Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটির সময়


আগামী নিউজ | বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২০, ০৩:১৩ পিএম
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটির সময়

কেভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস রূপ নিয়েছে মহামারীতে। করোনাভাইরাস বলতে ভাইরাসের একটি শ্রেণীকে বোঝায় যে ভাইরাস স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদেরকে আক্রান্ত করে। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শ্বাসনালীর সংক্রমণ ঘটায়।

গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসের শনাক্ত হয়। এ দিকে গত ৮ মার্চ দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিন জন রোগকে শনাক্ত করে সরকারি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তাদের মধ্যে একজন নারী এবং দুজন পুরুষ। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি এ ভাইরাসের। তাই নিজের সুরক্ষাটাই এখন সবচেয়ে জরুরি করোনা থেকে মুক্তির জন্য। এর পরে দেশ জুড়ে শুরু হয় জন মনে করোনা আতঙ্ক।

করোনা থেকে জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের বাসাতেই অবস্থান করতে বলা হয়। বর্তমানে খুব প্রয়োজন ছাড়া সবাইকেই এখন বাসায় বন্দি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ১২০০ একরের সবুজ চত্বর ঘুরে বেড়ানো শিক্ষার্থীরা বাসায় ১২০০ বর্গ ফিটে কিভাবে সময় পার করছেন


কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান শিমুল বলেন,  করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ১৬ মার্চ থেকেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা। দেরী না করে ১৭ মার্চ চলে আসি বাসায়। সাধারণত ক্যাম্পাস ছুটি থাকলে বাসায় এসে বন্ধুদের সাথে ঘুরাফেরা করি- আড্ডা দেয়, পরিবারের সাথে আনন্দে সময় কাটায়। কিন্তু এবার ছুটিটা অনাকাঙ্খিত।

দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি থাকার জন্য এ ছুটি। এখন মন ছুটে যেতে চায় ক্যাম্পাসের আড্ডায়। কিন্তু উপায় নাই কষ্ট হলেও বন্দি থেকেই করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও আনন্দের রেশ মাত্র নাই। আছে শুধু আতঙ্ক। গ্রামে এসে দেখি সবাই করোনা বিষয়ে তেমন সচেতন নয়। তাই গ্রামের অসহায় মানুষদের করোনার সার্বিক অবস্থার বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করছি। নিজেদেরকে পরিষ্কার রাখা, হাঁচি-কাশি থেকে বাঁচা, বাইরে মাস্ক পরে বের হওয়ার বিষয়ে তাদের সচেতন করছি।

সময় কাটাতে বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসের বই পড়ছি। সময় মত নামাজ পড়ছি। ইউটিউব থেকে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করছি। আশা করছি, এই অবস্থার দ্রুই সমাপ্তি হয়ে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ।

কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম ইভা বলেন,  ক্লাস না হওয়ায় ১২ মার্চ বাসায় চলে আসি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর এই প্রথম আমার বাসায় ফেরা। তাই অনেক আনন্দ নিয়েই বাসায় ফিরি। ভেবে রেখেছিলাম অনেক মজা করব, মায়ের হাতের মজার মজার রান্না খাবো। পাড়ার বন্ধুদের সাথে অনেক ভালো সময় কাটাবো। কিন্তু বাসায় আসার পর থেকেই করোনা আতঙ্ক দেশে বেড়ে যায়।

১৭ তারিখ ক্যাম্পাসে ফেরার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে পা দেওয়ার সুযোগ হচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আমাদের জীবনকে এতোটা দুর্বিষহ করে তুলেছে যে ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে অনেক চিন্তা করে বের হতে হয়। ঘরে এখন আমার সঙ্গী মোবাইল ফোন, ফেসবুক।

ক্যাম্পাসে ফেলে আসা দিনগুলোর জন্য মনটা স্থির থাকছে না। শুধু ফিরে যেতে চায় চায়ের আড্ডায়, সবুজ ক্যাম্পাসের কোনায় কোনায়, লাইব্রেরিতে বন্ধুদের সাথে পড়ায়। এদিকে সচেতনতামূলক পোস্টার বানানো, সবাইকে পাসোনাল হাইজিন নিয়ন্ত্রণ করতে বলা, আশে-পাশের বয়স্কদের খেয়াল রাখে কিছু সচেনতামূলক কাজ করছি। নামাজ পড়ে, কোরআন পড়ে আল্লাহর কাছে এই কঠিন পরিস্থিতি থেতে মুক্তির জন্য দোয়া করছি।


পশুপালন অনুষদ, ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহানা জান্নাত উর্মি বলেন,  ক্লাস না হওয়ায় ১২ মার্চ বাসায় চলে আসি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর এই প্রথম আমার বাসায় ফেরা। তাই অনেক আনন্দ নিয়েই বাসায় ফিরি। ভেবে রেখেছিলাম অনেক মজা করব, মায়ের হাতের মজার মজার রান্না খাবো। পাড়ার বন্ধুদের সাথে অনেক ভালো সময় কাটাবো। কিন্তু বাসায় আসার পর থেকেই করোনা আতঙ্ক দেশে বেড়ে যায়।

১৭ তারিখ ক্যাম্পাসে ফেরার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে পা দেওয়ার সুযোগ হচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আমাদের জীবনকে এতোটা দুর্বিষহ করে তুলেছে যে ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে অনেক চিন্তা করে বের হতে হয়। ঘরে এখন আমার সঙ্গী মোবাইল ফোন, ফেসবুক। ক্যাম্পাসে ফেলে আসা দিনগুলোর জন্য মনটা স্থিও থাকছে না। শুধু ফিরে যেতে চায় চায়ের আড্ডায়, সবুজ ক্যাম্পাসের কোনায় কোনায়, লাইব্রেরিতে বন্ধুদের সাথে পড়ায়।

এদিকে সচেতনতামূলক পোস্টার বানানো, সবাইকে পাসোনাল হাইজিন নিয়ন্ত্রণ করতে বলা, আশে-পাশের বয়স্কদের খেয়াল রাখে কিছু সচেনতামূলক কাজ করছি। নামাজ পড়ে, কোরআন পড়ে আল্লাহর কাছে এই কঠিন পরিস্থিতি থেতে মুক্তির জন্য দোয়া করছি।

আগামী নিউজ/ জীম/ তামিম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে