও কম। অর্থাৎ ১০০ জন রোগীর মধ্যে ১০ জনের জন্যও আইসিইউ দিতে পারছি না। তাহলে এত আইসিইউ বেড খালি থাকে কী করে? তারপরও যদি খালি থাকে, তাহলে হাসপাতালের ওপর কি রোগীর ভরসা নেই? তারা বাড়িতেই তাহলে অসুখ হয়ে মারা যাচ্ছে।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, আমার পরামর্শ থাকবে সেন্ট্রাল ডাটাবেজ করলে রোগীর ভোগান্তি হয় না। একজন ডাক্তার কম্পিউটার চেপেই বলে দিতে পারবেন কোথায় বেড খালি আছে, কোথায় যেতে হবে। তা না হলে কিন্তু রোগীদের হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরতে হবে। আমরা বলছি ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা যদি প্রয়োজনের সময়ই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে না পারি, জনগণের ভোগান্তি দূর করতে না পারি, তাহলে ডিজিটালাইজেশন থেকে লাভ কি। 

এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের এ তথ্য দেওয়া উচিত যে হাসপাতালে কতজন ও বাসায় কতজন মারা যাচ্ছেন। তাহলে বোঝা যাবে হাসপাতাল ঠিক কতটা চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। যদি হাসপাতালে আসার সংখ্যা কম হয় তা হলে বুঝতে হবে সিগমার কারণে বা হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কারণে তারা হাসপাতালে আসছেন না। কিংবা রোগী হাসপাতালে আসার জন্য পরিবারের সহযোগিতা পান না। যার কারণে বাড়িতে থেকেই মারা যাচ্ছেন।

এই জনস্বাস্থ্যবিদ কোরবানির পশুর হাট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যেখানে সংক্রমণ বাড়ছেই, পিকে কবে আসব, সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেখানে পশুর হাটের মধ্য দিয়ে আমরা সংক্রমণকে নিজেরাই ডেকে আনছি। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানো সম্ভব না। সরকারের উচিত এটা বন্ধ করা। বিকল্প পদ্ধতি আছে। অনলাইনে কেনাবেচা হতে পারে। সরকার একটা নীতিমালা করে দিক। হজের সময় একটা জায়গায় কুরবানি হয়। তারাই পশু কেনে। জবাই দেয়। যাদের নামে কুরবানি তাদের একজন প্রতিনিধি সেখানে থাকে। এরকম কিছু করা যায় কি না, সেটা ভাবা উচিত। এখানে করোনা মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা ভুল পথে যাচ্ছি।

একইভাবে ডা. লেলিন চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একদমই কোনো সমন্বয় নেই। এটা নেই বলেই হঠাৎ আমরা জানলাম এতগুলো সাধারণ বেড ও আইসিইউ বেড ফাঁকা আছে। অথচ ওইদিনই আমরা জেনেছি, হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে বাচ্চাকে ভর্তি করাতে না পেরে, একটি হাসপাতালের সামনে মা ভেঙেপড়া অবস্থায় বসে আছেন। তারমানে প্রচ- সমন্বয়হীনতা। তারা যে বলছে বেড ফাঁকা, কোথায় ফাঁকা আছে? মানুষ জানে না। তাহলে কি এই বেডগুলো ফাঁকা আছে, এই হিসাব দেওয়ার জন্যই কি তারা রোগী ভর্তি করছে না? কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি রোগী ঘুরছেন, বেড পাচ্ছেন না। এই ফাঁকাটা কোথা থেকে এলো? এতদিন কিন্তু ফাঁকা ছিল না। এখন হঠাৎ ফাঁকা হলো। রোগীর সংখ্যা তো কমেনি। কভিড-১৯ রোগীর পাশাপাশি সাধারণ রোগীও রয়েছেন। তার মানে এই দুটো বিভাগ যখন যেটা সামনে এসেছে, সেটা নিয়েই তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কভিড-১৯ কে প্রতিরোধ করার জন্য, রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য যে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা, সেটি তারা করেননি।

এই্ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, মাঝখানে কুর্মিটোলা হাসপাতাল নিয়ে খুব হইচই হলো। যখন রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেল, সব হাসপাতালে রোগী ভর্তির উদ্যোগ নিল। অথচ এখনো বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে রোগী ভর্তি করে না। আগে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগকে ঠিক করতে হবে তাদের কী সামর্থ্য আছে, সেটা মানুষকে জানাক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিদিন সকালে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেওয়া উচিত যে তাদের কতগুলো বেড ও আইসিইউ ফাঁকা আছে এবং কোন কোন জায়গায় ফাঁকা আছে। মানুষ যেন দরকারে সেখান থেকে জেনে যেতে পারেন।

সাধারণ বেড ও আইসিইউ বেডের তথ্য বিশ্লেষণ করে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগী ১ লাখ ৩৫ হাজারের কাছাকাছি। এর চারভাগের এক ভাগ ঢাকায়, অর্থাৎ ৩০ হাজার রোগী। এর মধ্যে যদি ৫ শতাংশের আইসিইউ বেড লাগে, তা হলে দরকার ১৫শ’ আইসিইউ। এর মধ্যে অর্ধেক বা তিন ভাগের দুই ভাগ রোগী ভালো হয়ে গেছেন। তারপরও ৫শ রোগীর আইসিইউ দরকার। কম করে হলেও তিনশ রোগীর তো দরকার। আমাদের সারা দেশে মোট আইসিইউ বেড চারশর মতো। যদি সেটা হয় তাহলে কীভাবে আইসিইউ বেড খালি থাকে? তার মানে হয় রোগীদের ভর্তি করা হয়নি, অথবা দেশে রোগী নেই। কিন্তু আমরা দেখছি প্রতিদিনই রোগী বাড়ছে। তবে এমন হতে পারে আইসিইউগুলো চালু নেই। (খবর :দৈনিক দেশ রূপান্তর, ২৮ জুন ২০২০) 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে