-20191130051001.jpg)
নৌযান ও নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী এবং ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী নৌযান শ্রমিককে ল্যান্ডিং পাস প্রদাণ ও হয়রানী বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা ও মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন, যাত্রীবাহী লঞ্চের পূর্ণাঙ্গ গেজেট বাস্তবায়ন না করাসহ ১১ দফা দাবীতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মোংলা বন্দরসহ সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। এর ফলে রাত থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে নৌপথে পণ্য পণ্য পরিবহণের কাজ। নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মোংলা বন্দরে।
কর্মবিরতি শুরু আগ থেকেই বন্দরে অবস্থানরত বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের গাঁয়ে যে সকল নৌযান ছিল সেগুলোতে শনিবার সকালেও স্বল্প পরিসরে পণ্য খালাসের কাজ চলে। কিন্তুদুপুরের পর থেকে তাও বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। তবে কিছু কিছু জাহাজের গাঁয়ে নৌযান না থাকায় সে সকল জাহাজের পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন বলেন, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। সকালের পালায় জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ হলেও দুপুরের পর থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন’র (কেন্দ্রীয়) সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম জানান, ১১ দফা দাবীতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকেরা। দেশের বিভিন্নস্থানে থাকা প্রায় ২০ হাজার নৌযানের (কার্গো, কোস্টার, বাল্কহেড, বার্জ ও লঞ্চ) প্রায় ২ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী তাদের কাজ কর্ম বন্ধ রেখে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করবেন বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ১১ দফা দাবীর বিষয়ে গত ২৭ নভেম্বর শ্রম মন্ত্রনালয়ের বৈঠকে কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব উঠে আসলেও সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধানের রাস্তা তৈরি না হওয়ায় শ্রমিকেরা তাতে সন্তোষ্ট হতে পারেনি, তাই কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া মালিকদের অনিহাই শ্রমিকদের বিক্ষুদ্ধ হওয়ার মুল কারণ। কারণ হলো অধিকাংশ মালিক সমিতি শ্রম মন্ত্রনালয়ের বৈঠকে উপস্থিত হন না।
এর আগে একই দাবীতে গত ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন নৌযান শ্রমিকেরা। এরপর দাবী পূরণের আশ্বাসে তারা কর্মবিরতি স্থগিত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেই সকল দাবী বাস্তবায়ন হওয়াতেই পুনরায় আবারো কর্মবিরতি শুরু করছেন নৌযান শ্রমিকেরা।
আগামী নিউজ/ এসআর
