Dr. Neem on Daraz
Victory Day

জয়পুরহাটে বিলুপ্তের পথে তাঁত শিল্প


আগামী নিউজ | রাজু আহম্মেদ, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২১, ০৪:৪৯ পিএম
জয়পুরহাটে বিলুপ্তের পথে তাঁত শিল্প

ছবি: আগামী নিউজ

জয়পুরহাট: তাঁতশিল্প বাংলা ঐতিহ্য বহন করত সময়ের পরিক্রমায় ঐহিত্যবাহী সেই তাঁত শিল্পই এখন বিলুপ্তির পথে। ইলেকট্রিক তাঁতে পোশাকে বৈচিত্র্য আসা এবং সুতা সহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ার বাংলার ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প বিলুপ্তির প্রধান কারণ।  

এক সময় এই গ্রাম গুলোতে তৈরি শাড়ী, লুঙ্গি ও গামছার কদর ছিল দেশজুড়ে। কিন্তু নানা সংকটে এখন আর নেই তাঁতপল্লীর চিরায়ত সেই কর্ম চাঞ্চল্য। এখন শাড়ী, লুঙ্গি তৈরি না হলেও বংশ পরমপরায় কিছু তাঁতী গামছা তৈরি করে তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। 

পোশাকে আধুনিকতার ছোঁয়া, সুতার দাম বৃদ্ধি এবং সময়ের পরিক্রমায় ইলেকট্রিক তাঁতের দাপটে গুটাতে হচ্ছে এই পেশা। এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে তাঁতিরা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার দাবী জানিয়েছে। 

জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার বফলগাড়ি, ধাপশিকটা, খরপা, রাধানগর, জগডম্বুর, জিন্দারপুর ইউনিয়নের হাজীপুর, কালাই পৌরসভার দুরুঞ্জ গ্রামে প্রায় ৬শ তাঁতি পরিবারের বসবাস।  

সরেজমিনে তাঁতিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে এই এলাকার তাঁতিদের তৈরি শাড়ী, লুঙ্গি ও গামছার খুব কদর ছিল। স্থানীয় বাজার পুনট, মোলামগাড়ীহাট সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁতের কাপড় কিনতে আসত। এখনও পুনট বাজারে জয়পুরহাট, হিলি, বিরামপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট থেকে অনেক ক্রেতা তাঁতের কাপড় কিনতে আসে। 

বফলগাড়ী গ্রামের আইজুল মন্ডল বলেন, আগে কিছুটা কাজ চললেও করোনার কারণে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হচ্ছে। যারা এ পেশায় এখনও আছেন তারা তাদের পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছেন। 

তাঁতিদের সরকারী প্রণোদনা দিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, আমার সঙ্গে এখনও কোন তাঁতি যোগাযোগ করেন নাই। যোগাযোগ করলে সরকারী প্রণোদনার ব্যাপারে ব্যবস্থা করব এবং এই তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করব।

আগামীনিউজ/মালেক
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে