ঢাকাঃ করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় গত সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন দিয়েছিলো সরকার। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে আসছে কঠোর লকডাউন। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা গভীর সংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কী হবে, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চিতয়তা। পরীক্ষা কবে হবে বা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে।
শনিবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘করোনার পরিস্থিতি আবারও খারাপ হয়ে গেছে। এটাতে কারও হাতও নেই। এ অবস্থায় কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে তা বলতে পারছি না। পাবলিক পরীক্ষা ও শ্রেণি পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না। স্কুল-কলেজও বন্ধ। সেজন্য পড়ালেখা চালিয়ে যেতে বিকল্প উপায় খুঁজে পাওয়া যায় কি না, তা খুঁজতে ১১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।’
এর আগে বছরের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। অটোপাস দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এসএসসির জন্য ৬০ দিন ও এইচএসসির ৮৪ দিন ক্লাসে পড়িয়ে এ দুই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
শিক্ষা বোর্ডগুলো কেন্দ্রের তালিকাও প্রকাশ করেছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ছাপানোর জন্য বিজি প্রেসে পাঠিয়েছে। তবে করোনার কারণে এসএসসির ফরম পূরণ স্থগিত করা হয়েছে। পরে নতুন সময়সূচি জানানো হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘এ অবস্থায় পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া মুশকিল। সবকিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। তবে পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে না এলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
আগামীনিউজ/নাসির