Dr. Neem on Daraz
Victory Day

পুলিশকন্যা রুম্পার প্রেমিক সৈকতের ৪ বন্ধু কই?


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:৫৫ পিএম
পুলিশকন্যা রুম্পার প্রেমিক সৈকতের ৪ বন্ধু কই?

ঢাকা : গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকা আবদুর রহমান সৈকতের চার বন্ধুকে খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। সন্দেহভাজন ওই চার বন্ধুর খোঁজ মিললে অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর মিলবে।

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকেই পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃতদেহ নিচে পড়ার ঘটনায় ডিবি পুলিশ তাঁরই প্রেমিকের চার বন্ধু সেদিন কি ঘটেছিলো তা জানত  পারবে। জিজ্ঞাসাবাদে সৈকতের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যর ভিত্তিতে ওই চারজনকে আটকে অভিযানে যাচ্ছে ডিবি পুুলিশ।
 
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে সৈকত ছাড়াও আরও যারা ছিলো তাদের বিষয় তথ্য দিয়েছে। ঘটনার দিন সিদ্ধেশ্বরীতে আয়েশা কমপ্লেক্সের ছাদে সৈকতের সঙ্গে আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের ভূমিকা কি ছিল, তারা রুম্পাকে ফেলে দিয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রুম্পাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার তথ্য সৈকত দিয়েছেন বলে তথ্য মিলেছে।

সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলে আরও চার জন ছিল। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র। তারা সবাই সৈকত এবং রুম্পার বন্ধু। রুম্পা-সৈকতের সম্পর্কটি কীভাবে মীমাংসা করার জন‌্য তাদেরকে ওই ভবনের ছাদে ডেকে আনেন সৈকত। তবে ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক। তদন্তের স্বার্থেই তাদের নাম-পরিচয় এই মুহূর্তে প্রকাশ করা হচ্ছে না।

সৈকতের সঙ্গে রুম্পার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নয় মাস আগে সেই সম্পর্কের ইতি টানতে চাইলে সৈকত ও রুম্পার মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এতো কিছুর পরও রুম্পা বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেনি। ঘটনার দিন বিকেলে দুজনে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বাইরে দেখা করেন। রুম্পা বারবার অনুরোধ করলেও সৈকত সম্পর্ক রাখতে রাজি ছিলেন না। দুজনের মনোমালিন্য ও বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। রাত পৌনে ১১টায় সৈকত তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে রুম্পাকে ৬৪/৪ সিদ্ধেশ্বরীর আয়েশা কমপ্লেক্সের ছাদে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে রুম্পাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন সৈকত।

সরেজমিনে জানা গেছে, বুধবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে ৬৪/৪ নম্বর বাড়ির প্রধান গেটের সামনে রুম্পার লাশ পড়েছিল। আশপাশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই সময় ওপর থেকে বিকট শব্দে কিছু একটা পড়েছিল। পরে বেরিয়ে দেখেন রাস্তায় পড়ে আছে এক তরুণীর লাশ। রুম্পার লাশ যেখানে পড়েছিল ওই রাস্তার এক পাশে চারতলা এবং অপর পাশে পাঁচতলা একটি ভবন রয়েছে। ওই রাস্তার মাথায় রয়েছে একটি ১১ তলা ভবনের (আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স) পেছন দিক। কিছু সমীকরণ মেলায় ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ১১ তলা ভবনের ছাদ থেকেই পড়েছেন।

গত বুধবার রাত পৌনে ১১টায় সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে স্টামফোর্ট ইউনিভার্সিটির ওই ছাত্রীর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যে জায়গায় এ ঘটনা ঘটে তার আশপাশে বেশকিছু ছেলে ও মেয়েদের হোস্টেল রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রুম্পার বাবা রোকন উদ্দিন হবিগঞ্জ এলাকায় পুলিশ ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। তবে রুম্পা পরিবারের সঙ্গে থাকতেন মালিবাগের শান্তিবাগে। কিন্তু তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বাসা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড থেকে।

আগামীনিউজ/এমআরএস/এএম
 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে