Dr. Neem on Daraz
Victory Day

পেশা পাল্টাচ্ছেন কারুশিল্পীরা


আগামী নিউজ | নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২০, ১২:১১ এএম
পেশা পাল্টাচ্ছেন কারুশিল্পীরা

কারুশিল্পী। ছবিঃ সংগৃহীত

বৈশ্বিক মহামারী  করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী জামদানিশিল্পও এ পরিস্থিতি থেকে বাদ যায়নি। করোনায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে উপজেলার দেড় হাজারের বেশি জামদানি কারিগর ও তাঁত মালিককে। দীর্ঘদিন জামদানির প্রয়োজনীয় উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ থাকায় এরই মধ্যে অনেকেই পেশা বদলও করেছেন। আবার আর্থিক সংকট কাটাতে অনেকেই অবিক্রীত জামদানি ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করছেন বলেও জানা গেছে।

জানা গেছে, উপজেলার জামপুর, সাদিপুর ও কাঁচপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের দেড় হাজারের অধিক নারী-পুরুষ জামদানি উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত। তার মধ্যে জামপুরের হাতুরাপাড়া, তালতলা, বস্তল, মুছারচর ও সাদিপুরের চৌরাপাড়া, কাজিপাড়া, ভারগাঁও, আন্দারমানিক, শিঙ্গলাব এবং কাঁচপুরের বেহাকৈর, কালিয়াবিটা, গাবতলী, সুকেরটেক উল্লেখযোগ্য।

সরেজমিনে সাদিপুর ইউনিয়নের কাজিপাড়া ও দরগাবাড়িসহ কয়েকটি গ্রামের জামদানিপল্লী ঘুরে দেখা যায়, গত পাঁচ মাসে সেখানকার দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে গেছে। তাঁত বন্ধ থাকায় কারিগরদের মধ্যে নেই কাজের ব্যস্ততা। ফলে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা। আবার কেউ কেউ পরিকল্পনা করছেন অন্য পেশায় যাওয়া যায় কিনা।

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত জামদানিশিল্পী ও জাতীয় কারুশিল্পী পরিষদের সদস্য মো. শাহ আলম, আব্দুল জাব্বারসহ অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, দেশীয় বাজার ছাড়াও তারা পার্শ¦বর্তী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে জামদানি বিক্রি করতেন। অথচ করোনায় আর্থিক সংকটে পড়ে অনেকে তাঁত বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি তারা পরিবারের খরচ জোগাতে মজুদকৃত জামদানি ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করছেন। জামদানি ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হোসেন জানান, করোনায় দীর্ঘদিন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন বন্ধ থাকায় তার ব্যবসাও বন্ধ রয়েছে। পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচ জোগাতে তিনি এখন কাঁঠাল বিক্রি করছেন।

বাংলাদেশ উইভার্স প্রোডাক্টস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মো. ওসমান গনি বলেন, বাংলাদেশের জামদানিশিল্পকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। করোনায় গত পাঁচ মাস সোনারগাঁওয়ের জামদানির উৎপাদন ও বিপণন চরমভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় অন্যান্য সময়ের মতো ৫ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা

অর্জন সম্ভব হয়নি। এ পরিস্থিতিতে জামদানিশিল্পীদের আর্থিক প্রণোদনা ও সহজ শর্তে ঋণ দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁওয়ের ইউএনও আতিকুল ইসলাম জানান, জামদানিশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ক্ষতিগ্রস্ত কারুশিল্পীদের সরকারি প্রণোদনা ও সহজ শর্তে ঋণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে শিগগিরই প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

আগামীনিউজ/এএইচ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে