Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ভারত থেকে হাঁস-মুরগি, ডিম আমদানি বন্ধ


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২১, ০৫:৫০ পিএম
ভারত থেকে হাঁস-মুরগি, ডিম আমদানি বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার পর সতর্কতা হিসেবে দেশটি থেকে মুরগি, মুরগির বাচ্চা ও ডিম, হাঁস এবং পাখি জাতীয় প্রাণির আমদানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে অবৈধভাবে চোরাপথেও এসব প্রাণী যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনকে সতর্কতা করে চিঠি দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদএ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, "সতর্কতা হিসেবে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যদিও বাংলাদেশে এখনও কোন জেলায় বার্ড ফ্লু'র সংক্রমণ দেখা যায়নি।"

সপ্তাহ কয়েক আগে ভারতে বার্ড ফ্লু দেখা যায়। বৃহস্পতিবারে পাওয়া সর্বশেষ খবরে বলা হচ্ছে যে দেশটির অন্তত ১০টি রাজ্যে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে এরই মধ্যে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

ভারতের কিছু রাজ্যে এ কারণে পোল্ট্রি খামারে হাঁস-মুরগি নিধন শুরু করেছে - এরই মধ্যে হাজার হাজার হাঁস-মুরগি মেরে ফেলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

"সে প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে," বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত হাঁস, মুরগি ও পাখি আমদানির উপর আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে বলবৎ থাকবে।

সীমান্তে চোরাইপথে ভারত থেকে হাঁস, মুরগি, ডিম, মুরগির বাচ্চা এবং পাখি জাতীয় প্রাণি অনেক সময় পাচার হয়ে বাংলাদেশে ঢোকে বলে অভিযোগ রয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক আগাম প্রস্তুতি নিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

সচিব জানিয়েছেন, তাদের দপ্তর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে এবং বাংলাদেশের কোন জায়গা থেকে এখনও বার্ড ফ্লু সংক্রমণের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

কর্মকর্তারা জানান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যেন হাঁস-মুরগির ছোটখাট অসুস্থতার খবর পাওয়া গেলে সাথে সাথে সেগুলোর পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি খামারগুলোকেও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের মুরগির বাজারের প্রায় ৭০ শতাংশ বিদেশি জাতের মুরগির দখলে। আর ডিমের বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশই আসে বিদেশি জাতের মুরগি পালনকারী ফার্মগুলো থেকে।

বাংলাদেশে সব মিলিয়ে মুরগির খামারির সংখ্যা ৭০ হাজারের বেশি। সূত্র-বিবিসি

আগামীনিউজ/এএইচ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে