Dr. Neem on Daraz
Victory Day

চরম ঝুঁকিতে আবাসন খাত বড় বাধা আয়কর আইন


আগামী নিউজ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২, ২০২০, ০৮:০২ এএম
চরম ঝুঁকিতে আবাসন খাত বড় বাধা আয়কর আইন

দীর্ঘদিন ধরেই আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে সেটি শুধু কাগজে-কলমেই। বাস্তবে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বাধা তৈরি করে রাখা হয়েছে আয়কর আইনে। ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ১৯ ধারায় এমন একটি বিধি সংযোজনের মাধ্যমে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগকে অস্বাভাবিক হারে ব্যয়বহুল করা হয়েছে। ফলে সুযোগ রাখা হলেও আবাসনে তা বিনিয়োগ হচ্ছে না। এতে দেশের অপ্রদর্শিত অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট চলছে। অন্যান্য খাতের পাশাপাশি দেশের আবাসন খাতও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। করোনার প্রভাবে রিয়েল এস্টেট খাত স্থবির হয়ে পড়ায় এর সঙ্গে যুক্ত ২১১ ধরনের শিল্পও অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির বিকাশে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে আয়কর আইনের বিদ্যমান বাধা দূর করার দাবি জানিয়েছেন শিল্পসংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর গাড়ি, জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মাত্র ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সে সময় কালো টাকা সাদা করা সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের সবকটি ধারা (১৯বি, ১৯বিবি, ১৯বিবিবি) বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর আওয়ামী লীগ আয়কর অধ্যাদেশে ১৯ই ধারা সংযোজন করে প্রযোজ্য আয়করের সঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা সাপেক্ষে স্থায়ীভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়। আর ২০১৩ সালে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯ বিবিবিবিবি ধারা সংযোজন করে। এ ধারা অনুযায়ী ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে টাকা বৈধ করা যায়। ধারায় বলা আছে, আয়তনের ওপর এলাকাভেদে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিলে কোনো প্রশ্ন করা হয় না। এ সুযোগটি আগে থেকেই আছে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কর নির্ধারণ করায় এর সুফল পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রশ্ন করার সুযোগ না থাকলেও চরম ঝুঁকিতে আবাসন খাত বড় বাধা আয়কর আইন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সেই সুযোগ থেকে যায়।

আবাসন খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আয়কর অধ্যাদেশে প্রযোজ্য করের সঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা ও ১৯ বিবিবিবিবি ধারা সংযোজনের ফলে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ অস্বাভাবিক হারে ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হলেও তা কেউ নিচ্ছেন না। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে তারল্য সংকট চলছে। দীর্ঘদিনের লকডাউনের কারণে সব শ্রেণি-পেশার মানুষই অর্থসংকটে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে ফিরিয়ে এনে অর্থনীতি বেগবান করা উচিত। অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে আয়কর আইনে বিদ্যমান বাধা দূর করার পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের মতো বেসরকারি চাকরিজীবী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বল্প সুদে গৃহ ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আবাসন খাতের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া ঠিক হবে না। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আয়কর অধ্যাদেশের ১৯-এর বিবিবিবিবি ধারা সাময়িকভাবে স্থগিত রেখে সরকার আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিতে পারে। এজন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে। আর সময় পার হওয়ার পর যদি কারও কাছে অপ্রদর্শিত অর্থ অথবা কালো টাকা পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আবাসন খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০০৭ ও ’০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা প্রশ্নে আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ আসে খাতটিতে। কিন্তু ২০১৩ সালে আয়কর অধ্যাদেশে ১৯ বিবিবিবিবি ধারা সংযোজনের ফলে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগকারীরা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্র্তৃক হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। এ ধারা সংযোজনের মাধ্যমে ইনডেমনিটির সুযোগ রহিত করায় অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তীব্র নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং বিপুল পরিমাণের অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৯ বিবিবিবিবি ধারা স্থগিত করে আয়কর অধ্যাদেশের ১৯বি, ১৯বিবি পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে আবাসনসহ কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি তাদের। একই সঙ্গে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি কর্মচারীদের মতো বেসরকারি চাকরিজীবী ও প্রবাসীদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা। এ খাতে সুদে ভর্তুকি প্রদান করা হলে সরকার আবাসন খাত থেকে আয়কর, ভ্যাট ও নিবন্ধন বাবদ বছরে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ রাজস্ব পাবে। ফ্ল্যাট ক্রেতাদের একটি বড় অংশ প্রবাসী। অথচ নগদ প্রণোদনা সত্ত্বেও হুন্ডি বন্ধ না হওয়ায় প্রবাসী আয়ের একটি অংশ অপ্রদর্শিত থেকে যাচ্ছে। তারা হুন্ডি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ চান। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে দেশ থেকে গত ১০ বছরে চার লাখ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়েছে। অর্থ পাচার বন্ধ করতে মানি লন্ডারিং আইনেরও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি তাদের। একই সঙ্গে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধ করারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, আয়কর অধ্যাদেশে ১৯ বিবিবিবিবি ধারা যুক্ত করার ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কোনো প্রশ্ন করে না, কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রশ্ন করার সুযোগ থেকে যায়। সে কারণে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিতে সরকারের যে ইচ্ছা, তা বাস্তবে রূপ নিতে পারছে না। আমরা সবাই জানি যে, অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে আছে এবং এ টাকাটা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। করোনার কারণে আমাদের অর্থনীতিতে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, তাতে করে আগামী বাজেটে আবাসনসহ যেসব খাতে নতুন কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ রয়েছে, সেখানে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হয়। বিশে^র বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোমের নামে যেসব বিনিয়োগ হয়, সেখানে কিন্তু অর্থের উৎস জানতে চাওয়া হয় না। এমন সুযোগ থাকায় দেশের অপ্রদর্শিত টাকা সেখানে চলে যাচ্ছে।

অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগের পাশাপাশি ফ্ল্যাট ক্রয়ে স্বল্প সুদে গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশে কিস্তিতে এমন সুবিধা রয়েছে।

পর্যাপ্ত গৃহঋণ সুবিধা না থাকার কারণেই শহরাঞ্চলে আবাসন সংকট তীব্র হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলের ৮৫ ও শহরাঞ্চলের ৭০ শতাংশ আবাসন গৃহঋণ সুবিধার বাইরে রয়েছে। শহরাঞ্চলে প্রায় ১৭ শতাংশ নিবন্ধন ব্যয়ও আবাসন ঘাটতি বাড়িয়ে তুলছে। নির্মাণ থেকে নিবন্ধন পর্যন্ত ব্যয় বাড়ার ফলে দেশে অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় সাধারণ মানুষের বাজেটের বাইরে চলে যাচ্ছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে আবাসনকে সাধারণের সামর্থ্যরে মধ্যে আনতে পুরো আবাসন খাতকে শতভাগ কর সুবিধা দেওয়া হয়।

বিশ্বব্যাংকের ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শহুরে জনসংখ্যার পরিমাণ যে হারে বাড়ছে তাতে শুধু ঢাকা শহরের জন্যই বছরে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার আবাসিক ইউনিটের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শহরাঞ্চলের জন্য বেসরকারিভাবে মাত্র ২৫ হাজার আবাসন ইউনিটের জোগান দেওয়া হচ্ছে। এসব ফ্ল্যাটের অধিকাংশই উচ্চবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্তদের টার্গেট করে নির্মাণ করা হয়। আর ঋণসুবিধা না পাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে আবাসনের ঘাটতি প্রকট হয়ে উঠছে।

সম্প্রতি দেশের আবাসনশিল্পের সংগঠন রিহ্যাব অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ সরকারের কোনো সংস্থা কর্র্তৃক প্রশ্ন উত্থাপন ছাড়া বিনিয়োগের সুযোগ ছাড়াও ফ্ল্যাট ও প্লট নিবন্ধনে সর্বমোট কর ৭ শতাংশে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। নামমাত্র রেজিস্ট্রেশন ব্যয় নির্ধারণ করে আবাসন খাতে ‘সেকেন্ডারি বাজার’ ব্যবস্থার প্রচলন করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার প্রস্তাব করে সংগঠনটি। এছাড়া আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ধারা ৫৩চ অনুসারে গেইন ট্যাক্স ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানায় রিহ্যাব।

এ প্রসঙ্গে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল মাহমুদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থের যে কথা উঠছে, তা তো দেশেরই টাকা। এখন যদি কিছু সুবিধা দিয়ে এ অর্থ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে তা বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। তাতে কার লাভ হবে। অথচ করোনায় দেশের অর্থনীতি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এ সময়ে যদি অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়াগের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা যায়, তাতে দেশেরই লাভ হবে। সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। বিভিন্ন খাতে এক লাখ কোটি টাকারও বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে। এখন সবচেয়ে বড় সংকট দেখা দিয়েছে তারল্যের। এ সময়ে যদি অপ্রদর্শিত অর্থ কয়েক বছরের জন্য বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে যেমনি আবাসন খাতও টিকে যাবে, সেই সঙ্গে অর্থনীতিও বেগবান হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে তিনটি উপায়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে শিল্প স্থাপনে অপ্রদর্শিত আয় থেকে বিনিয়োগ করা অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিলে ওই বিনিয়োগে অর্থের উৎস সম্পর্কে আয়কর বিভাগ প্রশ্ন করবে না। পাঁচ বছরের জন্য এ সুযোগ দিয়েছে সরকার। জানা যায়, এখন পর্যন্ত কেউ সুযোগটি গ্রহণ করেনি।

ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে টাকা বৈধ করা যায়। এ ক্ষেত্রে আয়তনের ওপর এলাকাভেদে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিলে কোনো প্রশ্ন করা হয় না। এ সুযোগটি আগে থেকেই আছে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কর নির্ধারণ করায় এর সুফল পাওয়া যায় না। যে কারণে চলতি অর্থবছরে করহার আগের চেয়ে গড়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো হয়। তাতেও কোনো লাভ হয়নি।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, যে কেউ অপ্রদর্শিত আয়ের ঘোষণা দিয়ে যেকোনো অঙ্কের অর্থ সাদা করতে পারবেন। ‘ভলান্টারি ডিসক্লোজড অব ইনকাম’ নামে পরিচিত এ নিয়মটি ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবর্তন করা হয়। এ সুযোগ নিতে হলে প্রযোজ্য করহার ও তার সঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়। (খবর : দৈনিক দেশ রূপান্তর, ০২ জুন, ২০২০) 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে