রাজধানীর মোড়ে মোড়ে জনসমাগম এবং রাস্তায় অনাহূত মানুষ নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ। করোনার বিস্তার রোধে প্রয়োজনে অ্যাকশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল ডিএমপি সদর দফতরে ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে সূত্র। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বৈঠকে উঠে আসে, ফাঁকা ঢাকা শহরের নিরাপত্তা এবং নিম্নআয়ের মানুষদের সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের বিষয়টি। গতকাল সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সব অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার এবং ক্রাইম ডিভিশনের ডিসিগণ।
কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যেভাবে মানুষ রাস্তায় নেমে আসছে তাতে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে বেশি সময় লাগবে না। তাই পুলিশ প্রয়োজনে অ্যাকশনে যাবে। অকারণে কাউকে রাস্তায় বের হতে দেওয়া হবে না। খাবার এবং ওষুধের দোকানের সামনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্র বলছে, সম্প্রতি রাস্তায় মানুষ ঠেকাতে পুলিশি অ্যাকশনের সমালোচনা হয়। এতে পিছু হটে পুলিশ। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মানুষজন কোনো কারণ ছাড়াই রাস্তায় নেমে আসছে। মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। অনেক সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্যসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার কথা বলেছেন ডিএমপি কমিশনার। অতীতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাকাত এবং ত্রাণ বিতরণে পদদলিত হয়ে মানুষ মারা যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন অনেক কর্মকর্তা। আশঙ্কা করে তারা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে কিছুদিন পর খাদ্যের জন্য হাহাকার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে বাড়তে পারে চুরি- ডাকাতি, রাহাজানির মতো অপরাধ। গতকাল বিকালে সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে থাকা মানুষদের থামিয়ে বাইরে আসার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে মোটরবাইক রাইড শেয়ারিং। রিকশা সিএনজিতে অধিক যাত্রী উঠলেই তাদের থামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটারিচালিত রিকশা অবাধে চলাচল করছে রাজপথে।
আগামী নিউজ/নাঈম