Dr. Neem on Daraz
Victory Day

করোনা: ভিন্ন ভূমিকায় জয়া


আগামী নিউজ | বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২০, ১০:৫২ পিএম
করোনা: ভিন্ন ভূমিকায় জয়া

জয়া আহসান

ঢাকা: বিশ্বজুড়ে মারণ ভাইরাসের প্রকোপ রুখতে লকডাউন একাধিক দেশে। গৃহবন্দি মানুষ। অসহায়, সম্বলহীন মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু ওই অবলা প্রাণীগুলোও তো অসহায়। আমরা মানুষরা না হয় নিজেদের খাদ্যসংস্থানের জোগাড়টুকু করে রাখতে পারছি, কিন্তু ওদের সে সুযোগও নেই! অভুক্ত থেকে খিদের জ্বালায় রাস্তার এদিক-ওদিক ঘুরঘুর করছে। ওদের কথা মাথায় রেখেই লকডাউনের মাঝেও রোজ অভিনেত্রী জয়া আহসান বেরচ্ছেন। নিজের হাতে রান্না করা খাবার পরম মমতায় খাইয়ে দিচ্ছেন রাস্তার কুকুরদের। নিঃসন্দেহে মানবিক উদ্যোগ, বলছেন অনুরাগীরা। 

মাস্ক আর গ্লাভস পরে খাবারের ব্যাগ নিয়ে রোজ ছুটে চলেছেন ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায়। কখনও শহরের দিলুরোড, ইস্কাটন গার্ডেন আবার কখনও বা মগবাজার এলাকায় তাঁকে দেখা যাচ্ছে কুকুরদের খাবার দিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেরকমই কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। পরনে হলদে সালোয়ার কামিজ, মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস। পরম যত্নে নিজের রান্না করা ভাত আর মুরগির মাংসের ঝোল খাওয়াচ্ছেন প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি কুকুরদের। বিগত ৫ দিন ধরে নিজের ব্যস্ততার মাঝে এটাই হয়ে উঠেছে জয়া আহসানের প্রতিদিনের রুটিন। আর তা বজায় থাকবে লকডাউন যতদিন চলবে, ঠিক ততদিনই। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি জয়া আহসানের এরকমই কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। জয়া আহসানের ভাই অদিত মাসুদই সেই ছবিগুলো তুলে জয়ার এহেন মানবিক উদ্যোগের কথা ছড়িয়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের এমন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে, যারা পশুপাখি, বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করেন। জয়া নিজে দীর্ঘদিন ধরে সেসব সংস্থাগুলোর সঙ্গে জড়িত। কখনও নিজেমুখে ফলাও করে বলেনওনি সেসব কথা। তাঁর নিজের পোষ্যও রয়েছে। ভীষণই আদুরে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাস্তায় কুকুরদের কথা তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই লকডাউনের চার দেওয়ালকে উপেক্ষা করে ঢুঁকে গিয়েছেন হেঁশেলে। মুরগির মাংসের ঝোল আর ভাত রান্না করে রোজ রোজ ঢাকার রাস্তায় কুকুরদের খাবার দিচ্ছেন।

ঠিক আমি, আপনি বা আমরা এসময়ে নিজেদের খাদ্যসংস্থানের কথা ভাবছি, যে বাড়ির চাল-ডাল ফুরলে হঠাৎ কোথায় কী পাব! যদিও অত্যাবশকীয় দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু এই লকডাউন পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে পা রাখার সাহস খুব কেউ একটা করছেন না! রেস্তরাঁ কিংবা ফুটপাতের খাবারের দোকানগুলোও বন্ধ। অতঃপর ওদের খাবার জুটবে কোথা থেকে? এখন তো অবহেলায় দু’টুকরো রুটি কিংবা বিস্কুট ছুঁড়ে দেওয়ারও কেউ নেই! সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে। তবে মানবতার খাতিরে ওদের জন্যই এগিয়ে এলেন জয়া আহসান।

আগামী নিউজ/বিআর

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে