Dr. Neem on Daraz
Victory Day
৯ মাস পর পরিকল্পনা ফাঁস

প্রাথমিক শিক্ষককে হত্যা, কবর থেকে লাশ উদ্ধার


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১, ০৫:৪৫ পিএম
প্রাথমিক শিক্ষককে হত্যা, কবর থেকে লাশ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনাঃ জেলার  সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের গুলবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসির হাওলাদারের মৃত্যুর ৯ মাস পর তাকে হত্যার পরিকল্পনার কল রেকর্ড ফাঁস করেছে। সে কল রেকর্ডের সূত্র ধরে শিক্ষক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

শিক্ষক নাসিরকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী ফাতেমা মিতু (২৪) এবং পরকীয়া প্রেমিক রাজু মিয়াকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী মিতু ও তার প্রেমিক রাজু শিক্ষক নাসিরকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

এদিকে গতকাল বুধবার আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্ত করার জন্য শিক্ষক নাসিরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বরইতলা এলাকা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।  

পুলিশ জানায়, মামলা তদন্তের স্বার্থে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নাসিরের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জয়রাজ হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্বরজিত কুমারের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মরদেহের অবশিষ্ট অংশ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য মহাখালীর ল্যাবে পাঠানো হবে। 

বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান, গত বছরের ২৩ মে রাতে শিক্ষক নাসির হাওলাদার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া’ মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই তার মরদেহ দাফন করেন স্বজনরা। এ ঘটনার ৯ মাস পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোনে শিক্ষক নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস হয়। ওই রেকর্ড পুলিশের কাছে পৌঁছানোর পর নাসিরের ভাই আবদুল জলিল বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এরপর পুলিশ নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা মিতু (২৪) এবং মিতুর কথিত পরকীয়া প্রেমিক রাজু মিয়াকে (২০) গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী মিতু ও তার সহযোগী রাজু নাসিরকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। 

নাসির বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া এলাকার গয়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি গালবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। স্ত্রী ফাতেমা মিতু বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা এলাকার মো. মাহতাব মৃধার মেয়ে। তিনি বরগুনার থানাপাড়া এলাকায় বাবার ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। রাজু মিয়া ঢলুয়া ইউনিয়নের গুলবুনিয়া এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে।

আগামীনিউজ/এএইচ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে