Dr. Neem on Daraz
Victory Day

এখনো অস্থির কাঁচাবাজার


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২০, ০২:১৪ পিএম
এখনো অস্থির কাঁচাবাজার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ কেজি প্রতি দুই-এক টাকা ওঠানামা করলেও মিনিকেটসহ মোটা চালের দাম অনেকটা আগের অবস্থাতেই আছে। তিন সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা সবজির বাজারও আছে অস্থির অবস্থানেই। পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কমলেও এর প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার কমে মিলছে না কোনো সবজি৷ আবার সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানা হচ্ছে না আলুর বাজারে। সরবরাহের ঘাটতির অজুহাতে প্রতি কেজি আলুর জন্য নির্ধারিত দামের চেয়ে ১০ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের পাইকারি সবজির বাজার এবং শুক্রবার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউনহল বাজার, শিয়া মসজিদ বাজার, খিলগাঁও বাজার এবং ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি থাকায় খুচরা বাজারে দাম কমছে না। শীতের সবজি পুরোপুরি বাজারে আসলে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে জানান বিক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, টমেটো ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা কেজি, করোল্লা ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা প্রতি পিস, পটল ৫০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা কেজি।

এছাড়া ঢেড়স ৭০-৮০ টাকা কেজি, বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা কেজি, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিছ, ক্যাপসিকাম ৪০০ টাকা কেজি, কচুর মুখি ৫০ টাকা কেজি, লেবু (কলম্ব) ২০ টাকা হালি, কচু লতি ৬০ টাকা কেজি, মূলা ৬০ টাকা এবং পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৫০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রি হওয়া সবজির পাইকারি বাজার কারওয়ানবাজার এবং কলাতিয়া। কারওয়ান বাজার থেকে রাজধানীর খুচরা বাজারে সবজি আসে। একই জায়গা থেকে সবজি এনে বিক্রি করেন নগরের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতারা। দোকান ভাড়া, কর্মচারী এবং অন্যান্য খরচ না থাকায় বাজারের তুলনায় এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে সবজির দাম বরাবরই কম।

কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ সবজির দোকান ঘুরে দেখা যায়, এসব দোকানে করল্লা প্রতি কেজি ৭৫-৮০ টাকা, গাজর ৯০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, বেগুন (গোল) ৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস, ফুলকপি ৩০-৩৫ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া প্রতি ফালি ২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচা কলা ৩৫ টাকা হালি, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, ঝিঙা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২৫০ টাকা কেজি, লেবু (কলম্ব) হালি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) করল্লা ৩০০-৩২০ টাকা, গাজর ৩২০ টাকা পাল্লা, শসা ২৬০ টাকা পাল্লা, বেগুন (গোল) ৩০০ টাকা পাল্লা, চাল কুমড়া কুড়ি (২০ পিস) ৭০০ টাকা, ফুলকপি কুড়ি ৫০০-৫২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০০ টাকা পাল্লা, কাঁচা কলা ১৮-২০ টাকা হালি, পেঁপে ২৮ টাকা কেজি, ঝিঙা ২৩০ টাকা পাল্লা, পটল ২৭০ টাকা পাল্লা, ধনিয়া পাতা ১৮০ টাকা কেজি, লেবু (কলম্ব) 'শ (১০০ পিস) ৩৫০ টাকা দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু এ সপ্তাহেও ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আলু। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা, দেশি আদা ১৪০ টাকা, চায়না আদা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা এবং রসুন ১২০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাংসের বাজারে দাম ওঠানামার চিত্র পাওয়া যায়নি। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৭০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি৷ ব্রয়লার মুরগি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একই অবস্থা মাছের বাজারেও। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৫০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, চাষ করা পাঙ্গাস মাছ ১৬০ টাকা কেজি, নদীর পাঙ্গাস ৩৫০ টাকা কেজি, চাষের কৈ ২০০ টাকা, নদীর কৈ ৪০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ টাকা কেজি, চিংড়ি মাছ ৭০০ টাকা, কাচকি ৩৫০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৭০০ এবং রিটা মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কেজি প্রতি দুই-এক টাকা ওঠানামা করলেও আগের অবস্থাতেই আছে চালের বাজার। প্রকার ভেদে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকার মধ্যে, আটাশ চাল ৪৮ টাকা, গুটি চাল ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, নাজিরসাইল প্রকারভেদে ৫২ থেকে ৬০ টাকা এবং আতব চাল প্রতি কেজি ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আগামীনিউজ/আশা 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে