Dr. Neem on Daraz
Victory Day

পুলিশের মনোবল ভাঙতে হামলা চালায় জঙ্গিরা


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২০, ১০:০৩ পিএম
পুলিশের মনোবল ভাঙতে হামলা চালায় জঙ্গিরা

ঢাকা : পুলিশের মনোবল ভাঙতে দফায় দফায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে জেএমবি সদস্যরা। নতুন করে জানান দিতেই আতঙ্ক তৈরি করা ও প্রচার পাওয়া ছিল তাদের মুল লক্ষ্য।

সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্নস্থানে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর শনির আখড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া দুইজন হলেন, মূল পরিকল্পনাকারী মো. জামাল উদ্দিন রফিক ও মো. আনোয়ার হোসেন। তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে এ ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে ছয় জঙ্গি জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। ছয়জনকেই গ্রেফতার করলো পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য এবং ঢাকা শহরে পুলিশের ওপর পাঁচটি স্থানে বোমা হামলার সঙ্গে তারা সরাসরি জড়িত। গ্রেফতারকৃত জামাল উদ্দিন রফিকের নেতৃত্বে গত বছরের ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়।

একই গ্রুপ ২৬ মে মালিবাগে টহল পুলিশ ভ্যানে বোমা হামলা চালায়। এতে একজন পথচারী আহত হন। ২৩ জুলাই পল্টন মোড় ও খামারবাড়িতে দুইটি পুলিশ বক্সে আইইডি বোমা পেতে রাখে। পরে ডিবির বোম ডিসপোজাল টিম বোমগুলো নিষ্ক্রিয় করে।

সর্বশেষ ৩১ আগস্ট সাইন্সল্যাব মোড়ে পুলিশের ওপর বোমা হামলা করে। পুলিশের উপর নিক্ষিপ্ত বোমাগুলো রফিক তার বাড়িতে তৈরি করেছিলো। রফি খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করেছেন। আর আনোয়ার পেশায় একজন গাড়ি চালক। তিনি পোড়া মবিলের ব্যবসা করতেন।

সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে চায় প্রচার। পুলিশের ওপর হামলা করলে প্রচারটা বেশি পাওয়া যায়। তাছাড়া পুলিশের ওপর হামলা করলে জনমনে ভয়-ভীতিটা বেশি সৃষ্টি হবে। কারণ পুলিশ জনগণকে নিরাপত্তা দেবে। সেখানে পুলিশেই যদি অরক্ষিত হয় তাহলে জনগণকে কীভাবে নিরাপত্তা দেবে। এই জায়গায় তারা পুলিশের ওপর হামলার টার্গেট করেছিল। তাছাড়া হলি আর্টিজান হামলার পরে পুলিশের যে সক্ষমতা বেড়েছে, জঙ্গিদের যে নেটওয়ার্কিং গড়ে উঠেছিল তা বিপর্যস্ত-দুর্বল করে দেয়ার কাজটি পুলিশই করেছিল। সে জন্য তারা পুলিশকেই টার্গেট করেছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা কালো পোশাক পরিধান করে খেলনা অস্ত্র, বোমাসহ সুইসাইডাল ভেস্ট পরে বিভিন্ন উগ্রবাদী কথাবার্তা সম্বলিত একটি ভিডিও ক্লিপ অনলাইনে প্রচার করেছিলেন। ভিডিওতে জামাল উদ্দিন রফিক, ফরিদ উদ্দিন রুমি, আব্দুল্লাহ আজমীর এবং আনোয়ার অংশগ্রহণ করেছিলেন। পুলিশের মনোবল ভেঙে দেয়াসহ তাদের উগ্রবাদী সংগঠনের সক্ষমতা ও রিক্রুটমেন্ট ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে অনলাইনে ভিডিও ক্লিপ প্রচার করেছিলেন।

উল্লেখ্য, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ইতোপূর্বে ফরিদ উদ্দিন রুমি, আব্দুল্লাহ আজমীর, মেহেদী হাসান তামিম ও মিশুক খানকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বিপুল পরিমাণ বোমা ও বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার করে।

আগামীনিউজ/মোরসু/এএম

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে